রকিব মুহাম্মদ
অাওয়ার ইসলাম
কেন নির্বাচন করছেন? মেয়র নির্বাচিত হলে কী করবেন? ভোটারদের এমন নানা প্রশ্ন নিয়ে রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে সরাসরি জনগণের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার মেয়র প্রার্থী।
শনিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চার মেয়র প্রার্থী হলেন- বিএনপি মনোনীত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শফিকুল ইসলাম ও গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ।
এসময়, নির্বাচিত হলে নাগরিক সব সমস্যার সমাধানসহ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত আধুনিক নগর গড়ার অঙ্গীকার করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের চার মেয়র প্রার্থী।
উক্ত অনুষ্ঠানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জনগণের উন্নয়ন আর প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুড়ি দিতে চাই না। জনগণ সবার ওপরে। নির্বাচিত হলে নগর ভবনে নগরপিতা হিসেবে নয় সেবক ভবনে নগরের সেবক হিসেবে যেতে চাই। রাজশাহীকে সমৃদ্ধ শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে।
বোরহান উদ্দিন নামে এক কলেজছাত্র মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চান, তিনি দুর্নীতিমুক্ত নগর ভবন গড়তে পারবেন কি-না। শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অবশ্যই পারবো। দুর্নীতি বন্ধ করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে চাই। কারণ, দুর্নীতি থেকে সন্ত্রাসের উৎপত্তি।’
তিনি বলেন, ‘মেয়র হলে আমি যে সম্মানি পাবো, তার অর্ধেক জনকল্যাণে দান করবো। হোল্ডিং ট্যাক্স অর্ধেক করে দেবো।’
সুজন রাজশাহী নগর কমিটির সভাপতি মো. পিয়ার বক্সের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সুজন জেলা কমিটির সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ভোটাররাও অংশ নেন। ভোটারদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র প্রার্থীরা।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে চার মেয়রপ্রার্থী একে অপরের হাতে হাত রেখে অঙ্গীকার করেন, আচরণবিধি মেনে তারা নির্বাচন করবেন। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুজনের একটি কাগজে স্বাক্ষরও করেন। উপস্থিত ভোটাররাও সকল প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার শপথ নেন।
আরও পড়ুন : ‘আ’লীগ-বিএনপি দেখেছেন, একবার ইসলামী শাসন দেখুন’
তিন সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী যারা