শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

হস্তলিখিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাণ্ডুলিপি তৈরি হচ্ছে মিশরে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: মিশরের এনডাউমেন্টস মন্ত্রণালয়ের খতিব মোহাম্মাদ আব্দুস সত্তার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নথিভুক্ত করার জন্য পবিত্র কুরআনের হস্তলিখিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাণ্ডুলিপি লেখা শুরু করেছে।

৪১ বছর বয়সী মিশরের এনডাউমেন্টস মন্ত্রণালয়ের খতিব মুহাম্মাদ আব্দুস সত্তার সেদেশের ডকহলিয়া প্রদেশের বাসিন্দা। তিনি ২০শে ফেব্রুয়ারি পবিত্র কুরআনের হস্তলিখিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাণ্ডুলিপি লেখা শুরু করেছেন।

তিনি এ ব্যাপারে বলেন: আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই পাণ্ডুলিপিটি হাতে লেখা। কারণ আমি এপর্যন্ত ক্যালিগ্রাফির বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করেছি এবং ক্যালিগ্রাফির ওপর যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছি।

কুরআনকে উপেক্ষার কারণে সমাজে এত অবক্ষয়: গবেষক
মোহাম্মদ আব্দুস সত্তার বলেন কাজের শুরুতে আমাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে পবিত্র কুরআনের এই এই বৃহৎ পাণ্ডুলিপিটি লেখার জন্য আমার একটি বড় স্থানের প্রয়োজন ছিল।

অবশেষে আমি দাকাহলিয়া প্রদেশের মিত গামার শহরের সর্ববৃহৎ মসজিদের শরণাপন্ন হয় এবং সেখানে এই বৃহৎ পাণ্ডুলিপিটি লেখার করা শুরু করি। পাণ্ডুলিপিটির দৈর্ঘ্য ৯ মিটার এবং প্রস্থ ৬ মিটার।

কুরআন শরিফের এই পাণ্ডুলিপিটির বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন: আমি এই পাণ্ডুলিপিটির লেখার জন্য ২০শে ফেব্রুয়ারি শুরু করি। এপর্যন্ত প্রায় অর্ধেক লেখা শেষ হয়েছে।

কালো মমি ফ্যাব্রিকের উপর এটি লেখা হচ্ছে। প্রতি পৃষ্ঠায় ৪৪টি লাইন রয়েছে এবং প্রতি পৃষ্ঠায় অর্ধেক পারা লেখা হচ্ছে।

মিশরের এনডাউমেন্টস মন্ত্রনালয়ের খতিব বলেন: প্রতিটি পৃষ্ঠা লেখার জন্য প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগছে। এই পাণ্ডুলিপিটি সম্পন্ন করতে মোট কি পরিমাণ অর্থ লাগবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে শুধুমাত্র ফ্যাব্রিকের মূল্য হচ্ছে ৭ হাজার মিশরীয় পাউন্ড।

উল্লেখ্য, বর্তমানে গিনেসে রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় বইটি হচ্ছ "হাজা মুহাম্মাদ"«هذا محمد»। এই গ্রন্থটি আমিরাতের এন্ডোয়েটমেন্ট মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে প্রিন্ট করা হয়েছে। তবে এই বই টি প্রিন্টকৃত; অথচ মিশরের এনডাউমেন্টস মন্ত্রনালয়ের খতিব মোহাম্মাদ আব্দুস সত্তারের পাণ্ডুলিপিটি সম্পূর্ণ হাতে লেখা।

আরো পড়ুন- মাদরাসার জন্য কি আমরা আরেকটু উদার হতে পারি না?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ