মুহিব খান
প্রেসিডেন্ট, ন্যাশনাল মুভমেন্ট (এনএম)
ইমরান খান। ক্রিকেটার থেকে রাষ্ট্রনায়ক। অনেকের কাছে ক্রিকেটার শুনলেই মনে হয় একজন তরুণ, না, তার বয়স এখন ৬৫ বছর। তার রাজনীতির বয়সও নিতান্ত কম নয়, ২৫ বছর।
চূড়ান্তভাবে ক্ষমতায় আসার পেছনে সেনা-সমর্থনের ধারণা থাকলেও রাজনীতিতে বড় দুই দলের বাইরে পাক-নাগরিকদের একটি বড় অংশকে নিজের প্রতিষ্ঠিত তৃতীয় একটি দলের পক্ষে টেনে আনতে তিনি পেরেছেন নিজের যোগ্যতাতেই। কে রাজনীতিবিদ আর কে নন, তা পেশা দিয়ে মাপা যায় না, শুধু রাজপথের দৌড়-ঝাপ দিয়েও মাপা যায় না।
আধূনিক মালয়েশিয়ার নির্মাতা মাহাথির পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। কে জানতো এশিয়া মহাদেশের সবচে সফল রাজনীতিবিদ তিনিই!
ইমরান খানের দেশ পরিচালনা ও জাতির নেতৃত্ব কেমন হবে তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। তার চে' বড় কথা, পাকিস্তানের ভৌগলিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা অত্যন্ত কুটিল ও জটিল। কাজেই হিসাব এতো সহজ নয়। মোটা দাগে দোষ গুণ সাব্যস্ত করে ফেলাও উচিত নয়।
আর সবসময় সবক্ষেত্রে শুধু অবিবেচকের মতো এ প্রশ্ন তোলা ঠিক না যে, তিনি ইসলামের জন্য কী করেছেন! সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম আছে না নাই! ইত্যাদি। এ প্রশ্নটি ইসলামি দলের নেতা-কর্মী বা মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক মুহতামিম বা মসজিদের খতীব ইমাম মুয়াজ্জিন নিয়োগের জন্য।
মুসলিম দেশের শাসকরা শুধু সততার সাথে জনসেবা করলেও মুসলমানদেরই সেবা হয়। চাকরি দেয়ার আগে বাসার দারোয়ানকে, বাসে ওঠার আগে ড্রাইভারকে, কিছু কেনার আগে বিক্রেতাকে, চিকিৎসা নেয়ার আগে ডাক্তারকে, কাজের আগে মিস্ত্রিকে, ছাত্র ভর্তির আগে শিক্ষককে আমরা প্রশ্ন করি না, তিনি ইসলামের জন্য কী করেছেন।
তিনি তার দায়িত্বে সৎ আন্তরিক ও পারদর্শী হলেই হলো। ইসলাম ও মুসলমানদের মৌলিক বা বিশেষ কোন ক্ষতি না করে সুশাসন ও ন্যায়বিচারে দেশ চালানোই অনেক। কারণ প্রত্যেক বিশৃঙ্খল ও অন্যায় দুর্নীতিগ্রস্থ দেশেরই আগে একজন শক্তিশালী সাহসী বুদ্ধিমান রক্ষক ও সুশাসক দরকার হয়। এতে ইসলামেরও সুবিধা হয়।
ইমরান ভালো করেন, না মন্দ করেন, এখন নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না, উচিতও না। তবে সব দেশকেই খেলাফত আর সব শাসককেই খলিফা ভাবা আমাদের বোকামী।
নিন্দা ও ঘৃণা: জাতির পতন এভাবেই আসে
-আরআর