শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


জমজম কূপে পানির পরিমাণ কতটুকু?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম
আওয়ার ইসলাম

পবিত্র জমজমের পানি বিশুদ্ধভাবে হাজিদের মাঝে বিতরণ করতে মসজিদুল হারামের কাছাকাছি ২০১০ সালে একটি ট্যাংক নির্মিত হয় । ৭০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের মাধ্যমে এর সংস্কার কাজ করা হয়। পরে, গতবছরের শেষের দিকে আবারো নতুন করে এ কূপের সংস্কার কাজ করা হয়।

বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে ১১-২৯ লিটার পানি পাম্প করে জমজম থেকে। কিন্তু তারপরও তার পানি শেষ হয় না কখনো। বিশ্ববাসীর কাছে এখন একটাই প্রশ্ন- জমজম কূপে পানির পরিমাণ কতটুকু?

এ ব্যাপারে সৌদি গেজেট’ সংবাদপত্র জানাচ্ছে, জমজমের কুয়োকে বিশ্বের প্রাচীনতম কুয়ো বলে ধারণা করা হয়, কারণ গত পাঁচ হাজার বছর ধরে এখান থেকে একটানা পানি পাওয়া যাচ্ছে।যদিও এই কুয়োটি মাত্র তিরিশ মিটার গভীর, তার পরেও এটি প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে আঠারো লিটার পানি পাম্প করতে পারে।

প্রতিদিন ট্যাঙ্কারে করে অন্তত ১২০ টন জমজমের পানি মদিনার আল মসজিদ আল নবাবি-র জলাধারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবহনের সময় সেই পানি যাতে কোনওভাবে দূষিত না-হয়, সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়ে থাকে।

হযরত ইব্রাহিম আ.- এর দোয়ার বদৌলতে আজ সারা পৃথিবী থেকে মুসলিমরা ছুটে আসেন মক্কাতুল মোকাররমায়। হজরত বিবি হাজেরা আ. -এর কষ্ট দেখে ইসমাঈল আ. এর পায়ের আঘাতে এ জমজম ফোয়ারার জন্ম হয়েছিলো। আজ তা মুসলিম বিশ্বের জন্য রহমত।

সৌদি সার্ভে প্রধান জুহাইর নওয়াব সৌদি গেজেটকে জমজম সম্পর্কে বলেন, এক সময়ের নির্জন এ বাক্কা নামক জায়গাটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। আজ কোটি কোটি মুসলমান সারা পৃথিবী  থেকে এসে ব্যারলের পর ব্যারল এ পবিত্র পানি নিয়ে যাচ্ছে তাদের দেশে।

নওয়াব আরো বলেন,  কিং আবদুল্লাহ জমজম ওয়াটার ফ্যাক্টরি প্রতিদিন ২ লাখ পানির বোতল সরবরাহ করে থাকে। তারপরও এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। কিন্তু তারপরও উৎপাদনে কোনো কমতি নেই বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত,  সৌদি আরবের জিওলজিক্যাল সার্ভে-র একটি জমজম স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার আছে, যারা এই পানির কুয়োর মান, গভীরতা, অম্লতার মাত্রা বা তাপমাত্রার দিকে নিয়মিত নজর রাখে। সূত্র :সৌদি গেজেট, খালিজ টাইমস।

আরও পড়ুন - হজ মৌসুমে পবিত্র মক্কায় কেন আসে বাহারি রঙের এসব কবুতর?

আরএম- 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ