ইশতিয়াক সিদ্দিকী, হাটহাজারী প্রতিনিধি
‘কেউ কেউ বলেন আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি। তারা কমবখত (নির্বোধ), তারা মিথ্যা কথা বলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এমনি মহব্বত করে কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগ হই নাই। সেটা আপনাদের ভুল।’
সোমবার (১অক্টোবর) দারুল উলূম হাটহাজারীর ছাত্র মিলনায়তনে বেফাকুল মাদারিসিল আরবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মুমতাজ (জিপিএ ৫) প্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ কথা বলেন।
তবে বক্তব্যটি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পত্রিকা এর খণ্ডাংশ আবার কেউ কেউ কথাটিকে বিকৃত করে উপস্থাপন করায় চলছে সমালোচনাও।
তার বক্তব্যের ভিডিওতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ নিয়ে তিনি বলছেন, কী করে বলতেছেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি?
তারপর উদাহারণত তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেও কোনো আপত্তি নাই। কারণ আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন এমন মানুষ আছে, যারা দ্বীনকে ভালোবাসে। তারা আমাদের মোটা অংকে টাকা দিয়ে মাদরাসায় সাহায্য করে।
সে জন্য যারা বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বা আমি এই, ওই- তারা এসব কথা বললে আল্লাহর কাছে কী জবাব দিবেন?
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে মাদরাসার উলুমে হাদিসের শিক্ষার্থী ও প্রবচন সম্পাদক কাজী হামদুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
স্বীকৃতি বাস্তবায়নের এই প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেন এবং সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন বর্তমান বাংলাদেশের সর্বজনমান্য এই প্রাজ্ঞ মুরুব্বী, আমিরে হেফাজত ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
ব্যস্ততার জন্য যেসব পিন্সিপাল মাদরাসায় সময় দিতে পারেন না; তাদের জন্য সুখবর
দীর্ঘদিন যাবত স্বীকৃতির বাস্তবতা ঝুলে থাকার ফলে অনেকের মনে এ বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে যে, তা হয়ত আর হবে না।
সর্বশেষ সেটা বাস্তবায়ন হওয়ায় কেউ কেউ ভেবেছিলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী হয়ত সরকারের সাথে আপোষ করে বা সরকারি দলে গোপনে যোগ দিয়ে এ কাজটি করে নিয়েছেন।
মানুষের এমন ধারণা ও সন্দেহকে দূর করার জন্যই মূলত এ বিষয়ে গতকালের সভায় কথা বলেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী। কিন্তু কিছু কিছু মিডিয়া আগের কথাটাকে না ধরে উদাহরণ হিসেবে যে কথা বলেছেন সেটিকে শিরোনাম করেছেন। এ কারণেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, মিডিয়ার উচিত স্বচ্ছতা বজায় রেখে, নেগেটিভ মানসিকতা ছেড়ে বক্তব্য কোট করা।
‘এখন সরকারি মাদরাসার ছাত্ররা কওমিতে পরীক্ষা দেবে’
‘স্বীকৃতির উদ্দেশ্য লেনদেন নয়, শিক্ষাকে শক্তিশালী করাই লক্ষ্য’
https://www.facebook.com/394869870951581/videos/691600091226297/