আবদুল্লাহ তামিম: রাখাইন রাজ্যে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ার প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে বিরল এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ জুন) রাজধানী নেপিদোতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দেশটির ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ও সেনাপ্রধান মিং অং হ্লাংসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ান্টের কার্যালয়ের তরফ থেকে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তাসহ রোহিঙ্গা সংকটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০১৬ সালে সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই ধরনের বৈঠক করলো।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
খুন, ধর্ষণ আর অগ্নিসংযোগের মুখে প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এই সেনা অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছে।
পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এই সপ্তাহে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের আগের কয়েক মাসে চলে টানাপোড়েন।
প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার প্রস্তুত থাকার কথা বলে আসলেও বহিরাগত কাউকে সেখানকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের সুযোগ দিতে অস্বীকার করে আসছিল।
আরো পড়ুন- রোহিঙ্গা নিধনের বিচারে আইসিসিতে বাংলাদেশের সম্মতি