মুহা. অাশিকুল ইসলাম খান: সন্দেহভাজনদের তালিকায় নাম উঠায় দুই মাদরাসা ছাত্র নিজেদের নির্দোষ দাবি করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুর এলাকায়।
জানা যায়, সম্প্রতি মিরপুরস্থ কাজী পাড়া এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী তৎপড়তায় অাটক করা হয় অাবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তিকে এবং তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্দেহভাজনদের তালিকাভুক্ত হয় এলাকার অারো কয়েকজন। এদের মধ্যে দ্বীন ইসলাম ও সালমান সাজিদ নামের দুই সহোদরও রয়েছেন।
দ্বীন ইসলাম মিরপুর ১৩ নম্বর দারুল উলুম মাদরাসা থেকে ২০১৫ সালে তাকমীল ( মাস্টার্স) সমাপন করে বাবার ব্যবসায় যুক্তি আছেন আর সালমান সাজিদ ওই প্রতিষ্ঠানেই অধ্যায়নরত।
তাদের নাম সন্দেহভাজনদের তালিকাভুক্ত হওয়ায় তারা নিজেদের সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ দাবী করে অাত্মসমার্পন করেন।
তাদের সম্পর্কে এলাকায় খোঁজ খবর নিতে গেলে স্থানীয় ব্যাবসায়ী উজ্জ্বল বলেন, ‘অাসলে তারা উভয়ে সম্পূণ নির্দোষ। তবে অাবুল কাসেমের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল এলাকার ছেলে ও বন্ধু হিসেবে। কোন ধরনের উগ্রতা বা হাঙ্গামার মাঝে তারা ছিল না।
স্থানীয় বাড়ীওয়ালা জয়নাল অাবেদীন বলেন, অাবুল কাসেমের সাথে তাদের প্রায়ই একসাথে দেখা যেত তাদের মাঝে কোন কিছু হয়েছে কিনা তা অামাদের জানা নেই। তবে ছেলে হিসেবে তারা উভয়েই খুব ভালো।
কয়েকটি মুসলিম দেশে ভয়াবহ খাদ্য সংকট
এ বিষয়ে তাদের বাবা হাজী অালমগীর হুসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সপ্তাহ খানেক আগে রাত অাটটা নয়টার দিকে যখন কেউ বাসয় ছিলো না র্যাবের একটি বাহিনী তার বাড়ীতে অাসে এবং ছেলেদের খুঁজতে থাকে। কারণ জিজ্ঞেস করলে বলা হয় ধৃত জঙ্গী অাবুল কাসেম নিজ সহযোগী হিসেবে দ্বীন ইসলাম ও সালমানের নাম উল্লেখ করেছে। তখন ছেলেরা বাড়ীতে না থাকায় অাইনশৃঙ্খলা বাহিনী শূন্য হাতেই ফিরে অাসে এবং পরদিন পত্রিকায় তাদের নাম জঙ্গী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তখন হাজী অালমগীর হুসাইন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় কাউন্সিলরেরসহ স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযুদ্ধা কামাল মজুমদারের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেন। এলাকার সবার সিন্ধান্ত অনুযায়ী অাইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাফরুল থানায় দুই ছেলেকে অাত্মসমর্পন করান।
হাজী অালমগীর হুসাইন বলেন, অামার দুই ছেলে তিন মেয়ে তারা প্রত্যেকে বাল্যকাল থেকেই নিয়মিত নামাজ পড়ে এবং অামার ছেলেরা অালেম তারা কখনো বাড়ীর বাইরে ছিল না এবং তারা কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না। যেহেতু তাদের নাম সন্দেহভাজনদের দালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাই অামি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাদেরর অাত্মসামর্পন করিয়েছি।
বর্তমানে তারা ডিবি কার্যলায়ে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই তাদের তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাজী অালমগীর হুসাইন বলেন, গত ২৬/৩/২০১৭ তারিখে তাদের ডিবি কার্যালায়ে নেয়া হয় তারপর থেকেই তাদের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। থানায় যোগাযোগ করলে ওসি সাহেব বলেন, তারা ভালো অাছে। কিন্তু পরিবারের কারো সাথেই তাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি ।
এ ব্যাপারে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মুহাম্মদ শামীম হোসেন আওয়ার ইসলামকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোন মামালা দায়ের হয়নি এবং তাদের তদন্তের খাতিরেই ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। অার তদন্তের পরই বলা যাবে তাদের কোন প্রকার জঙ্গী তৎপড়তা রয়েছে কিনা ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতরূপে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
আরআর