মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় গত ১৪ জানুয়ারি উলামাদের জোড়ে তাবলিগ জামাত, বিশ্ব ইজতেমা ও মাওলানা সাদকে নিয়ে চলমান সঙ্কটের ওপর এক গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার শাইখুল হাদিস ও মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহ. এর খলিফা মুফতী মনসূরুল হক।
আওয়ার ইসলাম পাঠকদের জন্য তার বয়ানটি অনুলেখন করেছেন মাকসুদুল আহসান।
কুরআন শরিফের চার জায়গায় আসছে আম্বিয়ায়ে কেরাম চারটি কাজের দ্বারা দীন কায়েম করেছেন। ১ম পারার ১৯ নং পৃষ্ঠায়, ২য় পারার ২নং পৃষ্ঠায়, ৪র্থ পারার ১০ম পৃষ্ঠায় এবং ২৮ পারায় সুরা জুমুআয়।
চার জায়গায় আল্লাহ বলেছেন, নবীজির কাজ করার পদ্ধতি কী ছিল? (১) উম্মতের কাছে আয়াত পৌঁছে দিতে হবে- এর দ্বারা তামাম মুফাসসিরে কেরাম দাওয়াত ও তাবলিগ পছন্দ করেছেন। পৌঁছে দেয়া। পৌঁছে দেয়া হলো তাবলিগ।
(২) আত্মশুদ্ধির মেহনত করতে হবে। অন্তরের দশটি রোগ ও দশটি গুণ। একে বলে আত্মশুদ্ধি বা তাজকিয়ায়ে বাতেন।
(৩) তারা কুরআনের তা‘লিম দিবে। তারা কুরআনের তিলাওয়াতও শেখাবে এবং কুরআনের যে হুকুম আহকাম আছে অর্থাৎ আদেশ নিষেধ সেগুলোও শেখাবে।
(৪) হিকমাহ অর্থাৎ নবীজির সুন্নাত হাতে কলমে শেখাবে। কারণ নামাজ ফরজ হওয়ার পর আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের সুরতে জিবরাঈল আ. কে পাঠানো হয়েছে হাতে কলমে কাজ দেখানোর জন্য।
নবীজিকে জিবরাঈল আ. হাতে কলমে ওজু শিখিয়েছেন। এমনকি ওজু করার পর লজ্জাস্থান বরাবর কাপড়ের উপরে কিছু পানি ছিটিয়ে দিতে বলেছেন যাতে ইবলিস এ ওয়াসওয়াসা না দিতে পারে যে- আরে পেশাবের ফোঁটা মনে হয় লেগে আছে।
নবীজি মে’রাজের পরে জোহরের পর থেকে দুই দিনে নবীজিকে দশ ওয়াক্ত নামাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নবীজি বাকি জিন্দেগি সাহাবায়ে কেরামকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
তাই আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজ রেখে গেছেন তার সবটার ওয়ারিশ আমরা। তাবলিগেরও ওয়ারিশ, তাসাউফেরও ওয়ারিশ, তা‘লিমে কুরআনেরও ওয়ারিশ, তা‘লিমুস সুন্নাহরও ওয়ারিশ। চারটি কাজেরই আমরা ওয়ারিশ।
মাওলানা ইলিয়াস রহ. কোত্থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। দেওবন্দ থেকে। দাওয়াত ও তবলিগ এটা দেওবন্দের অবদান এবং উনাকে মেওয়াতে কে পাঠিয়েছেন? মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. পাঠিয়েছেন। তাই তাবলিগের মুরুব্বী থানবী, দাওয়াতুল হকেরও মুরুব্বী থানবী রহ.।
একবার কিছু লোক চেয়েছিল তাবলিগে নাহি আনিল মুনকার যোগ করার। এতে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। তখন তারা থানবী রহ. এর কাছে এলে তিনি বললেন, এটা যোগ করা যাবে না। কারণ তাবলিগের কাজ হচ্ছে সারা দুনিয়ায় দাওয়াত পৌঁছে দেয়া যে, ইসলাম একমাত্র মুক্তির ধর্ম। পুরো দীন পৌঁছার দরকার নেই। তাহলে তোমরা পুরো দুনিয়াতে যেতে পারবে না। বাধাগ্রস্থ হবে। ঢুকতে দেবে না।
তখন থানবী রহ. নাহি আনিল মুনকারের কাজটি বিশেষভাবে দিয়েছিলেন মজলিসে দাওয়াতুল হককে। এখানে শুধু সুন্নাতের মশক করায় না। এখানে গুনাহে কবীরার তালিম করে। শেখায় এগুলো গুনাহে কবীরা এগুলো তোমরা করবা না।
যেমন- সুলাইমান আ. এর জামানায় যাদুর তালিম করা হত। কেন? দেখানো হতো, এগুলো কুফরি কথা এগুলো করবা না। যাদু করার জন্য না। দাওয়াতুল হক গুনাহে কবীরা তা‘লিম করে গুনাহে কবীরা করার জন্য না। গুনাহে কবীরা থেকে বাঁচার জন্য।
তাই আমাদের দাওয়াতে তাবলিগও সামলাতে হবে, খানকাও সামলাতে হবে, তা‘লিমে কিতাব তো মাদরাসায় হচ্ছে, আর দাওয়াতুল হকের মাধ্যমে আমলী মশকের মাধ্যমে তা‘লিমে সুন্নাহও করতে হবে। এই সবগুলো কাজ সামলাতে হবে একসঙ্গে।
আলহামদুলিল্লাহ এখন আলেমরা যেভাবে সতর্ক হযেছে, এটা ধরে রাখতে হবে। এটা যদি আমরা আগের থেকে ধরতাম তাহলে হয়তো ইত্তেহাদুল জুহালা কায়েম হতো না। তা না হলে একভাবে চলছে চলুক ওরা ওইদিক সামলাচ্ছে আমরা এই দিক সামলাই।
এখন আমরা একদিকে খেয়াল একটু কমিয়ে দিয়েছি তাই অনেক বড়ো জাহেল কিয়াদত হয়ে গেছে এবং তারা আর আলেমদের মানছেই না। এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা আমাদের যে সহিহ বুঝ দিয়েছেন এর উপর বাকি জিন্দেগি কায়েম থাকতে হবে এবং ছাত্র-শিক্ষক নিয়ে এ কাজকে সহিহভাবে ধরে রাখার জন্য যা কিছুর দরকার তা করতে হবে। এ কাজ থেকে সরে থাকা যাবে না। কোনো ব্যক্তির জন্য আমরা তাবলিগ করিনি আর ব্যক্তির জন্য ছাড়বোও না।
মাওলানা সা‘দ সাহেব তার সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ নেই। সমস্যা হচ্ছে তিনি কিছু বক্তব্য দিয়েছেন- যা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী। কোনো অবস্থাতে কুরআন-সুন্নাহ তা সাপোর্ট করে না।
কুরআন না বুঝে পড়া যাবে না এটা উনি বলেছেন। যেটা আগে মওদূদী বলেছে। অথচ আলিফ-লাম-মীম এর কোনো অর্থ মানুষ বলতে পারবে না। এখানে তিনটি হরফ পড়লে ৩০ নেকি পাওয়া যাবে।
আল্লাহ তা‘আলা জানেন কিয়ামতের আগে কিছু বাতিল ফিরকার লোক আসবে যারা বলবে তোতার মত কুরআন পড়লে সওয়াব হবে না। তাই আগেই তার দাঁতভাঙ্গা জবাব হাদিসে দেয়া হয়েছে।
কত বড় মারাত্মক ভুল এটা। কুরআন না বুঝে পড়লে সওয়াব হবে না। এরপর উনি বলেছেন, মূসা আ. মারকাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন এজন্য উম্মত গোমরাহ হয়ে গেছে। কাজেই মারকাজ ছেড়ে যাওয়াটা ঠিক নয়। কত বড় জাহেল মতবাদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
জাহেল মতবাদ এ কারণ- একতো নবী সম্পর্কে, দ্বিতীয়ত তাকে স্বয়ং রাব্বুল আ‘লামীন আদেশ করেছেন। বলেছেন, মূসা তুমি তূর পাহাড়ে এসো, ই‘তিকাফ কর, তোমাকে কিতাব দেওয়া হবে। উনি আল্লাহর আদেশে কিতাব আনতে গিয়েছেন। উনি কোথায় মারকাজ ছাড়লেন, উনি কি নিজের পক্ষ থেকে গেছেন, আল্লাহ আদেশ করেছেন বলেই গেছেন।
তারপর বলেছেন, হেদায়াত যদি আল্লাহ তা‘আলার কাছে হতো তাহলে আর নবী পাঠানোর কী দরকার ছিল।এগুলোর ব্যাখ্যা করব না। প্রত্যেকটি এরকম এবং তিনি বলেছেন, একমাত্র মসজিদভিত্তিক দাওয়াতের কাজ হলো দীনি কাজ। এর বাইরে যা হচ্ছে এগুলো একটাও দীনি কাজ না। মাদরাসার কোনো পাত্তাই নেই।
তার আরেক বিতর্কিত বক্তব্য- যারা ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখে তারা সব উলামায়ে সূ। অনেকে রাখে কিন্তু জীবনেও ব্যবহার করে না। অথচ উনার সাথে যে লোকটি এসেছিল সে কিন্তু সর্বক্ষণ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইলে ব্যবহার করছে। সে প্রতিনিয়ত উনার বক্তব্য সারা বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। তাহলে উনার লোকই তো উনার ফতোয়া মানছে না।
এরকম কিছু কথা উনার থেকে প্রকাশ পেয়েছে। যেটা সাহারানপুর মাদরাসার উলামায়ে কেরাম, দারুল উলুম দেওবন্দের উলামায়ে কেরাম, আমার শায়খের যিনি জানেশীন হাকীম কালীমুল্লাহ সাহেব উনারা ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।
এরকম ভারতের অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব, মাওলানা আরশাদ মাদানী উনিও উনার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কারো কথায় কর্ণপাত করেননি।
তাকে বলা হয়েছে- আপনি মানুষকে বলুন আমার থেকে এই এই কথাগুলো ভুল হয়েছে, আর এটা এটা সহিহ কথা। দেওবন্দ আর সাহারানপুর তো শুধু এটাই চেয়েছে। আর তো কিছু চায়নি। বলেনি আপনি কাজ বন্ধ করুন। আপনি নাআহাল, এসব কিছু তো বলেননি। এটা তওবার নিয়ম।
এই ভুলের কারণে অনেক মানুষ গোমরাহ হয়েছে। তাই উনাকে একটা একটা করে ভুল বলতে হবে এবং সেটার শুদ্ধ এটা। শুধু এ কথা বললে হবে না যে, আমি রুজু করলাম! আমি রুজু করলাম। এগুলো অগ্রহণীয় কথা। এভাবে কি তওবা হয় নাকি।
আর তিনি কাকরাইল মারকাজে যেটা বলেছেন তা তো আরো বেহুদা কথা। বলেছেন, কেউ যদি কোনো ভুল করে বা আমার যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে স্বীকার করা উচিত। যদি বলার দ্বারা উদ্দেশ্য- ভুল হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। উনার সাথে যে বাংলাদেশের পাঁচজন আলেম ও শূরার সদস্য ছিল তখন যদি তিনি বলতেন, এখন থেকে আমি যে মজলিসে যাব যে ভুলগুলো হয়েছে তার তালিকা বানিয়ে সেগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেব তাহলে আর কারো বিমানবন্দরে যাওয়া লাগতো কাকরাইলেও যেতে হতো না।
এখনও যদি উনি ভুলগুলো লিস্ট করে দেওবন্দ যেভাবে বলেছে সেভাবে প্রত্যেকটি ভুল বলে এর সঠিক ব্যাখ্যা বিভিন্ন মজলিসে দেন তাহলে আমরা আবারও তাকে সসম্মানে বাংলাদেশে নিয়ে আসব।
উনি বলেছেন, ভবিষ্যতে আমি এ ভুলগুলো থেকে তওবা করব। কিয়ামতের আগের দিন তিনি এই ভুলগুলো স্বীকার করবেন। তাহলে আমরাও উনাকে ভবিষ্যতে আনব।
বাচ্চার গায়ে যদি কোনো নাপাক লেগে যায় এই অবস্থায় তাকে কউ কোলে নেবে? আগে ছাফ করে তারপর কোলে নেবে। আপনাকে আমরা কোলে নেব। আপনার সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ নেই। খোদার কসম! খোদার কসম! খোদার কসম! কোনো আক্রোশ নেই।
আপনার খান্দানের অনেক কুরবানি। আপনি কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কথা বলবেন আর ভুলগুলো থেকে তওবা করতে বললে কারলেঙ্গে বলবেন, তা হবে না। আগে ভুলগুলো স্বীকার করে সঠিক ব্যাখ্যা দিন তাহলে কালকে আপনাকে বুকে মিলিয়ে নেব।
আপনার ব্যক্তির সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। এই কাজটা করে যদি তিনি আসতেন তাহলে কোনো বিরোধ হতো না। আপনি চিঠিতে বলেন, আমি রুজু করছি। এই কথা বললে কি হয়ে গেল? দেওবন্দ তো এই কথাই বলে যে, উনি চিঠিতে বলেন- আমি রুজু করছি আবার পর দিন মিম্বারে ওই কথাই বলেন।
উনি ভুলগুলো স্বীকার করে এর সঠিক ব্যাখ্যা বলে দিক তাহলে উনাকে উলামায়ে কেরাম ওয়েলকাম দিয়ে নিয়ে আসবে। খোশ আমদেদ বলে নিয়ে আসবে। যতদিন করবেন না ততদিন উনি বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। কোনো জোরজবরদস্তি চলবে না। সাবধান হয়ে যান। এটা হক। হকের সাথে জোর খাটিয়ে মোকাবেলা চলে না। হকের সাথে আল্লাহ আছেন।
বাতিল পক্ষ নিবেন আর আপনি ব্যক্তি পূজা করবেন। ইসলামে কোনো ব্যক্তি পূজা নেই ও স্থান পূজাও নেই। কুরআন হাদীসের কোথাও এ কথা নেই, মক্কা-মদীনায় যা দেখবে তা আমল করবে। থানবী রহ. চলে গেছেন তো সে থানাভবনে এখন আর কে যায়?
যাকে একসময় আল্লাহওয়ালাদের জায়গা বলা হত। কাজেই নিজামুদ্দিন দিল্লির একটি মসজিদ মাত্র। সেটা শরিয়তের কিছু নয়। যা শরিয়তের কোনো দলিল নয়। আর তাকে শরিয়তের কোনো বরকতময় স্থান হিসেবে ঘোষণাও করা হয়নি।
আমরা দিল্লির পূজা করি না। আর উনি যতক্ষণ তওবা না করবেন আমরা উনাকেও অনুসরণ করব না। দিল্লিকেও পূজা করা যাবে না, ব্যক্তিকেও পূজা করা যাবে না। আগে তওবা করতে হবে। স্থান কখনও মাননীয় হতে পারে না। ব্যক্তি হতে পারে- তবে সে যদি শতভাগ হকের ওপর থাকে তাকে আমরা অনুসরণ করব।
হকের থেকে সরে গেলে তাকে আর মানব না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. যাকে চতুর্থ খলিফার পর পঞ্চম খলিফা হিসেবে ধরা হয়। তাকে একবার তার শাগরেদগণ বললেন, আল্লাহর প্রিয় হাবিবের সাহাবী! আপনি হাদিস বলেন, আমরা তা শুনি এবং তা আমল করি কিন্তু সব কথা তো শুনে শেষ করা যায় না।
সুতরাং আমরা চাচ্ছি আপনার কাজকর্ম চলাফেরা দেখে দেখে তার অনুসরণ করে তার ওপর আমল করতে।
কিন্তু তার শাগরেদগণকে এ বিষয়ের অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, আমি এখনও জীবিত। আর জীবিত মানুষ ফেতনা থেকে নিরাপদ নয়। জীবিত মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে যে কোনো ফেতনায় জড়িয়ে যেতে পারে। তাই তোমরা ওই ব্যক্তির কাজকর্মকে অনুসরণ করতে পারো যিনি ঈমান নিয়ে চলে গেছেন।
সেখানে আরবি এবারতে আছে, ‘ফা ইন্নাল হাইয়া লা তু’মানু আলাইহিল ফিতনা।’ এটা দ্বারা তিনি কী বুঝালেন? বুঝালেন, ইসলামে কোনো ব্যক্তি পূজা নেই। বালআম বাউর কত বড় বুযুর্গ ছিল কিন্তু বেঈমান হয়ে গেছে।
বনী ইসরাঈলের জারসিস কত বড় বুযুর্গ ছিল, নবীর সুহবতে ছিল কত সাহাবী যাকাত না দেয়ার ফলে ঈমানহারা হয়ে গেছে। দেখা গেল, জীবিত মানুষের উপরে যে কোন ফিতনা আসতে পারে।
তাই মাওলানা সা’দ এর ব্যাপারে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো আক্রশ নেই। তিনি কাকরাইলে এই জুমুআর দিনেও সাহাবীদের নিয়ে একটি ভুল বয়ান করেছিলেন। যা ঠিক নয়। এটা বুঝের ভুল। সাহাবীদের ইজ্জত ঠিক রেখে কথা বলতে হবে।
সাহাবীরা সত্যের মাপকাঠি। সাহাবীবিদ্বেষী যারা তারা নবীবিদ্বেষী। যত বাতিল দল আছে তারা সাহাবীবিদ্বেষী। কারণ এই গ্রুপটা বাদ দিয়ে দিলে ইসলাম এমনিই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা তো নবীজির কথা সরাসরি শুনি নাই, সাহাবীদের ভায়া হয়ে শুনেছি। শিয়া, মওদূদী, আহলে হাদীস এরা সবাই সাহাবী বিদ্বেষী।
তাবলিগের কিছু কিছু ব্যক্তি এখন উল্টো পথে যাচ্ছে। উল্টো পথে যে যাচ্ছে এটাও মাওলানা ইলিয়াস রহ. এর মালফূযাত এর মধ্যে আছে। তিনি বলেছেন, আমার এই চলতে ফিরতে জামাতের সাথে যদি উলামায়ে কেরাম না থাকে তাহলে এটা ভবঘুরে ফিতনার জামাত হবে।
এখন ভবঘুরে ফিতনার জামাত হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু আল্লাহ ব্রেক করে দিয়েছেন। আমরা কিছু করিনি।
তাই এখন আগের মতো কম খেয়াল দিলে চলবে না। খেয়াল কিভাবে বেশি দিবেন। সমস্ত মাদরাসাওলা পরীক্ষা হয় আগে নিন অথবা পরে নিন ইজতেমায় যেতে হবে এটা বাধ্যতামূলক এবং যারা বড় ছাত্র আছে তাদের ইজতেমায় নিতে হবে।
আর ইজতেমার ছুটিকে আলাদা দিবেন এটা পরীক্ষার ছুটি থেকে দিবেন না। এটা আমার আবেদন। এখন ইখতেলাফ করার সময় নয়। এখন বেশি বেশি খুরুজ করার সময়। তাই এখন আপনাদের সামনে তিনটি কাজ- ইজতেমায় আপনাদেরও যেতে হবে, বড় ছাত্রদেরও যেতে হবে এবং যারা তাবলিগের সাথী আলেম না তাদের হাতে পায়ে ধরে ইজতেমায় যাওয়ার জন্য বলতে হবে- কারণ এটা এখন সময়ের চাহিদা।
পরে কিভাবে সা’দ সাহেবকে আনা যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। এখন ইজতেমাকে কামিয়াব করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন।
তাবলিগের বিশ্ব শুরা সদস্যদের ইজতেমায় অংশ নেয়ার বিশেষ আমন্ত্রণ