আওয়ার ইসলাম: ‘২০১২ সালে চৈতি নামের একটি মেয়ের ইচ্ছায় তাকে সাইন্স নিতে দেওয়া হয়নি। মেয়েটি একবছর নষ্ট করে পুনরায় পরীক্ষা দিলেও তাকে সাইন্স দেওয়া হয়নি। পরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। যদি চৈতির আত্মহত্যার বিচার হতো তাহলে অরিত্রী অধিকারীকে মরতে হতো না।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একথাগুলো বলেছেন।
আজ বুধবার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বেইলি রোডের মূল শাখার বাইরে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘আমি গতকাল গভর্নিং বডিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বরখাস্ত করতে, তবে তারা তা করেনি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার এখন পুলিশ কাস্টডিতে অথবা সাসপেন্ডেড অথবা জামিনে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি।’
ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, ‘২০১২ তে আমি একবার আদালতে রিট করে আদেশ নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামিয়েছিলাম। এবার আর তা করবো না। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।’
৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী। অরিত্রীর স্বজনরা জানায়, পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে রোববারের (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে যায়। সে মোবাইল থেকে নকল করেছে— এমন অভিযোগে শিক্ষকরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়।
পরে সোমবার সে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলেও মোবাইলে নকল করার জন্য তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে তলব করে। পরে অরিত্রীর বাবা-মা স্কুলে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, নকল করার জন্য স্কুল থেকে অরিত্রীকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসার পর মেয়েকে স্কুলে রাখতে তদবিরের চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। এর মধ্যে অরিত্রী নিজের ঘর বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়।
অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার জন্য শিক্ষক দায়ী, এমন অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছে অরিত্রীর সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রীর আত্মহত্যা, অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা; পরীক্ষা বর্জন
কেপি