বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


নিন্দা ও ঘৃণা: জাতির পতন এভাবেই আসে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহিব খান
প্রেসিডেন্ট, ন্যাশনাল মুভমেন্ট (এনএম)

কুষ্টিয়ার বিচারালয় প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া অবিচার বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘৃণ্যতম অধ্যায় হয়ে থাকবে।

একজন দেশপ্রমিক, ধার্মিক, সত্যবাদী, জনদরদী, উচ্চশিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ঘটেছে বলেই একথা বলছি না। একজন অতিসাধরারণ নাগরিকের সঙ্গেও এরকম ঘটতে পারা রাষ্ট্রের দৈনতা, সরকারের আত্মহত্যা, মানবাধিকারের শূন্যতা ও স্বাধীনতার ব্যর্থতা বলে মনে করি।

ব্যক্তিটি মাহমুদুর রহমান না হয়ে তার প্রতিপক্ষের কেউ হলেও আমি এরকম ঘটনাকে ঘৃণাই জানাতাম। কারণ আইন, বিচার ও মানবাধিকার সবার জন্যই সমান।

স্বাধীনতার সমূহ কৃতিত্বের দাবীদার আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নাগরিকের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের এ অসহায়ত্ব ইতিহাসের পাতায় তাদের ক্ষুদ্র ও অচ্ছুত করে দেবে; এটা তাদের বোঝা উচিত। কারণ ক্ষমতা নিতান্তই ক্ষণিকের।

আহত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হয়ে তিনি চিৎকার করে বলেছেন, ‘আমি আমার দেশের জন্য জীবন দেবো, একা জীবন দেবো।’

এ কথার শক্তি ও গতি কতো; তা দালাল ও পদলেহী চরিত্রের লোকদের অনুভব করার কথা নয়। তবে এর প্রতিধ্বনির নিরব সংক্রমণ অত্যাচারীর হৃদপিণ্ডকে শঙ্কিত ও সংকুচিত করতেই পারে। এর নীরব প্রভাব পরিবর্তনের ঝড় ডেকে আনতেও পারে।

প্রশ্ন উঠেছে, তিনি যদি আওয়ামী লীগের নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে বিএনপি কেন সময়মতো তার পাশে এসে দাঁড়ালো না। কুষ্টিয়ায় কি বিএনপি নেই? খেয়াল করুন- তিনি হুংকার দিয়ে বলেছেন, ‘তোরা দিল্লির কুকুর!’

আর বিএনপি তো নিজের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও অবস্থান জলাঞ্জলি দিয়ে এখন দিল্লির অনুগ্রহেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের শেষ আশায় আছে। তো পাশে দাঁড়াবে কোন মুখে!

অথচ এরকম একজনমাত্র সাহসী মানুষের অভাবেই বিশাল বিএনপি আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

তিনি তো রক্তাক্ত দেহে ইসলামের জন্য জীবন দেবেনও বলেছেন। ইসলামপন্থীরাও কি তার পাশে শক্তিশালীভাবে দাঁড়িয়েছেন? বরং হিসাব কষছেন, কেন বললেন! কোন ইসলামের কথা বললেন! ইসলামের জন্য তার কী অবদান! কতো কী!

অথচ স্বাধীনতা ও ইসলাম বিরোধী দেশি বিদেশি অপশক্তির রক্তচোখে চোখ রেখে একজন বিশ্ব-পরিচিত জাতীয় ব্যক্তিত্বের মুখের এই নির্ভিক উচ্চারণ নিঃসন্দেহে অমূল্য ও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।

একসময় হয়তো বাংলাদেশের ইসলামও এমন একজন অটল অনড় চিন্তাশীল নেতৃত্বশীল ঈমানদার মানুষের অভাব অনুভব করবে। কারণ অবুঝ অজ্ঞ হুজুগে ঈমানদারের অভাব এদেশে কখনই ছিলো না, আর হবেও না।

আসলে একটি জাতির সামগ্রিক পতন যখন আসে, এভাবেই আসে।

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান (ভিডিও)

ইসলাম ও দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি: মাহমুদুর রহমান

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ