আওয়ার ইসলাম: গণফোরাম সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘কিসের গণতন্ত্র? দেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, আছে গুণ্ডাতন্ত্র।
তিনি বলেন, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমাকে গুলি করে মেরে ফেলা হউক। তাহলে অন্তত বলতে পারব, গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে মারা গেছি।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’ আয়োজিত প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজ জাগ্রত হয়েছে, এটা আমাদের জন্য বড় শক্তি। কিন্তু, আমরা গুণ্ডামুক্ত বাংলাদেশ চাই। পুলিশের পাশে লাঠি নিয়ে কারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, কারা এদের লেলিয়ে দিয়েছে? আমরা পুলিশের পাশে কোনো গুণ্ডা দেখতে চাই না।
আইজিপিকে উদ্দেশ্য করে এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সাংবিধানের কোথাও লেখা নেই, পুলিশের পাশে লাঠি হাতে গুণ্ডাদের থাকতে হবে। এটা পুলিশ বাহিনীকে অপমান করা হচ্ছে। আমরা সাদা পোশাকের গুণ্ডামুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। আপনি যদি পুলিশ বাহিনীর পাশ থেকে গুণ্ডা সরাতে না পারেন, তাহলে আপনি পদত্যাগ করুন। কর্মক্ষেত্রে আপনার একটা সুনাম আছে। আমি দাবি করছি না আপনি পদত্যাগ করুন।’
ব্যবসায় হিসাবের ঝামেলা আর না- ক্লিক বিসফটি
তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে গুণ্ডারা লাঠি নিয়ে পুলিশের পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করছে। সবকিছু দেখেও যারা রাষ্ট্রের তথাকথিত দায়িত্ব পালন করছেন, তারা শপথ ভঙ্গ করছেন। তারা শপথ ভঙ্গের কারণে বলুন— আমার শপথ ভঙ্গ করার জন্য পদত্যাগ করলাম।’
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলেরর সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দীন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মাদ মুনসুর, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরাম প্রমুখ।
প্রকৃত গণতন্ত্র আজও দেশে বিকশিত হয়নি: মুস্তফা কামাল
-আরআর