শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রবাসীদের পাঠানো টাকার পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশ্বব্যাংকের এক হিসাব মতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয় কমেছে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ। তবে শুধু বাংলাদেশই নয় পুরো বিশ্বের রেমিটেন্সই কমেছে বলে ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, বিগত বছরে বিশ্বজুড়ে রেমিটেন্স প্রবাহ শতকরা চার ভাগের মতো কমে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার দুর্বল অর্থনীতি এবং জ্বালানী তেলের দাম কমে যাওয়ার দরুন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান বা কুয়েতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, পশ্চিমা দেশগুলোতে অভিবাসী-বিরোধী মনোভাব তৈরি হওয়া- এ রকম নানা কারণেই এই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম শীর্ষ খাত হচ্ছে প্রবাসী আয়। তাই অবধারিতভাবেই এর প্রভাব এসে পড়ছে দেশটির অর্থনীতিতে।

ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে মাইগ্রেশন অ্যান্ড রেমিটেন্স ফ্যাক্টবুক ২০১৬ শিরোনামের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার মোটে চার মাস বাকী থাকতে রেমিটেন্স আয় কমে গেছে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ।

ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলছিলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী মূলত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রবাসী আয়েই গত বছর সবচাইতে বড় ধাক্কাটা লেগেছে।

এর আগে রেমিটেন্স খাতে বছর বছর বারবার উন্নতিই দেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ধাক্কাটা আসে গত বছর। এক বছরে প্রবাসী আয়ে ঘাটতি তৈরি হয় দেড়শ কোটি ডলারের উপরে।

আর চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার মোটে চার মাস বাকী থাকতে হিসেব বলছে, রেমিটেন্স আয় কমে গেছে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ।

এখন বিশ্বব্যাংক যখন প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, বিশ্ব জুড়েই কমেছে রেমিটেন্স প্রবাহ, তখন সংখ্যার বিচারে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম জনশক্তি জোগানদাতা দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে একটা প্রভাব পড়বে - সেটা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে হিসাবরক্ষণ শুরু হবার পর বাংলাদেশে সবচাইতে বেশী প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স এসেছিল ২০১৫ সালে, সে বছর বাংলাদেশ ব্যাংকে রেমিটেন্স জমা পড়েছিল দেড় হাজার কোটি ডলারের বেশী।

তবে এখন বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী প্রবাসী আয় প্রবাহ কমে যাওয়ার যেসব কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে, তার সাথে আরো কিছু কারণ যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে।

নিজেদের মূত্র পান করে তামিলনাড়ুর কৃষকদের প্রতিবাদ

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ