শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


সেই ঘুড়ি উড্ডয়নকারীদের গুপ্ত হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দীর্ঘ দিন ধরেই দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুলতি আর ছুরি নিয়ে মুক্তিকামী প্রতিরোধ জারি রেখেছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি সেনাদের ভারি মারণাস্ত্রের বিপরীতে নানা রকমের সৃজনশীল পন্থায় তারা অব্যাহত রেখেছে স্বাধীনতার লড়াই।

এমনই একটি লড়াইয়ের অস্ত্র ঘুড়ি। নিজেদের আওতাধীন ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে জ্বলন্ত ঘুড়ি পাঠিয়ে বিভিন্ন বনভূমি ও ফসলের মাঠে আগুন ধরিয়ে দেয় ফিলিস্তিনি মুক্তিকামীরা। সম্প্রতি গিলাদ এরদান একে ঘুড়ি সন্ত্রাস আখ্যা দিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য এই মন্ত্রী আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন উপদেষ্টা ছিলেন। ঘুড়ি সন্ত্রাসে জড়িতদের গুপ্তহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে, সাম্প্রতিক গ্রেট রিটার্ন মার্চের সময় গাজা থেকে উড়ে আসা জ্বলন্ত ঘুড়ি থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে দাবানল দেখা দিয়েছে। যদিও ঘুড়ির কারণেই ওই দাবানল হয়েছে তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি দেশটি।

রবিবার নেতানিয়াহু কথিত ‘ঘুড়ি সন্ত্রাসের’ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৪ লাখ মার্কিন ডলারের হাস্যকর দাবি করেন। ইসরায়েলি সরকার প্রতি একর জমির ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬৮ ডলার করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করেছে। যাদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সন্ত্রাসের ভুক্তভোগী হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

মঙ্গলবার গাজা সীমান্তের কাছের এসদেরোত শহরে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ইসরায়েলের জননিরাপত্তা মন্ত্রী গিলাদ এরদান। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ঘুড়ি সন্ত্রাস’ খুবই মারাত্মক। যারা এসব পাঠায় তাদের জীবন নিয়ে ভয়ে থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিরোধমূলক গুপ্তহত্যা চালানো উচিত। এসব ঘুড়ির প্রেরক ও হামাস নেতাদের অবশ্যই এই প্রতিরোধমূলক হত্যার লক্ষ্য করতে হবে।’

গিলান এরদান হুমকি দিয়েছেন, ‘তারা আমাদের আঘাতের চেষ্টা করার জন্য প্রত্যেকবার নতুন অস্ত্র খুঁজে বের করে। আমাদের শত্রুরা নাগরিক জীবনের ক্ষতি করতে চায়। কারণ তারা জানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ’র কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু তারা তাতেও সফল হবে না।’ গ্রেট রিটার্ন মার্চ আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

এরমধ্যে ১৪ মে জেরুজালেমে ইসরায়েলি দূতাবাস স্থানান্তরের দিনই ৬০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতা ৫ জুন ফিলিস্তিনিদের নাকসা দিবস উপলক্ষে গাজা সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।

১৯৬৭ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, গাজা, গোলান মালভূমি ও জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে ৫ জুন খুব বেশি বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।

   ন্যাটোর সদস্যপদ পাচ্ছে না কাতার!

 ইফতারের আয়োজন করে মুসলিমদের তোপের মুখে ট্রাম্প


সম্পর্কিত খবর