শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৫ লাখেও হয়নি প্রহরীর চাকরি, শুনে জ্ঞান হারালেন বাবা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দুই নেতার হাতে তুলে দিয়েছিলেন বহু কষ্টের ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু তাতেও চাকরি হয়নি শুনে সত্তর বছর বয়সী ওসমান আলী জ্ঞান হারিয়েছেন। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি।

জানা যায়, দরিদ্র ওসমান তার ছেলের চাকরির টাকা জোগারে জমি বিক্রি করেন। কিন্তু যখন জানতে পারেন তার ছেলের চাকরি হচ্ছে না সাথে সাথেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

সোমবার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওসমানের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তমা বসাক জানান, হয়তো কোনো দুঃসংবাদে ওসমান আলী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। শারিরীকভাবেও তিনি খুব দুর্বল। তবে আশংকামুক্ত এবং বিপি ঠিক আছে।

ওসমানের ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন জানান, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার বড় ভাই আতাউর রহমানকে দফতরি কাম প্রহরী পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসেম আলী।

কিন্তু চাকরির জন্য তাদের কাছে নগদ টাকা ছিল না। পরে পানের বরজ ও ফসলী জমি বিক্রি করে তাদের দু'জনকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয়।

গত সোমবার দফতরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ বোর্ডে  বসে। বোর্ড শেষে আতাউরের চাকরি হয়নি বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর শোনামাত্রই বৃদ্ধ বাবা জ্ঞান হারিয়ে  মাটিতে পড়ে যান বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

চাকরি প্রার্থী আতাউর রহমানের অভিযোগ, হাসেম আলী ও আবুল হোসেন তাদের দেয়া ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি আক্ষেপ করেন জানান, এখন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে বেড়ানো ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। প্রতারণার কারণে বৃদ্ধ বাবা-মাও মরতে বসেছেন।

এ ঘটনায় হাসেম ও আবুল হোসেনের বিচার দাবি করেন আতাউর রহমান।

নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবির জানান, এ উপজেলার ২২টি স্কুলের নিয়োগ বোর্ড শেষ হয়েছে। আতাউর  রহমান চাকরি পেয়েছেন কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে যারা বিবেচিত হয়েছেন, তাদের বরাবর চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, 'আমি তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। এমপি সাহেব (আয়েন উদ্দিন) বিদেশে আছেন। তিনি ফিরলে বসে বিষয়টি ঠিক করা হবে।'

শ্রমিক লীগ নেতা হাসেম আলীও টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানান, এ রকম একটি ঘটনায় ওসমান আলী হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে শুনেছেন।

ফ্রান্সে মুসলিম বিদ্ধেষ: মেয়রের অর্থদণ্ড

আফগানিস্তানে আল কায়েদার বাংলাদেশ প্রধান নিহত

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ