আলী আবদুল মুনতাকিম
প্রকৌশলী ও কুরআন গবেষক
মোফাস্সিল ইসলাম। নিজেকে কখনও সংশয়বাদী কখনও নাস্তিক দাবি করেন। কয়দিন আগে ওপেনহার্ট সার্জারি করেছেন।মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে একটি আবেদনময়ী প্রায় এক ঘন্টার লাইভ করেছেন। আমি পুরোটাই শুনেছি। কথাগুলো শুনে হতবাক হয়ে গেছি।
অপারেশন, আপনজনদের, সুধীজনদেরআচরণ ও জীবন-মরনের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি মনের অজান্তেই কি অনেক কিছু স্বীকার করে নিলেন? জানি না।
তিনি বললেন, ‘আমরা যদি সৃষ্ট হয়ে থাকি, আর সৃষ্টিকর্তা যদি কেউ থাকেন, সে স্রষ্ঠাকে সৃষ্টির পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়। বৃথা তর্ক করে কোন লাভ নাই। অন্ধকারে থেকে আলোকে বুঝা সম্ভব নয়। আলো অন্ধকার একে অপরের পরিপূর। সৃষ্টি ও স্রষ্টা একে অপরের পরিপূরক।আমরা কেউ বর্তমান Existing এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখি না। অপারেশনে ঢুকার আগে মনে হয়েছে সব কিছুই বৃথা। অর্থহীন। বেহুদা তর্ক।’
গত সপ্তাহে বলেছিলাম সে দাবি করেছে হাজারো তরুণকে সে ধর্ম থেকে বের করেছে। কথাটি আবারও বলল। কিন্তু এটা বলেনি, এ জন্য তার আফসোস হয় কিনা! স্রষ্টা সম্পর্কে মোফাস্সিলের এই feelings সম্পর্কে অন্যান্য নাস্তিকরা এখন কি বলবেন।
নাস্তিকের যুক্তি খণ্ডন-সংগ্রহ করুন
বিশেষ করে মুফতি মাসুদ, আরিফ ও আসিফ? স্রষ্টা সম্পর্কে আপনাদের যে এলার্জি তা মোফাস্সিল এর মূল্যায়নটিকে একটু upgrading করলেই ভুল ভেঙে যাবে।
এবার আপনাদের উদ্দেশে কিছু কথা/প্রশ্ন রাখতে চাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ও জবাব দিন।
নাস্তিক আপনি হতেই পারেন, সে স্বাধীনতা আপনার আছে। আমি আপনাকে গালি দেব না, হুমকির বা মিছিলের পক্ষেও আমি নই। আপনার জন্য দোয়া করব। আর অনুরোধ করব আরেকজন নাস্তিক বানাতে প্রচার চালাবেন না। যা প্রতিনিয়ত আপনারা করে যাচ্ছেন৷
পরকালের জবাবের পাল্লা ভারী করছেন কেন? একটু মাথাটা উল্টোভাবে খাটান।
আপনি/আপনারা নিজেদের মুক্তমনা, মানবতাবাদী, সত্যের পক্ষে লড়াকু ও সাহসী দাবি করেন বা মনে করেন। আপনাদের দাবি সত্য হলে আমার নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে দাবির সত্যতা প্রমান করুন (অবশ্য ইতোমধ্যে আপনাদের মেসেজে বা আমার ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নগুলো পাঠাতে চেষ্টা করেছি)। জবাব পাচ্ছি না।
১. গুগলে সার্চ দিলেই পাবেন। ১৯৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর NASA এর বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহে পাথ ফাইন্ডারকে পাঠায়, দীর্ঘ ৭ মাস চলার পর ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই মঙ্গলেে যখন পাথ ফাইন্ডার স্পর্শ করে তখন নাসায় ৪০০ বিজ্ঞানী ছিল, তারা একই সাথে আনন্দে, বিশেষ করে টিম লিডার দুই হাত উপরে তুলে God--God... বলে চিৎকার দিয়ে উঠে, যেন সব Credit স্রষ্টাকে দেয়া হল।
ওই বিজ্ঞানীরা কি আপনাদের মত জ্ঞান রাখেন না? এখানে God এর নাম নিল কেন? লাইভে এত যে বিজ্ঞান-বিজ্ঞান করেন, বিজ্ঞানীরা কি কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে? ১০০ বার না, পারে না।তারা শুধু-শুধুমাত্র সৃষ্ঠ বস্তুর গঠন, চলমান প্রক্রিয়া, গতি, আকার, ডিজাইন, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, সূত্র, নীতি, উপকারিতা-অপকারিতা ইত্যাদি গবেষণা করে বের করে/আবিষ্কার করে।
আবিষ্কৃত বস্তুর রুপান্তর ঘটিয়ে গাড়ি, বিমান, কম্পিউটার, মেডিসিন ইত্যাদি তৈরি করে। কিন্তু মহাশক্তি বা Creator কে বিশ্বাস করে। নাস্তিক বিজ্ঞানীর সংখ্যা কিন্তু নগন্য। আপনাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারি। বলুন বিজ্ঞানীদের চেয়ে বেশি মেধাবী আপনারা?
২. আল্লাহর ও তার নবীর অস্তিত্ব বা তার গাইডবুক নিয়ে আপনি মাসুদ ইদানিং খুব পাণ্ডিত্য দেখাচ্ছেন।এটাতো কোটি মাইল দূরের কথা। আপনার মতই আরেকজন মানুষের আবিষ্কার করা মোবাইল, কম্পিউটার, লাইভ প্রোগ্রাম এর Super electronical mechanism এর কোন প্রজেক্ট এর গাইডবুক আপনাকে ধরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব নিতে বললে বুঝবেন বা পারবেন?
মহাকাশ যানের কিছু বুঝবেন? এগুলো তো মানুষেরেই আবিষ্কার ৷ Nasa এর কোন প্রজেক্ট এর ওপর পান্ডিত্য দেখাতে পারবেন? যোগ্যতা রাখেন? না, রাখেন না। তাহলে সারা বিশ্বের মালিকের অস্তিত্ব তার কেতাব নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা আপনার যে নাই তাও বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন!
মনে রাখবেন আপনাকে যদি আপনার স্রষ্ঠা ১০ জিবি মেমোরির ব্রেন/মস্তিষ্ক দিয়ে থাকেন, তার উপর আপনি যেতে পারবেন না। স্রষ্ঠাকে বুঝতে যদি ১০ কোটি জিবির মেমোরি লাগে তাকে নিয়ে চিন্তার ক্ষমতাই তো আপনার না। আপনারা বড়ই দূর্ভাগা! আপনি/আপনারা কি ‘খাতামাল্লাহু আলা কুলুবিহিম, ওয়া আলা সাময়ীহিম, ওয়া আলা আবসারিহিম...’ পর্যায়ভূক্ত হয়ে গেলেন? কী বলবেন?
৩. সুরা হাদীদের ২৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য লোহা নাজিল করেছি, এতে কল্যাণ নিহীত রয়েছে----’ ১৫০০০০০. (পনের লক্ষ) ডিগ্রী সেলসিয়াসে লোহা তৈরি হয়েছে, যার উৎপাদন দুনিয়ায় সম্ভব নয়, নাজিলের বস্তু এটি, বিজ্ঞানীরা বলেছেন।
হাদীদের আক্ষরিক মান ২৬, বিজ্ঞানীরা যে বর্তমানে বিভিন্ন বস্তুর আনবিক মান নির্ধারণ করেছেন, লোহার আনবিক মান বের হল-২৬। কিভাবে ঘটল এটি?
৪. মিরাকল বুঝেন? Google এ সার্চ দিয়ে দেখেন- ‘the methametical miracles of quran which proved that quran is the verse of god’
কোরানের একটি অক্ষর ও প্লাস বা মায়নাস করা সম্ভব নয়।এমনি অংকের গাঁথুনী। আপনি কি অংকের গাঁথুনির বিষয়টা স্টাডি করবেন? যেদিক দিয়েই ধরবেন শুধু অংকের গাথুনি। কোরানের কোন সুরা বা আয়াতকে একদমই ভাংগা সম্ভব নয়৷ অথচ আপনি বলছেন, কোরান সংশোধন করতে। স্টাডি করার পর আপনি মন্তব্য করুন।
৫. আয়াতুল কুরছির একটি অংশ- ‘ওয়ালা ইউহি-তুনা বি শাই-ইম্মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শায়া’-এর ব্যাখ্যা কী দেবেন। দর্শন-বিজ্ঞান ততটুকুই আল্লাহর জ্ঞানে রাজ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে যতটুকু তিনি পারমিট করেছেন।
মহা বিশ্বের লক্ষ-কোটি ভাগের এক ভাগের খবরও বিজ্ঞানীরা জানে না, তারাই বলছে। সেই মহা শক্তি কি আল্লাহ নন? কী বলবেন?
৬. দুনিয়ার ১৫০ কোটি মুসমানের মধ্যে শত শত গবেষক, বিজ্ঞানী, স্কলার, নোবেল বিজয়ী, Analytical mind বা পন্ডিত ব্যক্তিরা কি আপনাদের চেয়ে কম বুঝতেন? তাদের চেয়ে আপনি কি বেশি জ্ঞানী? বেশি গবেষণা করেছেন?
আপনাদের পড়ালেখার দৌড়ও খুব বেশি না। শুধু মোফাস্সিলের কিছু পড়াশোনা আছে বলে মনে হয়। বাকিরা অন্যেরটা দেখে দেখে, শুনে শুনে কথা বলে। আল আজহারের বিজ্ঞ গবেষকদের কী বলবেন। তারা কি কিছুই বুঝত না?
৭. মাইকেল এইচ হার্ট- ‘The Hundred’ নামে একটি বই লিখেছেন, যেখানে দুনিয়ার ১০০ বিখ্যাত ব্যক্তির জীবন লিপিবদ্ধ করেছেন। সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে ১ নাম্বারে রাসুলের স্থান দিয়েছেন, তার জীবনী পড়ে তাকে এক নাম্বারে দেয়া ছাড়া তিনি শান্তি পাচ্ছিলেন না , কেন?
৮. রাসুল ২৩ বছরে একটি বর্বর সমাজকে শুধু পরিবর্তনই করেন নি, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন, যদিও আপনি নাম দিয়েছেন সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা থেকে রাসুল বিশ্বে ইসলাম ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আপনি কি মোবাইল আর নেট যুগে ২৩ বছরে ১০০০ মানুষ আপনার মুক্তমনার দলে টানতে পারবেন? বলুন! পেশাব-পায়খানা, গোছল, বিবাহ, সন্তানের নাম রাখা, পিতা-মাতার কর্তব্য, পাড়াপ্রতিবেশির দায়িত্ব, গরিবের হক, এসব নিয়মকানুন শেখানোর মধ্যে কি রাসুলের স্বার্থ/সাম্রাজ্যের মানসিকতা ছিল?
মুক্তমনাদের সমাজ বা পারিবারিক শৃঙ্খলাবিধির লিখিত কোন কিছু কি আছে ফলো করার মত?
৯. আরেকটি মিরাকল! দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি সেকেন্ড বের করতে পারবেন যে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ নামটি উচ্চারিত হয় না। দুনিয়ার কোথাও না কোথাও বিদ্যালয়ে, নামাজে, আজানে, তেলাওয়াতে, আলোচনায়, আড্ডায় এই দুটি নাম উচ্চারিত হচ্ছেই।
আপনি থামাতে পারবেন? আল্লাহ যে কোরানে ‘ওরাফা’য় না লাকা যিকরাক’ বলেছেন আপনার নামকে আমি উচ্চ মর্যাদায় আসীন করব সেটা সত্য হল না? মানুষ কি অর্থলোভে নামটি উচ্চারণ করে?
ব্রুনেই দেশের ধনীদের কিসের অভাব? যারা যথেষ্ঠ ধার্মিক। মাসুদ, আপনি যেমনটি ইসলামের সবকিছুতে ব্যবসা বা অর্থসংযোগ খোঁজেন। পৃথিবীতে আপনিসহ কত লক্ষ কোরানে হাফেজ আছে জানেন? সবাই কি জন্য হাফেজ হয়েছে?
রাশিয়ার পার্লামেন্টে মিশরের জামাল নাসের, কারি বাসেতকে নিয়ে গেছিলেন, সেখানে তার তেলাওয়াত শুনে সব এমপি কী বলেছে বা রিএক্ট করেছে তা ইতিহাস খুলে দেখুন! কোরানের শুধুই তেলাওয়াত শুনে দুনিয়ায় কত মুসলমান হয়েছে তা কি জানেন? কেন? বানানো কিতাবের আয়াত শুনে হেদায়াত! সম্ভব? অন্য কোনো বই কিতাবের পাঠ শুনে কি আদৌ এমনটা হয়েছে? হওয়া সম্ভব?
১০. মাসুদ, আপনি তো ইসলাম ত্যাগ করেছেন, আপনার ইসলামি নামটি ত্যাগ করবেন কবে?নামটি আপনার কাজের সাথে বেমানান বা আপনার মোনাফেকি প্রকাশ পায়। নাকি নামটি বদলালে ভাতা বন্ধ হবে। সেটাও তো মোনাফেকি!
১১. আপনি কি ইসলামের বিরুদ্ধে না ধর্মের বিরুদ্ধে? ধর্ম বিরোধী হলে যতটি পোষ্ট বা লাইভ ইসলামের বিরুদ্ধে করেন ততটি অন্য ধর্মের বিরুদ্ধেও করেন! করার সাহস আছে? দেখান তো!
১২. গত ১৫০০ বছরে নবীর কোন উম্মত বা অনুসারী পুরুষ, অনুসারী মহিলাকে বায়তুল্লায় বা রওজায় বা দুনিয়ার কোন মসজিদে যৌন হয়রানির উদাহরণ দিতে পারবেন? কিন্তু এই কয়দিন আগের জরিপে পোপের আস্তানায় বা গীর্জায় ৪০% মহিলা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কেন তা জেনে আপনার বক্তব্য জানান।
১৩. ‘আর রাহমান-আল্লামাল কুরআন, খালাক্বাল ইনসান-আল্লামাহুল বায়ান৷ আশশামছু ওয়াল কামারু বি হুসবান-আননাজমু ওয়াশশাজারু ইয়াসজুদান...’ এ কথাগুলো আপনার কাছে মানুষের লেখা মনে হয়? মুহাম্মদ সা. তো উম্মি। পৃথিবীতে কতো বড় লেখক, দার্শনিক বিজ্ঞানী এসেছে। তারা কি এমন একটি সার্বজনীন বই লিখতে পেরেছে। সাহস কি করেছে?
আপনি বললেন সুরা ফিল আরবের পুরনো গল্প। ছিঃছিঃ। আচ্ছা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতে পেরেছে আমি কলকাতা শহর বানিয়েছি কিংবা শেক্সপিয়ার বলেছে আমি গ্রীস দেশটা তৈরি করেছি। বা ইমরুল কায়েস লিখতে পেরেছে আরব আমার সৃষ্টি?
আমি তোমাদের হায়াত-মউত-রিজিকের মালিক। কোরানের কথাগুলো স্রষ্টার পক্ষেই বলা মানায়। কেন বিভ্রান্তি ছড়ান?
মানুষের বিশ্বাস এ আঘাত করা সবচেয়ে আমানবিক কাজ। যেটা প্রতিনিয়ত করছেন আপনারা। আপনি কিভাবে মুক্তমনা বা মানবতাবাদী?
১৪. আয়শার বিয়ে নিয়ে তো আয়শা বা তার বাবা আবুবকর বা তার প্রতিবেশীরা বা কাফেরদের কেউ কোন প্রশ্ন তোলেনি। আপনারা নাস্তিকরা কেন প্রশ্ন তুলছেন?
১৫. দেখুন, আমি পৃথিবীর বহু দেশে দেখেছি, যে কোন ধর্মেরই হোক, একজন বধির, অন্ধ, বা অসহায় প্রতি মূহুর্তেই তার স্রষ্টাকে ডাকে! সম্ভবত আপনিও দেখেছেন। আপনার ভাগ্য ভালো, আপনাকে আপনার মালিক জন্মান্ধ, বধির, পঙ্গু বানাননি। সুস্থ, সবল, মেধাবী বানিছেন। সে রকম হলে আপনি প্রতি শ্বাসে তাকে ডাকতেন। সৃষ্টির বোবা বধির গাছ-পালা, চন্দ্র-সূর্যরা তাই করে। মুফতি হিসেবে আপনি বেশি বুঝবার কথা।
ব্যবসা এখন আপনার হাতের মুঠোয়। – বিস্তারিত জানুন
১৬. আমি ইংরেজি শিক্ষিত, পড়ালেখাও আপনার থেকে কম করিনি, ছোট থেকেই কোরান পড়ি, সেরা তাফসিরগুলো পড়েছি, কোরানকে ভালোবাসি, যতই গবেষণা করি, বিস্মিত হই।
বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবেও মিলিয়ে দেখি। এটি মানব রচিত হতেই পারে না। আপনি কেন বিভ্রান্ত হলেন বুঝলাম না। আপনার প্রতিটা পোষ্ট আমি পড়ি, লাইভ দেখি, আফসোস করি। আপনার প্রতিটি কথার জবাব আমার কাছে আছে, কিন্তু আপনাকে পাওয়া যে কঠিন।
আপনার প্রতি পরামর্শ, ওই দোয়াটা পড়ুন, ‘রাব্বানা লা তুযিগ ক্বুলুবানা, বা'দা ইজ হাদাইতানা....’। আপনার অনেক প্রতিভা । ঠিক হয়ে যাবেন ইন্শাল্লাহ।
১৭. ব্যক্তিগতভাবে ভারত আমার পছন্দের দেশ। বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে ভারত থেকে। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমি মোদিকেও পছন্দ করি। কিছুদিন আগে তার একটি ঐতিহাসিক বক্তৃতায় তিনি কী বলেছেন জানেন, মানবতার নবী মুহাম্মদ, তাকে অনুস্মরণ করলে সমাজে শান্তি অনায়াসে বিরাজ করবে।
একই কথা মহাত্বা গান্ধীও বলে ছিলেন। বলবেন এগুলো রাজনৈতিক কথা? মোটেও না। এটা মোদিজি এবং মহাত্মা গান্ধীর মনেরই কথা। বলবেন কিছু?
১৮. শ্বাস যে নিচ্ছেন, বায়ু কি দেখেন? না। অনুভব করেন। সবকিছু দেখার ক্ষমতা নাই। আমরাও আল্লাহ পাককে অনুভব করি। যেন পরিষ্কারভাবে দেখছি। আপনাদের দেখার ক্ষমতা আছে কি? আসলে মানুষের দেখার, শুনার ও বুঝার ক্ষমতা সীমিত।
৫ মিলিহার্টজ এর নিচে মানুষ শুনতে পায় না। যদি শুনার ক্ষমতা আল্লাহ দিতেন তাহলে জমিনে পোকামাকরের মিউজিক শুনে মানুষ পাগল হয়ে যেত, কাজকাম ছেড়ে দিত। আবার মানুষ একটা শকুনের মতও দেখে না।
একজন মাসুদ, আরিফ বা আসিফ এর মস্তিষ্কের শক্তির চেয়ে শতগুণ শক্তিশালী একজন বিজ্ঞানীর মস্তিষ্ক। এটা কোন নিয়ন্ত্রণ ছাড়া হল? অবশ্য তোমরা নাম দিয়েছ অন্ধকারের মহাশক্তি। আল্লাহ বলতে লজ্জা হয়?
১৯. বাংলাদেশের মাদরাসাগুলো এবং হুজুরদের ছাত্র বলাৎকার বিষয়ে দুনিয়ার সামনে যেভাবে চিত্রিত করেছেন তা সত্য হলে এ সমাজ কবেই ভেঙে যেত। কেন মিথ্যাচার করেন? আপনি দেশপ্রেমিক না দাবি করেন? এক দুইটা ঘটনা ঘটতেই পারে। এ দিয়ে পুরো সমাজকে দোষারোপ?
সম্ভবত এগুলো আপনার মত লোকেরা করে। না হলে আপনি ‘থ্রি এক্স, ব্লু-ফিল্ম এর কথা কিভাবে লাইভে বলেন? এটা আপনার সততা হল?
জবাবের অপেক্ষায় আমিসহ আমার অগনিত পাঠক থাকলাম। বাকি কথা অন্য দিন। এত সুন্দর দুনিয়ার ডিজাইনার ও পরিচালক আল্লাহ পাক আপনাদের হেদায়াত দান করুন।
লাইভে নাস্তিকদের জঘন্য তৎপরতা রুখবেন কী করে?
-আরআর
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার