আওয়ার ইসলাম: তুরস্কে আটক মার্কিন ধর্মযাজক এন্ড্রু ব্র্যানসনকে নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে,তাকে মুক্তি দিলেও স্টিলের ওপর শুল্ক বহাল রাখা হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স একথা জানিয়েছেন।
ওদিকে,তুরস্কের অর্থনীতিতে স্থিতিশিলতা ফেরাতে দেশটিতে ১,৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে কাতার।
যাজক ব্রানসনের মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্য গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তুরস্কের রপ্তানি পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেন।
এর পাল্টা জবাবে তুরস্কও কোনো হুমকির কাছে মাথা নত করবে না জানিয়ে বুধবার একইরকমভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করে।
এরপরই তুরস্কের এ পদক্ষেপকে ‘ভুল পথে বা বাড়ানো’ আখ্যা দিয়ে হোয়াইট হাউজ আরো কঠোর অবস্থান নেয় এবং ব্রানসনের মুক্তির পরও তুর্কি পণ্যে শুল্ক বহাল রাখার ঘোষণা দেয়।
দুই বছর ধরে আটক রাখা মার্কিন যাজক ব্রানসনকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মেনে তুরস্ক মুক্তি দিতে না চাওয়ার কারণে দেশ দুটি সম্প্রতি ঘোর বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে।
ব্রানসনের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্থান ওয়ার্কাস পার্টি (পিকেকে) এবং ফেতুল্লাহ গুলেন পন্থি সংগঠনের যোগাযোগ থাকার অভিযোগ করেছে তুরস্ক। কারণ, এ সংগঠনটি ২০১৬ সালে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার হোতা বলে আঙ্কারা মনে করে।
ব্রানসনকে তুরস্ক দীর্ঘ ২১ মাস কারান্তরীণ রাখার পর জুলাই থেকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে চাপ দিলেও দেশটি তা মানেনি।
পেনসিলভানিয়ায় বাস করা ফেতুল্লাহ গুলেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেয়নি অভিযোগে তুরস্ক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৬ সালের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নিন্দা জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে বলে তুরস্ক অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে এরদোগান-ম্যাক্রোঁ ফোনালাপ
আরএম/