শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


দারুল উলুম দেওবন্দের পাঠ্যসূচি পরিবর্তনে ১২ আলেম-ডক্টরের চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

এশিয়া মহাদেশের অন্যতম দীনি বিদ্যাপীঠ হিসেবে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। আজাদ হিন্দুস্থান আন্দোলন থেকে শুরু করে ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসার এবং দেশ ও জাতির হেফাজতের মধ্য দিয়ে সারাবিশ্বে দারুল উলুম দেওবন্দের অবদানের কথা সর্বজন স্বীকৃত।

দারুল উলুমের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের ভিন্ন ভিন্ন শাখায় খেদমতের মাধ্যমে বিশেষ অবদান রেখে আসছে। কিন্তু সময়ের পালাবদলের সাথে সাথে দেওবন্দের শিক্ষার্থীরা দারুল উলুমের পাঠ্যসূচিতে ঈষৎ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।

দীনি তালিম ব্যতীত অন্যান্য ময়দানে দারুল উলুমের যে সব শিক্ষার্থীরা কাজ করছেন, তারা বিভিন্ন সময়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন- এমনটা উল্লেখ করে দেওবন্দের কয়েকজন পুরাতন শিক্ষার্থী  দারুল উলুম দেওবন্দের পাঠ্যসূচি, নেজাম ও সনদপত্রে ঈষৎ পরিবর্তন করলে তাদের কাজ আরো বেগবান হবে বলে মতামত দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দের কয়েকজন সিনিয়র ফুযালা গত বছরের নভেম্বর মাসে দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিশে শুরা বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

যেই চিঠিতে আহ্বান জানানো হয়েছে, দারুল উলুমের পাঠ্যসূচি ও সনদপত্রে এমন কিছু পরিবর্তন আনা হোক, যাতে করে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহজে ভর্তি হতে পারে এবং পাসপোর্ট অফিসে দারুল উলুমের সনদপত্র গ্রহনযোগ্যতা পায়। শিক্ষাস্তরগুলি কে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর সিস্টেমে বিভক্ত করা হবে৷

দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. মাওলানা আবদুর রহমান কাসেমী মিল্লাত টাইমসকে বলেন, দারুল দেওবন্দকে নিয়ে আমরা গর্বিত এবং আমাদের আজকের অবস্থানের জন্য দেওবন্দ এর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। সেখান থেকেই আমরা চিন্তার খোরাক পেয়েছি।

কিন্তু সময়ের পালাবদলের সাথে সাথে দারুল উলুমের নেসাবে তালিমের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোনোরকম পেরেশানীর সম্মুখীন হবে না।

আসছে মাহে রমজানুল মোবারক বিশেষ সংখ্যা

তিনি জানান, নেসাবে তালিমের পরিবর্তনের ব্যাপারে গত বছরের নভেম্বর মাসে দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিশে শুরা বরাবর একটি চিঠি পাঠনো হয়েছে। এখনও সেই চিঠির কোন উত্তর তারা পাননি বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, চিঠিতে আমি ছাড়াও, জামিয়াতুন উলামায়ে হিন্দের ড. আব্দুল মালেক কাসেমী, দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক উস্তাদ মুফতি উবায়দুল্লাহ কাসেমী, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ড. রফিকুল ইসলাম কাসেমী, প্রফেসর ড. আজমাল কাসেমীসহ বারো জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর রয়েছে চিঠিতে।

যারা সবাই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে, দীনি খেদমতের সাথে জড়িত এবং তালীমি এদারার দিকে সুনজর রাখেন।

১১ মার্চ ভারতের রাবেতায়ে মাদারেসের মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই মিটিং এ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে মাদরাসার প্রতিনিধিগণ অংশ নেবেন।

দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ধারণা, এবারে রাবেতার মিটিং ঐতিহাসিক হবে এবং পাঠ্যসূচি পরিবর্তনের ব্যাপারে আলোচনা হবে।

সূত্র : মিল্লাত টাইমস/আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ