শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


শাইখুল কুরআন খেতাবে হাজার বছরের ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন কারী বেলায়েত রহ.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: দীর্ঘ ৬০ বছর নীরবিচ্ছিন্নভাবে কুরআনুল কারিমের খেদমত করার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের প্রখ্যাত আলেম শুদ্ধ কুরআন পাঠদানের নূরানী পদ্ধতির প্রবর্তক হজরতুল আল্লাম কারী বেলায়েত হুসাইন রহ.কে শাইখুল কুরআনে ভূষিত করেছেন শীর্ষ আলেমগণ।

গতকাল শনিবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে নুরানী টাওয়ারে দেশের ৬৪ জেলার নুরানী তালিমুল কুরআনের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন ও কারী বেলায়েত রহ. এর কর্মময় জীবনের আলোচনা শীর্ষক সভায় এ খেতাব প্রদান করা হয়।

মদিনা প্রবাসী হজরতের বড় ছেলে মাওলানা মসিহউল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবীন আলেম জামিয়া মুহাম্মদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম।

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা খুরশেদ আলম কাসেমী। জামিয়া রাহমানিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাসিক আল কারীম নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাকী, আওয়ার ইসলাম সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব, মাদরাসাতুল কুরআনের প্রিন্সিপাল গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোট নেতা গাজী ইয়াকুব ও কাউসার আহমদ সোহাইল প্রমুখ।

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা কারী ইসলামাঈল বেলায়েত হুসাইন এর সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, কারী বেলায়েত হুসাইন রহ. ছিলেন, কুরআনের শায়েখ এবং কুরআনের আশেক। তিনি দীর্ঘ জীবনে নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধ কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য আমরণ চেষ্টা করে গেছেন। বাংলাদেশে শিশুকিশোরদের শিক্ষা ও নৈতিকতা ধ্বংসের জন্য এনজিওগুলো যে অপতৎপরতা চালাচ্ছিল কারী বেলায়েত হুসাইন রহ. এর নূরানী পদ্ধতির ব্যাপক কর্মতৎপরতা সেটি রুখে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জামিয়া রাহমানিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মাওলানা কারী বেলায়েত হুসাইন রহ. কুরআনে কারিম থেকে ইজতেহাদ করে একটি নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন, যাতে আমাদের শিশুকিশোরদের জন্য কুরআন শিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দীনি শিক্ষার বিলুপ্তি ঘটাতে দেশে নানা রকম শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে এই নূরানী পদ্ধতি ব্যাপক উপকার সাধন করেছে।

তিনি বলেন, এই পদ্ধতি শুধু শিশুদের জন্য নয় বরং বিশ্বব্যাপী কুরআন শিক্ষার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র গড়ে উঠেছিল সেই জালকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। বাংলাদেশে এনজিওগুলো দীনি শিক্ষাকে যেভাবে টার্গেট করেছিল এটা শুধু আন্দোলন করে দমানো সম্ভব ছিল না, সেটা সম্ভব হয়েচে এই পদ্ধতির মাধ্যমে।

স্মরণ সভায় নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের প্রায় সব জেলারই নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা আগামী দিনের নূরানী শিক্ষা পদ্ধতিকে যেন আরও দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেন।

এটিও পড়ুন: ‘হাফেজ্জি হুজুর আব্বাজানকে বললেন, তুমি বিকল্প প্রাইমারির ব্যবস্থা করো’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ