গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ মন্ত্রিসভায় পাশ হলো কওমি স্বীকৃতি আইন। এ নিয়ে চলছে বিস্তার আলোচনা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অভিনন্দন পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিগণ। আবার কেউ কেউ এখনই আলোচনা করতে রাজি হচ্ছেন না।
তবে প্রাথমিক পদক্ষেপে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছেন সরকারকে। কারণ অতীতে স্বীকৃতি বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও সেটি আশ্বাসের মধ্যেই সীমিত ছিল।
কওমি মাদরাসা স্বীকৃতি বিষয়ে ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন নেতার তাৎক্ষণিক বক্তব্য নিয়েছেন আওয়ার ইসলামের প্রতিনিধি সুফিয়ান ফারাবী
ইশা ছাত্র আন্দোলন শেখ ফজলুল করিম মারুফ আওয়ার ইসলামকে বলেন, কওমি মাদরাসাসমুহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও অারবি) সমমান আইন, ২০১৮ শীর্ষক যে আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেটা আশাব্যাঞ্জক।
আইনটি পূর্ণাঙ্গ না পড়ে এই সম্পর্কে মন্তব্য করা সমিচিন হবে না। তবে এ আইন প্রনয়ন করার সময়ে আইনের অংশীদারদের সাথে সত্যিকার অর্থে কোন আলোচনা হয়নি। সাধারণ কওমি শিক্ষার্থীগণ, সাধারণ মাদরাসা শিক্ষকবৃন্দের কাছ থেকে ব্যাপক ভিত্তিক মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠনসমুহের সাথেও কোনো আলোচনা করা হয়নি বিষয়টি নিয়ে। হ্যাঁ! এটা ধন্যবাদের বিষয়, দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। এ আইনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের স্বার্থ কতটা রক্ষা হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
একাডেমিক কারণেই বাংলাদেশের আইনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানি। বাংলাদেশের আইন চমৎকার হলেও আইনে ফাকফোকর রেখে দেয়া হয়। এই আইনেও কোন ফাকফোকর নাই সেটা আমরা আশা করছি।
যাই হোক! আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সাথে আইনের মারপ্যাঁচ ও ছলচাতুরির বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করছি।
একই বিষয়ে ছাত্র জমিয়তে সভাপতি এম সাইফুর রহমানের আওয়ার ইসলামকে বলেন, কওমি সদনের স্বীকৃতি আমাদের র্দীঘ দিনের চাওয়া ছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমরা তা পেয়েছি। তবে যেসব কাজ এখনো বাকি তা শিগগির শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইলিয়াস আহমদ বলেন, স্বীকৃতির ব্যাপারটা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস সবার আগে সামনে এনেছিল। ১৯৯২ সালে একটি সেমিনারে এ দাবি উত্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা রাজপথেও এ দাবি জানিয়েছি। গণস্বাক্ষর সংগ্রহও করা হয়েছে এ বিষয়ে।
গত বছর আলেমদের গণভবনে ডেকে যখন স্বীকৃতি দেয়া হয় আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আজ যখন মন্ত্রী পরিষদে এটি পাশ করা হলো তখন আমরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। এখন আমাদের প্রত্যাশা খুব দ্রুতই সরকার সংসদেও বিল পাশ করবেন।
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খ শাখার সভাপতি আল আবিদ শাকির বলেন, স্বীকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম হলো। এজন্য সংশ্লিষ্টদের মোবারকবাদ। তবে সংসদে বিল পাশ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত খুশি হওয়ার কিছু দেখছি না।
ব্যবসার হিসাব নিয়ে জটিলতা আর নয় (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন
আরও পড়ুন
‘মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আস্থা ও ভালোবাসার শক্ত ঘাটি হবে কওমি শিক্ষাঙ্গন’
মন্ত্রিসভায় পাস হলো কওমি আইন, দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান
সরকারকে অভিনন্দন তবে শঙ্কাও আছে: উবায়দুর রহমান খান নদভী
দেশে দেশে তারুণ্যের জাগরণ, পিছিয়ে পড়ছে কি কওমি তরুণরা?
-আরআর