সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

আমি কী ক্ষমারও যোগ্য নই? কাকরাইলের মাওলানা আবদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু : আমি জানি, আমি ভুল করেছি। আমার ভুলের জন্য আমি অনুতপ্ত। আমি আমার ভুল স্বীকার করেছি। বারবার ক্ষমা চেয়েছি প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে যাচ্ছি অবিরাম। তারপরও আমি ক্ষমা পাচ্ছি না। আমি কি ক্ষমার অযোগ্য হয়ে গেছি?

এভাবেই নিজের ভুলের জন্য অনুপাত প্রকাশ করছিলেন কাকরাইলের মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর। আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের অফিসে গতকাল এসেছিলেন মাওলানা আবদুল্লাহ। তার একটিই আবেদন আহলে হক উলামায়ে কেরামের কাছে যেনো আমরা তার তওবা ও রুজুনামার বিষয়টি তুলে ধরা হয় এবং তিনি উলামায়ে কেরামের ক্ষমা ও নেকদৃষ্টি লাভ করেন।

নিজেকে আলেম পরিবারের সন্তান দাবি করে মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর বলেন, ‘আমি আল্লাহকে সাক্ষী  রেখে বলছি, আলেমদের প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই। আলেমগণ তাবলিগ জামাত করুন আর নাই করুন- তিনি সম্মান ও শ্রদ্ধার দাবিদার। আমি যদি কোনো দিন আলেমদের অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলে থাকি তবে তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাচ্ছি। তারা যেনো আমাকে ক্ষমা করে দেন।’

তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ-এর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কেনো বই লিখলেন? উত্তরে বলেন, ‘কাকরাইলের একজন ‍মুরব্বি (আলেম নন) আমাকে এ বই লেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমির না শুরা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে একটি বই লিখুন। আমি তার পরামর্শে এ বই লিখি।’

বই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কসম করে বলছি, এ বই আমি ছাপি নি। আমি পাণ্ডুলিপি তৈরি করে কয়েকজনকে দেখতে দিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছে ছিলো ছাপানোর পূর্বে তা আলেমদের দিয়ে যাচাই ও পুনর্মূল্যায়ন করানোর কিন্তু তার আগেই কিভাবে যেনো ছড়িয়ে পড়ে। আলেমদের যাচাই করলে বইয়ে ভুলগুলো থাকতো না।’

যা আছে কাকরাইলের মাওলানা আবদুল্লাহ’র তওবানামায়

কাকরাইলের মাওলানা আবদুল্লাহর তওবানামা

প্রশ্ন করেছিলাম, কবে মনে হলো আপনি ভুল করেছেন এবং আপনার ফিরে আসা দরকার? মাওলানা আবদুল্লাহ বললেন, ‘আমাকে যেদিন সতর্ক করা হয়েছে সেদিনই আমি রুজু করেছি। যেদিন সন্ধ্যায় কাকরাইলে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুকের চিঠি পৌঁছায় পরের দিন ফজরের নামাজ আমি বারিধারা মাদরাসার মসজিদে আদায় করি। কিন্তু মাদরাসায় তিনি ছিলেন না তাই মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর কাছে তওবা করি এবং অঙ্গীকার করি এ বই আমি কোনো দিন ছাপাবো না। সেদিন থেকে এ পর্যন্ত বেফাকের বৈঠকসহ আলেমদের ৭টি বৈঠকে আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছি। তবুও যেনো আমার ভুলের ক্ষমা হচ্ছে না।’

তাবলিগের ব্যাপারে চার সিদ্ধান্ত; শীর্ষ আলেমদের বৈঠক

এ সময় মাওলানা সাদ-এর ব্যাপারে তার অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘এটা সত্য আমি মাওলানা সাদকে পছন্দ করি। তার দ্বারা আমি উপকৃত। তাই আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু উলামায়ে দেওবন্দ যদি তাকে প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আমি অবশ্যই তাকে প্রত্যাখ্যান করবো। উলামায়ে দেওবন্দের আনুগত্য করবো।’

পরিশেষে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই চাই না। শুধু এতোটুকু চাই উলামায়ে কেরাম আমাকে ক্ষমা করুন, তাদের বুকে আমার জন্য একটু জায়গা হোক, আমাকে আবার বুকে টেনে নিক তারা।’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ