রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে যাওয়া; দোয়া কবুল না হলেও বুঝতে হবে এতেই কল্যাণ রয়েছে’ উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হল ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কাতার'র ঈদ পুনর্মিলনী ঝড়ে রেললাইনে গাছ পড়ে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ইস্তিস্কার নামাজ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়! মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা চায় মানবাধিকার কমিশন ‘কোরবানিতে ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান দেওয়া হবে’ ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়াসহ ৪০ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল-কলেজ বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী দৌলতপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ

কুষ্টিয়ায়ু স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় আদালতে ৩ আসামীর ফাঁসির রায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র মুতাসসিম বিন মাজেদ হৃদয়কে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ৩ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের ছেলে সাব্বির খান, হাউজিং এ ব্লকের আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার।

রায় ঘোষণার সময় সাব্বির খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া এলাকা থেকে জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হৃদয়কে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ৪ দিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুনের কাছে ফোন করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পরবর্তীতে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা হৃদয়কে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। অপহরণকারীদের কথামতো ২ জুন গোপনে নির্দিষ্ট স্থানে ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেন হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুন। এরপরও অপহরণকারীরা হৃদয়কে ফেরত না দিলে হৃদয়ের মা বাদি হয়ে কুষ্টিয়া থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। পরে আটককৃতদের তথ্যনুযায়ী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার একটি ইটভাটার কাছে মাটির নিচ থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আকরাম হোসেন দুলাল বলেন, পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। ফলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

ছবিটি একজন প্রতিবাদী ফিলিস্তিনি যুবকের

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ