শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পা-বিহীন সেই সিরিয়ান শিশুটির হাঁটার ব্যবস্থা করল তুরস্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : অাট বছরের সিরিয়ান শিশু মায়া মেরহি।জন্মের পর থেকে পা-ছাড়া চলাফেরা করতে হয় তার। মূলত জন্মগত কারণে দুই পা ছাড়াই পৃথিবীতে এসেছে মেরহি।

সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের সময় আশ্রয় নিয়েছিল আলেপ্পোর একটি শরণার্থী শিবিরে। তার বাবার সাথে আলেপ্পোর একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস করতো মেহরি।

মায়ার বাবার পরিস্থিতিও তার মতো। জন্ম থেকেই তারও দুই পা নেই। কৃত্রিম পায়ের ওপর ভর করে চলতে হয় তাকেও। শরণার্থী জীবনে মেয়েকে নিয়ে ব্যাপক কষ্ট হচ্ছিল তার।

এরই মধ্যে মায়া ও তার পরিবার অালেপ্পো  থেকে ইদলিবে পালিয়ে যাওয়ার পর তার কিছু ছবি প্রকাশ পায়।

এসব ছবিতে দেখা যায় সে পা দিয়ে হাটার জন্য টিউব ও টিনের কৌটা দিয়ে কৃত্তিম উপায়ে তৈরি করা পা দিয়ে হাটছে। তার বাবা কৃত্তিম এসব পা তাকে বানিয়ে দিয়েছে যাতে করে তাকে উত্তপ্ত বালু ও ময়লা আবর্জনায় গড়াগড়ি না খেতে হয়।

মায়া এই কৃত্তিম পা নিয়ে তাবুর বাইরে আসতো। হেটে হেটে শরণার্থী শিবিরের স্কুলেও যেত।

বিশ্ববাসী তার করুণ অবস্থা দেখার পর তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট মেরেহি ও তার বাবাকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।

চিকিৎসক ডা. মেহমেট জেকি বলেন, বর্তমানে মায়া খুব খুশ। তার স্বাস্থ্যও ভালো। এমনকি সে কারো সাহয্য ছাড়াই ভালোভাবে হাঁটতেও পারছে। মাস তিনেকের মধ্যে মায়া স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, তার বাবা তার জন্য কৃত্তিম পা তৈরি করে দেয়ার ফলে সে আগে থেকেই হাঁটতে অভ্যস্ত ছিল। তাই সে খুব দ্রুত তা শিখতে পারছে।

মায়া মেরহি ও তার বাবা দুজনেই স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারবে বলে আশাবাদী মেহমেট জেকি।

সিরিয়ায় গত ৭ বছরের যুদ্ধে কতজন নিহত হয়েছেন তার কোন সঠিক তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয় ৪ লাখ ৬৫ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন এক মিলিয়নের অধিক।

দেশটির যুদ্ধপূর্বাবস্থার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ তাদের দেশ ত্যাগ করেছে।

আরও পড়ুন : দক্ষিণ সিরিয়ায় ১লক্ষ ৮০হাজার শিশু ঘরহারা: ইউনিসেফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ