মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


কাবা শরিফ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রে মুসলিমদের কী করণীয়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: কাবা শরিফ। মুসলিম হৃদয়ে গভীরভাবে অঙ্কিত এক নাম। মুসলিমদের অাবেগ ও ভালোবাসার জায়গা।

প্রতি বছর বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান হজ ও ওমরা পালন করেন। শুধু কি তাই? এই কাবার সাথে জড়িয়ে আছে মুসলমানদের হৃদস্পন্দন হজরত মুহাম্মদ সা.এর হাজারো স্মৃতি। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচে প্রাচীন ঘরও এই কাবা শরিফ।

সাম্প্রতিক পবিত্র কাবা নিয়ে বিশ্বব্যাপী নানা ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ গত ১১ মার্চ লন্ডনে একটি গোষ্ঠী পবিত্র কাবার ওপর পরমাণু হামলা করে ধ্বংস করলে তার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে চিঠি বিতরণ করেছে৷

এর ক’দিন পরই ভারতের হিন্দু সভা তাদের নতুন বছরের ক্যালেন্ডারে মক্কা শরিফকে ‘মক্কেশ্বর মন্দির’ হিসেবে প্রচার করেছে৷ যা ভারতে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা বলে মনে করচেন ভারতীয় উলামায়ে কেরাম৷

কিন্তু মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র নিয়ে কেন এমন ষড়যন্ত্র? কেন মুসলিমদের উস্তানি দেয়ার চেষ্টা এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত বোদ্ধা মহলে।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দীন  ড. মুশতাক আহমদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের৷

তিনি বলেন, এসব সংবাদের মৌলিক কোনো ভিত্তি নেই৷ মূলত পরিবেশ দূষণ করতে, শান্তি বিঘ্নিত করতেই এসব প্রচারণা৷ এটা চরম পর্যায়ের সাম্প্রদায়িক উস্কানী৷ ভারতের মুসলিমদের স্থানীয় পরিবেশ পরিস্থিতি নষ্ট করতেই এমন উদ্ভট জিনিসের অবতারণা৷

একটি জ্বলন্ত ইতিহাসকে অস্বীকার পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়৷ এ নিয়ে মুসলমানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

তবে তার মতে, এর জোরালো প্রতিবাদ হওয়া জরুরি৷

দেশের আরেক শীর্ষ আলেম মফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, মক্কায় হামলা বা কাবা শরিফ নিয়ে ষড়যন্ত্র হবে এমন ভাষ্য হাদিসের মধ্যে পাওয়া যায়৷

বুখারি শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের আগে এমন একদল মানুষ দেখা যাবে যাদের চেহারা হবে লাল, কপাল হবে উঁচু, নাক হবে চ্যাপ্টা, পায়ের গোড়ালি হবে চিকন৷ তারা কাবার ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করবে৷

হাদিসের ভাষ্য মতে হজরত ঈসা আ. ও ইমাম মাহদির আগমণের পূর্বে কাবা শরিফ ভাঙা হবে৷ তবে এর বিরুদ্ধে আল্লাহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেবেন৷

বর্তমানে লন্ডনে ও ভারতে যা হচ্ছে এগুলো মুসলিম বিশ্বের জন্য চরম সতর্কবাণী৷ মনে হচ্ছে কিয়ামত অতি নিকটে৷

এ মুহূর্তে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, নিজেদের ঈমান আমল মজবুত করতে হবে৷ বিজাতীয়, বিধর্মীদের সাথে সম্পর্ক পরিত্যাগ করে মুসলিম বিশ্বের পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানো সময়ের দাবি৷

তিনি বলেন, সর্ব ক্ষেত্রে রাসুল সা. এর আদর্শের অনুসরণ করা চাই৷ আল্লাহর কাছে নিজেদের পূ্র্ণভাবে আত্মসমর্পণ করা৷

তবে পাশাপাশি মৌখিক ও লেখনির মাধ্যমে, জাতীয় আন্তর্জাতিক মিমডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে হবে৷

কাবা শরিফ নিয়ে খবর দুটি পড়ুন

ভয়ঙ্কর; মক্কায় পরমাণু হামলার আহ্বানে ব্রিটেনে চিঠি!

মক্কাকে মক্কেশ্বর মন্দির প্রমাণের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র; উস্কানির শাস্তি দাবি

আরআর


সম্পর্কিত খবর