আওয়ার ইসলাম : পবিত্র হজের মৌসুমে হাজিদের সেবা দিতে প্রায় দেঢ় লাখ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবে যাওয়া ২০ লক্ষ্যাধিক হাজির বিপরীতে এ কর্মীদের নিয়োগ দিলো সৌদি সরকার।
গত শনিবার পবিত্র মক্কায় কেন্দ্রীয় হজ কমিটির পক্ষে হজের প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বানতান।
তিনি জানান, নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই পুরুষ। কিছু সংখ্যক নারীও রয়েছে তাদের মধ্যে। এর বাইরে রয়েছে বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী ও বয় স্কাউট।
সংবাদসম্মেলনে হাজিদের সেবায় গৃহিত সৌদি সরকারের পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকার বৈষম্য ছাড়াই সব হজযাত্রীকে সেবা দিতে সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
হজযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া কেমন হওয়া উচিত
মুহাম্মদ সালেহ বানতান আশা করছেন এবার হজ করতে সৌদি আরবের বাইরে থেকে যোগ দেবেন প্রায় ১৭ লাখ মুসলিম। তার সঙ্গে যুক্ত হবেন সৌদি আরবের ২ লাখ ১১ হাজার। সব মিলে হজযাত্রীর সংখ্যা ২০ লাখের মতো হবে।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর এসব মেহমানকে স্বাগত জানাতে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জেনারেল প্রেসিডেন্সি বলা হয়েছে, শিক্ষিত নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে নারী হজযাত্রীদের সঠিক উপায়ে হজ পালনের পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়ার জন্য। সরবরাহ করা হচ্ছে পবিত্র কোরআনের কপি। গ্রান্ড মসজিদের ভিতরে পবিত্র জমজমের পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মক্কা ও অন্য পবিত্র স্থানকে পরিষ্কার ও অন্যান্য সেবা দিতে মক্কা মিউনিসিপ্যালিটে ২৩ হাজারের বেশি প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, পরিচ্ছন্নকর্মী ও তদারক নিয়োগ করেছে।
মক্কায় স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগ বলেছে, বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চার হাজারেও বেশি বেড প্রস্তুত রেখেছে। কোনো হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এসব স্থানে নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।
মক্কা, মিনা, আরাফাতের ময়দান ও মুজদালিফায় সাধারণ হাসপাতালের পাশাপাশি ১২৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এ সেবা দেয়া হবে। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত। পবিত্র স্থানগুলোতে দায়িত্বে থাকবে শতাধিক এম্বুলেন্স। এগুলো দুর্বল হজযাত্রীদের সেবা দেবে।
অন্যদিকে মক্কা ও মদিনায় অসুস্থ হজযাত্রীদের স্থানান্তর করবে আরো ৪৫টি এম্বুলেন্স।
হজযাত্রীদের এম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দিতে ১২৪৫টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্র খুলেছে সৌদি রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ। তাতে দায়িত্ব পালন করছেন দশ হাজারেরও বেশি নারী ও পুরুষ। এর বাইরে আকাশপথে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিনটি আকাশযান।
পবিত্র স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে ন্যাশনাল ওয়াটার কোম্পানি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারি পরিসংখ্যান মতে, সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৮ জন হজযাত্রী।