বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা ফের ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, হতে পারে বৃষ্টি যুদ্ধ কখনোই কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার ‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক

মন্ত্রিসভায় কওমি শিক্ষা আইন অনুমোদন; যা ভাবছেন বোর্ড প্রতিনিধিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু
আওয়ার ইসলাম

১৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাবিত কওমি শিক্ষা আইনের অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি নিয়ে শঙ্কা যেমন খানিকটা দূর হয়েছে তেমন শক্ত ভিত্তি পেয়েছে কওমি শিক্ষা আইন।

কওমি ধারার নীতি নির্ধারক আলেমগণ আশাবাদী সরকার তার বর্তমান মেয়াদেই আইনটি জাতীয় সংসদে উঠাবেন এবং সংসদের অনুমোদন গ্রহণ করবেন।

গত ১১ এপ্রিল গণভবনে কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি ঘোষণার পর দ্রুততম সময়ে তার আইনি প্রদান এবং মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদনের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্বকেই বড় করে দেখছেন কওমি শিক্ষা কমিশন ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ, বাংলাদেশ-এর নেতৃত্ববৃন্দ।

প্রধানমন্ত্রী সাহসী ও আন্তরিক না হলে দেশ-বিদেশের নানান প্রশ্ন উপেক্ষা করে দ্রুততম সময়ে কওমি শিক্ষা আইনের অনুমোদন মন্ত্রিসভায় হতো না।

সাথে সাথে তারা মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, প্রস্তাবিত খসড়া আইন নিরীক্ষণের জন্য গঠিত সরকারি কমিটি প্রতিনিধিগণ সকলকে আন্তরিক সমযোগিতার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পূর্বে প্রস্তাবিত আইনটি বিস্তারিতভাবে নিরীক্ষণের সুযোগ না পাওয়ায় এবং ভবিষ্যতে এ আইন কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা নষ্ট এবং তার ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আশা ও আনন্দ, ভয় ও সংশয়ের কথাগুলো বলেছেন, কওমি শিক্ষা সনদের মান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ’-এ অংশিদার ৬ শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিগণ।

তারা স্পষ্ট বলেছেন, আমরা আনন্দিত, তবে আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাবো না। বরং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আজ যেমন সজাগ আগামীতেও তেমন থাকবো। এখানে স্বীকৃতি বিষয়ে বোর্ড নেতৃবৃন্দের মতামত তুলে ধরা হলো।

২০১০ সালেই সংসদে কওমি মাদরাসাকে স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বীকৃতি পাস হয়েছে

মুফতী রুহুল আমিন
বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়্যা বাংলাদেশ

যে কোনো জিনিসের অগ্রগতিতেই মানুষ আনন্দিত হয়, মন্ত্রিসভায় কওমি শিক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন হওয়া একটি বড় ধরনের অগ্রগতি। আল হামদুলিল্লাহ! আমি আনন্দিত।

আমি মনে করি, কওমি শিক্ষাধারার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের মানুষ; ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবক সবাই এ সংবাদে আনন্দিত। তবে চূড়ান্ত আনন্দ প্রকাশ ততোক্ষণ পর্যন্ত উচিৎ হবে না, যতোক্ষণ না আমরা জানতে পারবো প্রস্তাবিত আইনে কী আছে আর কী নেই।

আমরা আশা করছি, আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি অনুযায়ী সব হয়েছে। মৌলিকত্ব ঠিক রেখেও কোনো ধারার সংযোজন ও বিয়োজন হয়েছে কি না তা আমরা নিশ্চিত হতে চাই। সেলক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত আইনের খসড়া সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতোটুকু আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তাতে আমরা আশা করছি দ্রুতই সংসদে কওমি শিক্ষা আইন উত্থাপিত হবে। কোনো কারণে যদি তা উত্থাপন করা নাও যায় তাতেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, ২০১০ সালে সংসদে যে জাতীয় শিক্ষানীতি পাশ হয়েছে তার ৬ এর ক ধারায় কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা রক্ষা করে স্বীকৃতি প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

সুতরাং মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত আইনটি পূর্বেই অন্য একটি আইনের ধারা হিসেবে পাশ হয়ে আছে।

দ্বিতীয়ত, আলিয়া মাদরাসার সরকারি মান ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত সংসদে আইন হিসেবে পাশ হয় নি। কিন্তু তাদের সার্কিফিকেট গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, তারা চাকরি করছে। শিক্ষাসংক্রান্ত কোনো সমস্যা তাদের হচ্ছে না।

আজ মন্ত্রিসভায় কওমি শিক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন যদি কোনো সাফল্য হয়, তবে তা আমাদের সবার অর্জন। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এতোদূর এসেছে। আমরা সবাই তা করেছি, আল্লাহর জন্য। এ দেশ, জাতি ও তার রক্ষক কওমি মাদরাসার জন্য।

আমার মনে হয়, আমাদের সন্তানদের (কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীগণ) একটা বিষয় খুব ভালো করে বোঝানো দরকার। তাহলো, আমরা কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির জন্য কেনো কাজ করলাম? সেটা কি চাকরি করার জন্য? সরকারি সুযোগ-সুবিধার জন্য? না, এ স্বীকৃতি আমাদের যোগ্যতা ও মর্যাদার স্বীকৃতি।

সরকারি হিসেবে আমাদের বড় বড় বিদ্যানরা মূর্খ হিসেবে গণ্য হতেন। সেটা ছিলো অপমানকর। আজ তার অবসান হলো। এ ছাড়া আর কিছু না।

সুতরাং জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব, আমাদের ত্যাগ ও নিবেদন, সেবা সবকিছু আগের মতোই থাকবে। ইলমে দীন চর্চায় সততা ও নিষ্ঠায় যদি কোনো ঘাটতি তৈরি হয় তবে স্বীকৃতি আমাদের ক্ষতিগ্রস্থই করবে।

স্বীকৃতিতে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না

মুফতি নুরুল আমিন
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ

আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করছি, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করলো। প্রধানমন্ত্রী তার কথা রাখায় আমরা খুশি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যাদের আন্তরিকতায় ‘কওমি শিক্ষা আইন’ মন্ত্রিসভা পর্যন্ত উঠেছে সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই।

বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ। তিনি অনেক বেশি সহযোগিতা করেছেন।

তবে একটু ভয়ের জায়গা রয়ে গেছে। তাহলো, আমরা এখনও জানি না কিভাবে পাশ হয়েছে। আশা করি, খুব শিগগির আমরা অনুমোদিত আইনের কপি আমরা হাতে পাবো।

আবার আমরা একেবারে জানি না তাও বলা ঠিক হবে না। কারণ, আইনটি মন্ত্রিসভায় ওঠানোর পূর্বে আল্লামা আহমদ শফীর কাছে পাঠানো হয়েছিলো। হজরতের ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী তা পাঠ করে শোনান। হুজুর বলেন ঠিক আছে।

আইন পাশ হওয়ার পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো, আইনানুযায়ী হাইআতুল উলয়াকে পরিচালনা করা এবং শিক্ষার মান নিশ্চিত করা।

অনেকেই ভয় পাচ্ছে স্বীকৃতির ফলে হয়তো সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ তৈরি হবে।

আমি বলবো, সরকার যদি আমাদের দাবি অনুযায়ী আইনটা জাতীয় সংসদে পাশ করে তবে হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না। এরপরও যতোটুকু ভয় থেকে যায় উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা অতিক্রম করা সম্ভব।

আলেমদের বলবো স্বীকৃতি ভালোভাবে যাচাই করে নিন

মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ
জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড

স্বীকৃতির ঘোষণা বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারও দিয়েছিলো কিন্তু তা কার্যত আলোর মুখ দেখে নি। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন তখন আমাদের মনে শঙ্কা থেকে গিয়েছিলো হয়তো এবারও আলোর মুখ দেখবে না।

কিন্তু মন্ত্রিসভায় কওমি শিক্ষা আইন পাশ হওয়ার পর আমাদের শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে। এখন চূড়ান্ত আইনে পরিণত হওয়ার পথে তেমন কোনো বাধা নেই।

আজ খুশির মুহূর্তে আমি মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ এবং আল্লামা আহমদ শফী, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদসহ কষ্ট ও পরিশ্রম করেছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

আমি একটা কথা খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আমরা স্বীকৃতিতেই খুশি না। আমাদের স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বীকৃতি হলেই খুশি। সুতরাং আমি উলামায়ে কেরামকে অনুরোধ করবো স্বীকৃতির জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার আগে তা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিন।

দরকার হলে বিলম্ব হোক তবুও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই সামনে আগাতে হবে।

ব্যবসার হিসাব নিয়ে জটিলতা আর নয় (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন

৬ বোর্ডের কর্ণধারদের সবসময় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

মুফতি এনামুল হাসান
তানযীমুল মাদারিসিদ দিনিয়া বাংলাদেশ

সারা দেশের উলামায়ে কেরাম ও অভিভাবকগণের প্রচেষ্টা ছিলো কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি হোক, স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাশ করা হোক। মন্ত্রিসভায় তা পাশ হওয়ার কারণে আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হলো।

এখন বলা যায়, সামনের ধাপগুলো অতিক্রম করতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। সুতরাং বিষয়টি অবশ্যই আনন্দের।

এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভায় উপস্থিত সব মন্ত্রী ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

স্বীকৃতির কিছু নেগিটিভ দিকও আছে। সরকারি আইন হওয়ার অর্থ হলো আমরা কিছুটা হলেও সরকারের নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছি কোনো সন্দেহ নেই। এখন আমাদের আত্মরক্ষার উপায় হলো, ৬ বোর্ডের কর্ণধারগণ যেনো ভবিষ্যতে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেন।

আজ যে শর্তের ভিত্তিতে কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি গ্রহণ করা হলো তা যেনো ভবিষ্যতেও রক্ষা করা হয়। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো যাবে না।

স্বীকৃতিতে বিরূপ মন্তব্যকারীদের যাথাযথা উত্তর দিতে হবে

মাওলানা এনামুল হাসান
আজাদ দীনী এদারায়ে তালিম সিলেট

দুইশো বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি হচ্ছে। ঘোষণা থেকে শুরু করে মন্ত্রীসভায় পাশ হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় হয়েছে। এজন্য তাকে ধন্যবাদ আমরা আশা করবো তিনি আইনটি সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবেন।

কওমি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবাই স্বীকৃতিতে সুন্দর ভালোভাবে গ্রহণ করবে। সরকারকে সাধুবাদ জানাবে।

আমি মিডিয়ায় দেখলাম, অনেকে বলছেন শেষ সময়ে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার ভোট ব্যাংক সমৃদ্ধ করার জন্য কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি প্রদান করেছে। কারণ সরকার স্বীকৃতির প্রক্রিয়া ২০১৪ সালে শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে তা এগিয়েছে। এখন তা চূড়ান্ত রূপ নিবে।

আমি আরও দেখেছি, কওমি মাদরাসা সরকারের স্বীকৃতি গ্রহণ করায় তীব্র সমালোচনা করছে। জোট সরকারের সময় স্বীকৃতি আইনে পরিণত হওয়ার পথে এরাই বাধা দিয়েছিলো।

নিজদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়া এবং আওয়ামী লীগের ভাগে কিছু ক্রেডিট পড়ে যাচ্ছে। এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই স্বীকৃতি নিয়ে নানা কুৎসা রচনা করছে।

কওমি উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব হলো, আমাদের স্বকীয়তা রক্ষা করা এবং যারা বিরূপ মন্তব্য করছে তাদের যাথাযথা উত্তর দেয়া।

আরও পড়ুন

‘কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির বিরোধিতাকারীরা মূর্খের স্বর্গে বাস করেন’
স্বীকৃতির পর আমাদের কী করণীয়?
দেওবন্দের মূলনীতির ওপরে ভিত্তি করেই স্বীকৃতি বাস্তবায়ন হচ্ছে
সরকারকে অভিনন্দন তবে শঙ্কাও আছে: উবায়দুর রহমান খান নদভী
‘সরকারকে অভিনন্দন; তবে বাকি প্রক্রিয়াও শিগগির সম্পন্ন হোক’

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ