শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


‘কওমি মাদরাসার মাধ্যমে ব্যয় ছাড়াই রাষ্ট্র বিশাল শিক্ষিত গোষ্ঠী পাচ্ছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া। বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহসভাপতি। ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া বৃহত্তর মিরপুর ঢাকার সভাপতি। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব এবং জামিয়া হুসাইনিয়া ইসলামিয়া মিরপুর আরজাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল।

কওমি মাদরাসার গুণী এই শিক্ষাবিদ আলেমের সাথে এক মধ্য দুপুরে তাঁর কর্মস্থল (মাদরাসার) অফিসে বসে আলাপচারিতা করেছেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের যুগ্ন বার্তা সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ

তুলে এনেছেন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া কওমি স্বীকৃতির নানা বিষয়ে মূল্যবান তথ্য।

আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি কওমি সনদের স্বীকৃতি বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এটাতো একটা দীর্ঘদিনের চাওয়া বা দাবি। তো, এ দাবির উত্থাপন বা এ দাবি আদায়ে নেতৃত্বে সর্বপ্রথম কারা ভূমিকা রেখেছে বলে আপনি মনে করেন?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: আসলে আমি যতটুক জানি, এটা কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা দলের দাবি না। এটা সর্ব প্রথম কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীল লোকদের থেকেই এসেছে।

তবে, পর্যায়ক্রমে কখনো শক্তিশালী দাবি ছিল, কখনো দুর্বল আকার ধারণ করেছিল। হ্যাঁ, বর্তমান পরিস্থিতিতে হজরতুল আল্লাম আহমদ শফী সাবের নেতৃত্বে এ দাবিটা আরো জোড়ালো হবার কারণে স্বীকৃতিটা এসেছে। আর এর ক্রেডিট কোনো একক ব্যক্তির নয়। ক্রেডিট এখানে কওমি মাদরাসার সবারই।

আওয়ার ইসলাম: আপনার বাবা আল্লামা শামসুদ্দিন কাসেমী রহ. একজন বড় মাপের আলেম ছিলেন এবং আপনিও একটা সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব হিসাবে আছেন, একটা মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তো সব মিলিয়ে আপনার বাবা, আপনার সংগঠন এবং আপনার ব্যক্তিগত কোনো ভূমিকা কওমি স্বীকৃতি আদায়ে ছিল কী না?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: আসলে কী, আমার আব্বা ইন্তেকাল করেছেন নাইন্টি সিক্সে (১৯৯৬ সালে), তো, সে সময়ে এ দাবিটা ওই পর্যায়ে আলোচনায় আসে নাই। হয়তো কেউ কেউ দাবি করেছেন। কিন্তু জোড়ালোভাবে বা কোনো বোর্ড থেকে এ দাবিটা তেমন ওঠেনি।

তো, এ বিষয়টা তখনতো এতো আলোচিত বিষয় ছিল না। বর্তমানে আমরা যারা আছি, আমরা স্বীকৃতির পক্ষেই ছিলাম এবং স্বীকৃতিটা যাতে আমাদের ঐতিহ্য, স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রেখেই হয়, এ ক্ষেত্রে আমরা আল্লামা আহমদ শফী সাবের নেতৃত্বে ভূমিকা পালন করেছি।

এ স্বীকৃতিটা যাতে কোনো ধরনের বিকৃতি বা কওমি মাদরাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে না আসতে পারে, সে জন্যে হজরত মাওলানা আহমদ শফী সাবের নেতৃত্বে, বেফাকের উদ্যোগে আমাদের আরজাবাদ মাদরাসার মাঠেই ওলামাদের একটা সর্ববৃহৎ সম্মেলন হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন।

আমরা সে সম্মেলন বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ! সে সম্মেলনের পরেই কিন্তু, এতোদিন যারা কওমি স্বীকৃতি নিয়ে ধুম্রজালের চেষ্টা চালাতে চেয়েছিল, সেটার দমন হয়ে গেছে।

আওয়ার ইসলাম: দারুল উলুম দেওবন্দ কওমি মাদরাসার আইডল। তাই, দেওবন্দের চিন্তা-দর্শনের সাথে এই স্বীকৃতি সাংঘর্ষিক কী না?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: মাদারে দারুল দেওবন্দ বা দারুল উলুম দেওবন্দের যে চিন্তা-চেতনা ছিল বা যে নীতিমালার ওপর দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত, সে মূলনীতিকে সর্বোচ্চ পায়োরেটি ও গুরুত্ব দিয়েই আমাদের আলেমগণ স্বীকৃতি নিয়েছেন।

আর এই স্বীকৃতির অর্থ এটা না যে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া। যেহেতু সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, সরকার কোনো অনুদান দিয়েও কওমি মাদরাসাকে কিছু করার চেষ্টা রাখতে পারবে না ইত্যাদি দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তা-চেতনা বহির্ভূত কাজ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকার এই স্বীকৃতিকে আমি দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তা-চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক মনে করছি না।

আওয়ার ইসলাম: দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার যে ‘অষ্ট মূলনীতি’ রয়েছে, এর সাথে এই স্বীকৃতির কোন বৈরিতা বা সামঞ্জস্যতা আছে কী?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: স্বীকৃতির যে নীতিমালা আছে, এর সাথে দেওবন্দের ৮ মূলনীতির সাথে কোনো বৈরিতা দেখছি না। আর যেহেতু বৈরিতাই নাই, তাই সামঞ্জস্যতা আছে কী নেই তার কোনো প্রশ্নই আসে না।

তাছাড়া ওই অষ্টম মূলনীতিকেতো আমরা কোনোভাবে বর্জন করছি না। আমাদের সর্বোচ্চ মহল আল্লামা আহমদ শফী সাহেবসহ সকল আলেম এ ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন যে, কোনো অবস্থাতেই যেন অষ্টম মূলনীতির কোনো ধারা, কোনো নীতিমালা এখানে ব্যহত হোক, সে ব্যাপারে আমরা ছাড় দিতে প্রস্তুত না। অতএব এখানে বৈরিতার কোনো প্রশ্ন আসে না।

আওয়ার ইসলাম: স্বীকৃতি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীকে একটি সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন হাইয়াতুল উলইয়া। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করছে। যেমন কেউ কেউ বলছে, এই সংবর্ধনা শাপলার রক্তের সাথে বেঈমানী হবে। আপনি কী মনে করেন?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: শাপলা চত্বরে যে গণজমায়েত, অবরোধ, কর্মসূচি- সেটা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে। হেফাজতে ইসলাম মূলত কওমি মাদরাসার সংশ্লিষ্ট ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বেই পরিচালিত।

আজকের বেফাকের যিনি সভাপতি, হাইয়াতুল উলইয়ার যিনি চেয়ারম্যান এবং হেফাজতে ইসলামের আমীর, তিনি একই ব্যক্তি। সর্বশ্রদ্ধেয় আলেম, যার প্রতি আমরা শতভাগ আস্থা রাখি এবং সবাই যাকে মুরব্বি হিসাবেই গ্রহণ করি, তিনি আমাদের আল্লামা শাহ আহমদ শফী (হাফিজাহুল্লাহ)।

যেহেতু শাপলা চত্বরের আন্দোলনটা উনার নেতৃত্বেই হয়েছে আবার কওমি মাদরাসার স্বীকৃতিটাও উনার নেতৃত্বেই হয়েছে। তো, সে হিসাবে বিষয়টাকে কেউ কেউ এক করে ফেলতে চায়।

অথচ তিনিতো বলেন নাই যে, কওমি স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের যে তেরো দফা, সে দাবি থেকে আমি সরে এসেছি, ঈমানী দাবির আন্দোলনে আমার যে অবস্থান ছিল, সেটা এখন নাই এরকম তো তিনি বলছেন না। তাহলে শাপলার রক্তের সাথে বেঈমানী হবে এটা কী ধরনের মন্তব্য!

এখানে একটা বিষয় দেখতে হবে, আসলে এ মন্তব্যগুলো কারা করছে, কোন মহল থেকে আসছে বেশি, সেটাও বিবেচনার বিষয়। নাকি পরিস্থিতি ঘোলা করতে চায়, পানি ঘোলা করতে চায়, এমন ধরনের মহল থেকে এসব মন্তব্য আসছে কী না সেটা বিবেচনার বিষয়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে, বিভিন্ন সংগঠন আছে, সংস্থা আছে, তারা বিভিন্ন আন্দোলন করেছে, করছে। স্কুলে যারা পড়ছে তারাওতো বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করেছে এবং তাদের সাথে সরকারে সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে, রক্তপাত ঘটেছে, তাই বলেতো ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা সরকারের স্বীকৃতি গ্রহণ করা থকে বিরত থাকে না।

এখানেতো কোনো প্রশ্ন আসে না, কওমি মাদরাসার ক্ষেত্রে কেন আসবে! এটাতো একটা শিক্ষার স্বীকৃতি দিলো সরকার। বিশাল জনগোষ্ঠিকে সরকার তার শিক্ষার আওতায় নিয়ে গেলো। তো, ‘শাপলার রক্তের সাথে বেঈমানী’ এ কথাটা আসলে ঠিক না।

আর যেহেতু স্বীকৃতির মতো একটা বড় কাজ করেছে, সে হিসাবে একটা সংবর্ধনা পেতে পারে। তবে এই সংবর্ধনা যেন এমন না হয় যে, এটাকে কেউ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।

যেহেতু স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে শিক্ষাবোর্ডকে, তাই সংবর্ধনাও সেই আলোকে দিবে। আর এই সংবর্ধনা থেকে কেউ যাতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে না পারে, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আওয়ার ইসলাম: এই স্বীকৃতি নেয়ায় কওমির স্বকীয়তায় কোনো বিকৃতি ঘটবে কী না? কিছু মাদরাসার বিতর্কিত অনুষ্ঠানের কারণে কেউ কেউ যে, মন্তব্য করে বসলো, স্বীকৃতির বিকৃতি ঘটতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে আপনি কী মনে করেন?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: এটা ভবিষ্যত বলবে। তবে বর্তমানে যাদের নেতৃত্বে আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি বা স্বীকৃতি আনা হয়েছে তারাতো এ অবস্থানে অটল আছেন যে, কওমি মাদরাসার স্বার্থ ক্ষুন্ন না হোক, এ ব্যাপারে আপোষহীন সবাই।

বাকিটা ভবিষ্যত পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্বে থাকবেন, তারা এটা কতটুক ধরে রাখতে পারবেন, তা ভবিষ্যত নেতৃবৃন্দের উপর নির্ভর করবে।

আর বিভিন্ন মাদরাসার বিতর্কিত অনুষ্ঠানের কথা যে বললেন, তা যে স্বীকৃতি দেয়ার পরেই ঘটেছে বিষয়টা তা নয়। এ ধরনের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে। এজন্য মফস্বল এলাকার মাদরাসার ভূমিকা বা তারা যদি কোনো কারণে দুর্বল হয়ে থাকে, তাহলে তাদের আশেপাশে বা জেলা শহরে নেতৃত্ব দেয়ার মতবা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ করলে বা একটা লিঁয়াজো থাকলে হয়তো এ ধরনের বিচ্ছন্ন ঘটনা ঘটতে পারতো না।

এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যেতে পারে। তবে, এসব ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে, বিভিন্ন সংগঠন আছে, সংস্থা আছে, তারা বিভিন্ন আন্দোলন করেছে, করছে। স্কুলে যারা পড়ছে তারাওতো বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করেছে এবং তাদের সাথে সরকারে সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে, রক্তপাত ঘটেছে, তাই বলেতো ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা সরকারের স্বীকৃতি গ্রহণ করা থকে বিরত থাকে না।

আওয়ার ইসলাম: পরিশেষে, আপনার দৃষ্টিতে এই স্বীকৃতির মূল্যায়ন কী?

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া: আসলে কওমি মাদরাসা মূলত দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা কারিকুলামে পরিচালিত। উপমহাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে।

১৮৬৭ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ শিক্ষাব্যবস্থা সরকারি-রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ভারত উপমাহাদেশসহ ইউরোপ, আফ্রিকা ইত্যাদি অন্যান্য দেশে যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে, এর থেকে প্রমাণ হয়, এ শিক্ষাটা মুসলিম জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে পেরেছে।

দিন দিন কওমি মাদরাসার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা একটা ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ বহন করে।

একটা অভিযোগ আমাদের সমাজে প্রচলিত ছিল, শুধু দরিদ্র ফ্যামেলির ছেলেরাই কওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করে। এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি ঠিক না।

তো, যাই হোক, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির বিষয়টা এটা কওমি ওলামাদের দীর্ঘ দিনের একটা দাবি ছিল। এই স্বীকৃতি দেয়ার কারণে কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা যে খুব উচ্চতায় পৌঁছে গেছে, বিষয়টা এরকম না।

আবার স্বীকৃতি না থাকার কারণে কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা যে একেবারে অতল গহ্বরে পতিত হয়েছে, বিষয়টা এরকম ছিল না। কওমি শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তো, মূল বিষয়টা বলি, যেহেতু এই শিক্ষাব্যবস্থাটা বিশাল জনগোষ্ঠির সাথে অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে এ জনগোষ্ঠিকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হত না। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমরা মনে করি, রাষ্ট্র তার বিশাল জনগোষ্ঠিকে মূল্যায়ন করার একটা সুযোগ গ্রহণ করলো।

আরেকটা বিষয় হল, আমাদের দেশে যদি শিক্ষার হার যদি ৪৫ পার্সেন্ট থাকে, তাহলে এই কওমি মাদরাসা স্বীকৃতি দেয়ার কারণেএর সাথে আরো ৫ পার্সেন্ট বা ১০ পার্সেন্ট শিক্ষার হারটাও বৃদ্ধি পেলো।

এটা রাষ্ট্রের জন্য, সরকারের জন্য উপভোগেরই বিষয়। বলা যায়, আমাদের তুলনায় তারাই লাভবান হবে বেশি। আরেকটা বিষয় বিষয় হল, রাষ্ট্রের একটা স্লোগান হল, নিরক্ষর মুক্ত করা, স্বাক্ষরতা যুক্ত দেশ গড়া। আর এরজন্য রাষ্ট্র এর পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। ফলাফল দেখা গেলো, রাষ্ট্র কোথাও সফল হচ্ছে, কোথাও ব্যর্থ হচ্ছে।

কিন্তু কওমি মাদরাসাগুলো নিজ উদ্যোগে, এদেশের সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় যে শিক্ষাটা সকল মুসলিমের ওপর বাধ্যতামূলক, যা আঞ্জাম দেয়াটা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দেয়া দরকার ছিল, সে কুরআনের শিক্ষা প্রদান করার সাথে সাথে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত রাখার যে স্লোগান রয়েছে, সে স্লোগানের পুরোপুরি বাস্তবায়নেকওমি মাদরাসা সে সেবা আঞ্জাম দিয়ে আসছে ।

আওয়ার ইসলাম: আওয়ার ইসলামকে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া:ধন্যবাদ আপনাকে এবং আওয়ার পরিবারের সবাইকে। আল্লাহ আপনাদের জাযা দান করুক।

আরও পড়ুন: ‘কওমি স্বীকৃতি যেন কারও রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার না হয়’

-আরআর


সম্পর্কিত খবর