শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


সমঝোতার চেষ্টা তাবলীগের দুই পক্ষকে; কাকরাইলে জুমা পড়ালেন মাওলানা যুবায়ের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: বেশ কিছুদিন বাইরে থাকার পর কাকরাইলে মারকাজ মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করলেন তাবলিগের শুরা সদস্য ও মারকাজ মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা যুবায়ের আহমদ।

আজ ৪ মে শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে জুমা নামাজ পড়ানোর জন্য কাকরাইলে আসেন তিনি।

জানা যায়, প্রশাসনের অবগতি সাপেক্ষেই তিনি দীর্ঘ দিন যাবত চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী কাকরাইলে জুমার নামাজে ইমামতি করান তিনি। দুপুরে কাকরাইল মারকাজে উপস্থিত হলে শুরার সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলগণ মিম্বারের পাশে জড়ো হন। এ সময় নানা বিষয়ে মশওয়ারা হয়।

তবে তিনি নামাজ শেষ করে নিজ রুমে না গিয়ে খিলগাঁওয়ের বাসায় চলে যান বলে নিশ্চিত হয়েছে আওয়ার ইসলাম।

এদিকে তাবলীগের আরেক শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ধানমন্ডীর নিজের এলাকার মসজিদে নামাজ পড়েন বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল তাবলীগের মারকাজে হঠাৎ করে দুই পক্ষের উত্তেজনা ও হাতাহাতির পর প্রশাসন ও তাবলীগের মুরব্বিদের তাৎক্ষণিক বৈঠকে দুই মুরব্বি মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ৬ জনকে কয়েকদিনের জন্য মারকাজের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞায় থাকা বাকি চার সদস্য হলেন, (নেজামুদ্দীন অনুসারী) মাওলানা আবদুল্লাহ, ড. এরতেজা হাসান। (আলমি শুরার) ইঞ্জিয়ার মাহফুজ হান্নান ও আজগর আলী।

সমঝোতার পথে কাকরাইল

সাম্প্রতিক কাকরাইল মারকাজে অপ্রীতিকর ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় প্রশাসনিকভাবে কাকরাইলের দুইজন মুরব্বি ও শুরা সদস্যকে কাকরাইল মারকাজের বাইরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

১ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশে এলে দুই পক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছিল সে বৈঠকে।

১ তারিখ রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ফিরলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক এখনো হয়নি। তবে আওয়ার ইসলাম একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে, অভ্যন্তরিণভাবে উভয়পক্ষকে সমঝোতার জন্য নানা চেষ্টা অব্যাহতে রয়েছে।

সে চেষ্টার ধারাবাহিকতায় গতকাল মগবাজারের মধুবাগ জামে মসজিদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আলেম উলামাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা মাওলানা মাজহারুল ইসলাম আওয়ার ইসলামকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বাদ এশা মধুবাগসহ আশপাশের উলামা মাশায়েখ ও মাদরাসার প্রিন্সিপালগণ বৈঠকে উপস্থিত হন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, দাওয়াত ও তাবলীগের শতবর্ষী এ মেহনতকে সঠিকভাবে চলতে দেযা উচিত। সাধারণ তবলীগের সাথী ও উলামাদের মাঝে কোনো রকমের ভুল বুঝাবুঝি কিংবা দূরত্ব তৈরি করা মোটেও শুভ হবে না বলে মনে করেন আলেমরা।

আরবি ভাষার জ্ঞান প্রয়োগে ইংরেজি শেখার বিশেষ কোর্স

উপস্থিত উলামায়ে কেরাম দাওয়াত ও তাবলীগের কেন্দ্রীয় মারকাজ কাকরাইলে শান্তি শৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিক আমল ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদশে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উভয় পক্ষকে সমঝোতায় আনার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, দাওয়া তও তাবলীগের এ মেহনত দেশের সর্বসাধারণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উলামা মাশায়েখ এবং তাবলীগের সাধারণ সাথীরা মোটেও তাবলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চান না।

তাবলীগের অভ্যন্তরিণ কোনো কোন্দলে সরকার ও প্রশাসন মোটের হস্তক্ষেপ করতে চান না বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের সহাবস্থান বজায় রাখার আহ্বানও জানান।

তিনি বলেন, আমি উলামায়ে কেরামকে ভালোবাসি তারাও আমাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন বিশেষ করে যাত্রাবাড়ীর আল্লামা মাহমূদুল হাসানসহ বড় উলামায়ে কেরামকে আমি মহব্বত করি এবং তাদের পরামর্শে কাজ করি।

মজলিসে উপস্থিত উলামায়ে কেরামও জনবান্ধব ও উলামাবান্ধব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শেখ জননূরুদ্দীন দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ মুসা, মধুবাগ মসজিদের খতিব মাওলানা সাব্বির আহমদ, কাওরান বাজার আম্বরশাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলামসহ আশপাশের অনেক উলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের সাথী।

‘পাকিস্তানপন্থী তাবলিগ’ এবং কিছু দুঃখগাঁথা

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ