রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

প্রবাসীদের পাঠানো টাকার পরিমাণ কমেছে ১৮ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশ্বব্যাংকের এক হিসাব মতে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয় কমেছে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ। তবে শুধু বাংলাদেশই নয় পুরো বিশ্বের রেমিটেন্সই কমেছে বলে ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, বিগত বছরে বিশ্বজুড়ে রেমিটেন্স প্রবাহ শতকরা চার ভাগের মতো কমে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার দুর্বল অর্থনীতি এবং জ্বালানী তেলের দাম কমে যাওয়ার দরুন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান বা কুয়েতের মতো উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, পশ্চিমা দেশগুলোতে অভিবাসী-বিরোধী মনোভাব তৈরি হওয়া- এ রকম নানা কারণেই এই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম শীর্ষ খাত হচ্ছে প্রবাসী আয়। তাই অবধারিতভাবেই এর প্রভাব এসে পড়ছে দেশটির অর্থনীতিতে।

ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে মাইগ্রেশন অ্যান্ড রেমিটেন্স ফ্যাক্টবুক ২০১৬ শিরোনামের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার মোটে চার মাস বাকী থাকতে রেমিটেন্স আয় কমে গেছে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ।

ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলছিলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী মূলত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রবাসী আয়েই গত বছর সবচাইতে বড় ধাক্কাটা লেগেছে।

এর আগে রেমিটেন্স খাতে বছর বছর বারবার উন্নতিই দেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ধাক্কাটা আসে গত বছর। এক বছরে প্রবাসী আয়ে ঘাটতি তৈরি হয় দেড়শ কোটি ডলারের উপরে।

আর চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার মোটে চার মাস বাকী থাকতে হিসেব বলছে, রেমিটেন্স আয় কমে গেছে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ।

এখন বিশ্বব্যাংক যখন প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, বিশ্ব জুড়েই কমেছে রেমিটেন্স প্রবাহ, তখন সংখ্যার বিচারে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম জনশক্তি জোগানদাতা দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে একটা প্রভাব পড়বে - সেটা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে হিসাবরক্ষণ শুরু হবার পর বাংলাদেশে সবচাইতে বেশী প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স এসেছিল ২০১৫ সালে, সে বছর বাংলাদেশ ব্যাংকে রেমিটেন্স জমা পড়েছিল দেড় হাজার কোটি ডলারের বেশী।

তবে এখন বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী প্রবাসী আয় প্রবাহ কমে যাওয়ার যেসব কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে, তার সাথে আরো কিছু কারণ যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে।

নিজেদের মূত্র পান করে তামিলনাড়ুর কৃষকদের প্রতিবাদ

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ