সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নোয়াখালীতে প্রশিক্ষণ প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে তরুণের মৃত্যু ময়মনসিংহে সীরাতকেন্দ্রের ‘ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং’ কর্মশালা মঙ্গলবার  রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখতে বসছে কমিটি আজহারীর বর্ণনায় নবীজির শারীরিক ও চারিত্রিক সৌন্দর্য জিরি মাদরাসা পরিদর্শনে এসে সৌদি শায়খের বিমুগ্ধতা ফিলিস্তিনকে প্রভাবশালী ৪ রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু নেজামে ইসলাম পার্টিসহ নিবন্ধন পাচ্ছে ৬ দল বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস বরিশালের সভাপতিকে বহিষ্কার কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন: সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মরক্কোতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

‘চৈতির আত্মহত্যার বিচার হলে অরিত্রীকে আর মরতে হতো না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘২০১২ সালে চৈতি নামের একটি মেয়ের ইচ্ছায় তাকে সাইন্স নিতে দেওয়া হয়নি। মেয়েটি একবছর নষ্ট করে পুনরায় পরীক্ষা দিলেও তাকে সাইন্স দেওয়া হয়নি। পরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। যদি চৈতির আত্মহত্যার বিচার হতো তাহলে অরিত্রী অধিকারীকে মরতে হতো না।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী  একথাগুলো বলেছেন।

আজ বুধবার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বেইলি রোডের মূল শাখার বাইরে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘আমি গতকাল গভর্নিং বডিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বরখাস্ত করতে, তবে তারা তা করেনি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার এখন পুলিশ কাস্টডিতে অথবা সাসপেন্ডেড অথবা জামিনে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি।’

ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, ‘২০১২ তে আমি একবার আদালতে রিট করে আদেশ নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামিয়েছিলাম। এবার আর তা করবো না। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।’

৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী। অরিত্রীর স্বজনরা জানায়, পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে রোববারের (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে যায়। সে মোবাইল থেকে নকল করেছে— এমন অভিযোগে শিক্ষকরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়।

পরে সোমবার সে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলেও মোবাইলে নকল করার জন্য তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।  স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে তলব করে। পরে অরিত্রীর বাবা-মা স্কুলে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, নকল করার জন্য স্কুল থেকে অরিত্রীকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসার পর মেয়েকে স্কুলে রাখতে তদবিরের চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। এর মধ্যে অরিত্রী নিজের ঘর বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়।

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার জন্য শিক্ষক দায়ী, এমন অভিযোগে মঙ্গলবার  সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছে অরিত্রীর সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রীর আত্মহত্যা, অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা; পরীক্ষা বর্জন

কেপি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ