শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


‘আলিয়া'র এক প্রিন্সিপালও চাকরি ছেড়ে নুরানী শিক্ষায় যুক্ত হয়েছেন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের সূচনা হয় মূলত ১৯৮১ সালে।  তখন থেকেই এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শায়খুল কুরআন আল্লামা কারী বেলায়েত হুসাইন রহ.। তার মৃত্যু হয় ২০১৬ সালের জুন মাসের ২৪ তারিখে। এর পরে কাজে ব্যপকভাবে মনোনিবেশ গ্রহণ করেন মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন

তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন বাবার কাছে নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।  বাবার কাছেই তিনি হেফজ সম্পন্ন করেন। এর পরে ঢাকার জিঞ্জিরা রহমতপুর মাদরাসায় মাওলানা আবদুর রহমান রহ. এর কাছে পবিত্র কুরআনের হিফজ (শোনানো) সম্পন্ন করেন।

কিতাব বিভাগে পড়া শুরু করেন মাদরাসাতুল মাদীনাহ থেকে। আর দাওরা শেষ করেন ১৯৯৯ সালে মিরপুর ১৪ নম্বর দারুস সালাম মাদরাসা থেকে।

১৯৯৮ সাল থেকে তিনি নুরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের বিভিন্ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত হন। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে কাজ শুরু করেন ১৯৯৯ সালে দাওরা হাদিস শেষে।

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হোসেন বর্তমানে নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের প্রধান। নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের মহাপরিচালক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির মহাসচিবের দায়িত্বপালন করছেন।  নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত কাজের পরিকল্পনা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলেচনা করতে তার মুখোমুখি হয়েছিল আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম। তার সঙ্গে কথা বলেন, ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ

আওয়ার ইসলাম : নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের সূচনা সম্পর্কে কিছু বলুন?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের সূচনা হয় মূলত ১৯৮১ সাল থেকে। শায়খুল কুরআন ক্বারী বেলায়েত হুসাইন রহ. এর সূচনা করেন। তিনি প্রথমে সারা দেশে হেঁটে হেঁটে কুরআন শিক্ষার কাজ করতেন। তখন হাফেজ্জী হুজুর রহ. তাকে খবর দিয়ে এনে বললেন, মানুষ তোমাকে খোঁজে কিন্তু আমি কোনো ঠিকানা দিতে পারি না। তুমি এক জায়গায় বসে কাজ করো।

তখন আব্বাজান রহ. বললেন, আমার তো বসে কাজ কারার কোনো জায়গা নেই। তখন হাফেজ্জী হুজুর রহ. মুহাম্মাদপুরের এই কার্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং বলেন তুমি এখন এখানে বসে কাজ করো।

হাফেজ্জী হুজুর শুধু আব্বাজান রহ. কে এখানে বসিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে বৃহ:বার ফজর নামাজ পড়ে এখানে এসে এশরাকের নামাজ আদায় করতেন। প্রশিক্ষণার্থীদের কিছু উপদেশ দিতেন। এর পরে নাস্তা করে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে চলে যেতেন। এভাবেই মূলত সূচনা হয় নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের।

আওয়ার ইসলাম : নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা কারী মাওলানা বেলায়েত হুসাইন সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আসলে আব্বাজান রহ. সম্পর্কে দুই চার ঘণ্টা বললেও শেষ হবে না। তার প্রতিটা দিনই ছিলো এক একটা ইতিহাস। আমি ১৯৯৮ সাল থেকে তার সাথে সাথে থেকেছি। সেই থেকে নিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ দিবাগত রাতে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ব্রেইন স্ট্রোক করেন এই দীর্ঘ সময় আমি তার সাথে ছিলাম।

তার সাথে থেকে এটাই বুঝেছি, এমন চিন্তার মানুষ পৃথিবীতে খুব কম আসে। তিনি উম্মতের ফিকিরের বাইরে কোনো কথাই বলতেন না। আমি ১৯ বছর তার সাথে খাদেমের মত ছিলাম। আমি কখনো তার মুখ থেকে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত চিন্তার কথা শুনিনি।

আব্বাজান, ক্বারী বেলায়েত হুসাইন রহ. কে বিশেষভাবে নির্বাচন করে গড়ে তুলেছেন। মাত্র তিন বছর বয়সে তার বাবার (আমাদের দাদার) ইন্তেকাল হয়েছিলো। ছয় বছর বয়সে তার মার (আমাদের দাদি) ইন্তেকাল করেন। প্রথমে চাচার দোকানে কাজ করতেন, পরে নিজের ইচ্ছায় লেখাপড়া করতে শুরু করেন। তিনি অনেকবার অনেকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন কিন্তু তিনি থেমে যান নি।

তিনি লেখাপড়া শুরু করেন কিন্তু কে তার খরচ বহন করবে, এমন কোনো বিষয়ে তার কোনো ভাবনা ছিলো না। তিনি এতিম ছিলেন। তাকে সাহায্য করার মত কেউ ছিলো না কিন্তু তিনি যাকাত, ফেতরার একটি পয়সা জীবনে গ্রহণ করেননি।

তাকে যদি কেউ যাকাত,ফেতরার টাকা ইচ্ছা করেও দিতে চাইতো তিনি বলে দিতেন আমি এই টাকা গ্রহণ করি না। এভাবেই তিনি ঢাকার আশ্রাফুল উলুম বড়কাটারা মাদরাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন। আমরা তার সাথে থাকার কারণে অনেক সময় আমরাও তার অনেক কারামত দেখতে পেয়েছি।

আমরা একদিন মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আচ্ছা আব্বাকে আপনি কেমন দেখেছেন? তিনি শুধু এতোটুকই বলেছেন, আমি তাকে কোনো দিন তাহাজ্জুদ কাজা করতে দেখি নি। তিনি যদি রাত দুইটা, আড়াইটাতেও সফর থেকে ফিরতেন তবুও তার তাহাজ্জুদ কাজা হতো না। আসলে একটি বিষয় হচ্ছে তাকে নিয়ে অল্প সময়ে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। আমরা তার জীবনী নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছি।

আওয়ার ইসলাম : আপনি কতদিন থেকে নুরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ডের সাথে যুক্ত আছেন এবং কিভাবে কাজ করছেন এই বিষয়ে কিছু বলুন?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আমি ১৯৯৮ সাল থেকে আমার আব্বার কাছাকাছি ছিলাম। ২০০০ সালে দাওরা শেষ করে তার সাথে আমি সারাক্ষণই থাকি। তার সাথে থাকার কারণে আমার জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। একটা সময় চিন্তা ছিলো জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

কিন্তু তার সাথে থাকার কারণে আমার ভেতরে এসেছে, আমি যাই কিছু করি না কেন সব কিছুই রেখে যেতে হবে। যেখানকার জন্য করলে রেখে যেতে হবে না বরং আমি নিজে যেতে পারবো সেখানকার জন্য করবো অর্থাৎ আমার সকল কাজ হবে আখিরাতের জন্য।

আওয়ার ইসলাম : আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েই স্কুলে পড়ে আর সেখানে কুরআন শিক্ষার কোনো সুব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেকেই কুরআন শিখতে পারছে না। সব শিশুই যেন কুরআনের শিক্ষা লাভ করতে পারে সেই জন্য করণীয় কি?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : এটা খুব সুন্দর একটা প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্নটা আমার বাবাকে বিভিন্ন সময় দেশের ভাবুক ব্যক্তিরা করেছিলেন। সেই সাথে তারা স্কুলগুলোতে যেন কুরআন শিক্ষা চালু করা যায় সেই জন্য তারা বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছিলেন।

এখন আমি আপনাকে সেই উত্তরটাই দিবো যেটা সেদিন আমার আব্বাজান দিয়ে ছিলেন। আসলে কোনো ব্যবস্থাই চলমান একটি ব্যবস্থাকে ঘুরিয়ে দিতে পারবে না। ধরুণ আজকে পঞ্চাশ লক্ষ ছেলে-মেয়ে স্কুলে পড়ছে কোনো ব্যবস্থা দিয়েই এই পঞ্চাশ লক্ষ ছেলে-মেয়েকে কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।

হঠাৎ করে এতো বড় কোনো আয়েজন নিয়ে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। এই জন্য আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে, যারা চলে যাচ্ছে অর্থাৎ স্কুলে পড়ছে তাদের জন্য বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে এই ক্ষেত্রে আমাদের কোনো কাজ নেই। যারা কাজ করছেন তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করতে হলে আমরা অবশ্যই সেটা করবো। কিন্তু আমাদের কাজ হলো স্কুলে আসার আগেই যেন প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে কুরআন শিক্ষা লাভ করতে পারে।

ছয় বছর বয়স থেকে স্কুলে পড়ার বয়স। তো এই ছয় থেকে সাত-আট এই তিনটা বছর নুরানীতে পড়তে দিন। এর পরে সে গিয়ে স্কুলে ফোরে ভর্তি হবে। এভাবে ছাড়া সকলের কাছে কুরআনের শিক্ষা পৌঁছানো সম্ভব নয়।

আওয়ার ইসলাম : নুরানী পড়ে একটি ছেলে বা মেয়ে স্বাভাবিকভাবেই স্কুল বা মাদরাসায় যেতে পারছেন কিন্তু এখানে কি এমন কোনো ব্যবস্থা আছে, নুরানী থেকে পড়ে সে ইংলিশ মিডিয়ামে যেতে পারবে?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : এখানে দুইটা বিষয় একটি হচ্ছে ইংলিশ ভার্সন আর একটি হচ্ছে ইংলিশ মাধ্যম। ইংলিশ ভার্সনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়ামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আরো কিছু দিন সময় লাগবে।

তারপর আরো সমস্যা হচ্ছে ইংলিশ মিডিয়ামে অনেক বিভক্তি আছে। সুতরাং এই বিষয়ে আমাদের আরো প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। তবে আমরা এই বিষয়ে অবশ্যই কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

আওয়ার ইসলাম : আপনারা অনেক দিন থেকে কুরআন শিক্ষা নিয়ে কাজ করে আসছেন। এই কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন? কিংবা এই কাজ করতে গিয়ে আপনারা কী কী প্রতিবন্ধকতার শিকার হন?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : সত্যি কথা বলতে এভাবেই বলতে হবে যে, আল্লাহর রহমতে এই কাজে আমরা কারো পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হইনি। বরং সবাই তাদের নিজেদের অবস্থান থেকে আমাদের সাহায্য করছেন।

অনেকের সম্পর্কে বাইরে থেকে ধর্মবিরোধী জানি কিন্তু তারাও তাদের সন্তানদের নুরানীতে দিয়েছেন এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন, করছেন। এটার একটা বড় কারণ হচ্ছে আমাদের বাংলা ও ইংরেজিটা অনেক উন্নতমানের। আমাদের কাছে অনেকে তাদের সন্তানদেন এই জন্য ভর্তি করান যে বাংলা-ইংরেজিটা যেন ভালোভাবে শিখতে পারে।

আমাদের এখানে মাত্র তিন বছর পড়ে গিয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয় এবং তারা ভালো ফলাফলও করে।

আওয়ার ইসলাম : আপনাদের এই কাজের জন্য সরকারের স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে কি?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : অবশ্যই আমাদের এই শিক্ষার সরকারি স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে। সেই সাথে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো সরকার যেন প্রাইমারি লেভেলে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতা মূলক করেন কেননা ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া উন্নয়নশীল দেশ গড়া সম্ভব নয়।

আওয়ার ইসলাম : আল্লাহর নবী সা. বলেছেন, সর্বোত্তম তিনি যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যদের কুরআনের শিক্ষা দেয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাই আমাদের মাদরাসা মহলে যারা মেধাবী ছাত্র তারা বিভিন্ন পেশায় চলে যায় কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে তারা সাধারণত থাকে না। এই না থাকার কারণ কী?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। মেধাবী যারা আছেন তারা কুরআন শেখানো এই পেশায় আসতে চায় না। এটা আসলে আমাদের সমাজের বড় একটি সমস্যা। তবে এটা বলবো, আগে তো বলতে গেলে মেধাবীরা কেউই আসতো না। এখন অবশ্য আমরা ২০% মেধাবীদের পাই। আরো ৮০% বাকি।

এমন অনেকে এসেছে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন যারা এক সময় তিরমিজি শরীফ পড়াতেন, মুসলিম শরীফ পড়াতেন তারা হাদিসের এই বড় বড় কিতাব পড়ানো বাদ দিয়ে এসে আমাদের সাথে কুরআন শেখানোর কাজ করছেন।

এমনকি আপনি শুনলে অবাক হবেন, আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি চাকরি থেকে রিজাইন দিয়ে এসে আমাদের সাথে কুরআন শেখানোর কাজে যুক্ত হয়েছেন।

আওয়ার ইসলাম : আপনাদের কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে নারীদের কুরআন শেখানোর ব্যবস্থা আছে কিনা ?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আমরা যেহেতু শিশুদের শিক্ষা দিয়ে থাকে সুতরাং আমাদের এখানে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। ছোট্ট শিশুদের পর্দার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং আমাদের এখানে যেই আসুক না কেন আমরা তাকে কুরআন শিক্ষা দিয়ে থাকি।

আওয়ার ইসলাম: নারী ও পুরুষের মাঝে কারা বেশি কুরআনের শিক্ষা লাভ করে ও কুরআন পড়ে? এমন কোনো তথ্য আপনার কাছে আছে কি?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : এই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে এমন একটা জরিপ হওয়া প্রয়োজন। তাহলে সমাজে কুরআন তেলাওয়াত বাড়বে।

আওয়ার ইসলাম : এই কাজ নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : আমাদের মূল পরিকল্পনা হচ্ছে আখেরাত কেন্দ্রিক। আর দুনিয়ার বিষয়ে আমরা যেটা চিন্তা করি সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটা মুসলমানের সন্তান একজন নৈতিক চরিত্রবান, দেশ প্রেমিক ও খাঁটি মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরিকরনে সরকারের সহযোগিতা করা।

আপনার টিকেট সংগ্রহ করেছেন তো?

আওয়ার ইসলাম : যারা নিজেদের কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করতে চায় তাদের বিষয়ে কিছু বলুন।

মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন : এই বিষয়ে আসলে আমাদের নিজেদের পক্ষ থেকে বলার কিছু নেই। আল্লাহর রাসূল সা.-ই বলেছেন তোমাদের মধ্যে সব থেকে উত্তম হচ্ছে সেই ব্যক্তি যিনি নিজে কুরআন শিক্ষা করবেন এবং অন্যদের শিক্ষা দেবেন।

তবে আমি বলবো যারা ভালো করে কুরআন পড়া জানেন তারা আমাদের সাথে কুরআনের শিক্ষা বিস্তারে যুক্ত হোন। বছরে ৫টা ব্যাচে শিক্ষা পদ্ধতির প্রশিক্ষণ হয়। সে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করে আপনি একজন কুরআনের শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারেন।

আর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বা পড়াচ্ছেন তারা যদি আমাদের সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে আমি বলবো আপনি আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের সিলেবাস উন্নয়নের জন্য কাজ করুন। এটাই কুরআনের দেখমত হবে।

শাইখুল কুরআন খেতাবে হাজার বছরের ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন কারী বেলায়েত রহ.


সম্পর্কিত খবর