শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মসজিদ বন্ধ করার খাহেশ পূরণ হলো না লে পেনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : বিশ্বব্যাপী যখন উগ্র জাতীয়তাবাদ ও রংক্ষণশীল অর্থনীতির উত্থান ঘটছে, তখন ফ্রান্সের জনগণ অতি ডানপন্থী ও মুসলিম বিদ্বেষী লে পেনকে প্রত্যাখ্যান করলো। সদ্যসমাপ্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন জয় পেয়েছেন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের মুসলিম সম্প্রদায়।

রবিবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রন পেয়েছেন ৬৬.৬ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উগ্র-ডানপন্থী মেরিন লে পেন পেয়েছেন ৩৩.৯৪ শতাংশ ভোট। গত নির্বাচনে লে পেন পেয়েছিলেন ১৮ শতাংশ ভোট।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এফএন ঐতিহাসিকভাবে ইউরোপবিরোধী, অভিবাসনবিরোধী দল। নির্বাচনি প্রচারণায় লে পেন বর্ণবাদী, অভিবাসী ও মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যকে হাতিয়ার করে। সে নির্বাচিত হলে মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো।

ম্যাক্রো নির্বাবিচত হওয়ায় ফ্রান্সের মুসলমানদের স্বস্তি

ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন

তবে এবারের নির্বাচনকেই শেষকথা মানতে নারাজ অনেকেই। জ্যঁ জুরেস ফাউন্ডেশনের অবজারভেটরি অব র‍্যাডিক্যাল পলিটিকসের পরিচালক জ্যঁ-ইভ কামু বলেন, ‘নির্বাচনে বড় হারের কারণে এফএন হারিয়ে যাচ্ছে না। যদি এ অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ২০২২ সালের নির্বাচনে লে পেনের এফএনের উত্থান দেখা যেতে পারে।’

ছয় বছর আগে লে পেন এফএনের নেতৃত্বে আসার পর দলটির জনসমর্থন ব্যাপকহারে বেড়েছে। স্থানীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ বেড়েছে দলটির। লে পেন দলের দায়িত্বে আসার পর তিনি মূলধারার দলগুলোর মতোই রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি উগ্র জাতীয়তাবাদী ও

জনপ্রিয়তাবাদী প্রচারণাকেও উসকে দিতে সক্ষম হন। তিনি নিজেকে ‘জনগণের প্রার্থী’ বলে প্রচারণা চালান। সেই সঙ্গে অভিবাসন, শরণার্থী ও মুসলিম বিদ্বেষ, ইইউ, ইউরো, বিশ্বায়ন, বিদেশি শ্রমিক ও কর ব্যবস্থাকে সামনে রেখে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তাবাদী, উগ্র-জাতীয়তাবাদী প্রচারণা চালান। দলটি সম্প্রতি অভিবাসনবিরোধী ও ইসলাম বিদ্বেষী উসকানির প্রচারণা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, ডানপন্থী, মধ্যপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যেও এর প্রসার দেখা যায়।

নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে বিভক্তির বিপরীতে ঐক্যের প্রশ্নে ম্যাক্রন  বলেন, ‘আমি আপনাদের ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা, শঙ্কার কথা শুনেছি। যেসব শক্তি ফ্রান্সকে বিভক্ত করে পদানত করতে চায়, আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। আমি জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করবো। ইউরোপের ঐক্য নিশ্চিত করবো। পুরো বিশ্ব আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ