আওয়ার ইসলাম : রাতভর অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারি ও মাদকসেবীদের আটক করে রেকর্ড গড়লেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল থেকে ভোররাত অবধি মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পাকড়াওকরতে র্যাব সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। এ অভিযানে আটক করা হয় আট মাদক ব্যবসায়ী ও নয় মাদকসেবীকে।
এদের মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে এক বছর কারাদন্ড ও পাঁচজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর চার মাদকসেবীকে তিনমাস এবং পাঁচজনকে একমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালালেও রাতজুড়ে অভিযানের খবর বিরল। মূলত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম রাতের বেলায় বেশি বৃদ্ধি পায়।
মঙ্গলবার বিকালে অভিযান শুরুর আগে র্যাবের এ ম্যাজিস্ট্রেট ফেসবুকে তার নিজের একটি পোস্ট দেন। অভিযান শেষে বুধবার ভোরে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন।
প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হওয়া মাদক বিরোধী অভিযানে এখন মিরপুর এলাকায় আছি। সন্ধ্যার পরে সাধারণত মাদক বেচাকেনা এবং সেবনকারীদের আসর বসে এই এলাকায়। মিরপুর বেড়ীবাঁধ এলাকা হতে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীসহ ৫ জন আটক।
‘১৫৫/১৪/ডি, মসজিদ রোড, লতা ভিলা, দেওয়ানপাড়া, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা হতে মাদকসেবী ও বিক্রেতাসহ ১১ জনকে মদ পান করা অবস্থায় হাতে নাতে আটক।’
‘র্যাব-৪ এর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। সব আসামী দোষ স্বীকার করেছেন। একজন হেরোইন বিক্রেতা হেরোইনসহ আটক। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রদান করা হবে।’
পরে অভিযান শেষ করে বুধবার ভোরে দেয়া দ্বিতীয় স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেন, ১৭ জন মাদক ব্যাবসায়ী ও সেবনকারীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচারে আজ (মঙ্গলবার দিবাগত) বিনিদ্র রজনী কাটাতে হলেও আমাদের কষ্ট নেই।
‘মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের তথ্য র্যাব তথা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও নিকটস্থ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণকে জানাতে পারেন।’
‘সরকারী দায়িত্ব পালনে বিনিদ্র রজনী কাটালাম। নতুন অভিজ্ঞতা হলো। ভালো কাজ করার মধ্যে আনন্দ রয়েছে। মাদকমুক্ত হোক আমাদের সমাজ। আসুন সবাই মিলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলি। বাসায় ফিরলাম ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে।’
এখানেই শেষ নয়। র্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেট রাতভর যারা অভিযানে সহযোগিতা করেছেন তাদের নিয়ে শাহবাগ থেকে ফুল কিনলেন। সেই ফুলই উপহার হিসেবে পেয়ে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে হাসিমুখে ফিরে গেলেন অভিযানে অংশ নেয়া র্যাবসদস্যসহ পেশকার ও গাড়ী চালকরা।
সহকর্মীদের ফুল উপহার প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অনেক সময় অধিনস্ত সহকর্মীদের ভুলে যাই। অথচ তারাই রাতভর বেশি পরিশ্রম করেছেন। অবশ্য তাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।ফুল উপহার পেয়ে সবাই খুব খুশি হয়ে বাসায় ফিরেছেন। যা দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে।’
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মারাত্মক ভুল; ওবামা
খালেদার জামিন শুনানি সম্পন্ন; রায় ১৫ মে