হাওলাদার জহিরুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিবেদক
উপমহাদেশের বিখ্যাত দীনি বিদ্যপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদার্রিসীন ও শায়খুল হাদিস হজরত আল্লামা মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন৷
২০১১ সালের পর বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম সফর।
বাংলাদেশে আল্লামা পালপুরীর বিশেষ শাগরেদ ও প্রখ্যাত ফিকাহবিদ মাওলানা ইয়াহইয়া’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদক বলেন, রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ‘মাসনা মাদরাসা ঢাকা’ উদ্বোধন উপলক্ষে আল্লামা পালনপুরী বাংলাদেশে আসবেন।
কেবল একটি মাদরাসা উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পালনপুরীর জরুরি সফর বিষয়টি খোলাসা করতে গিয়ে মাওলানা ইয়াহিয়া বলেন, মাদরাসাটি একটি ব্যতিক্রম উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ গতানুগতিক ধারার বিপরীতে ফিকহ ও উসূলে ফিকহের ওপর একঝাঁক মেধাবী তরুণকে গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতেই এই মাদরাসার সূচনা হচ্ছে৷ এটা হজরত পালপনপুরীর একান্ত ইচ্ছে ও পরামর্শেই হচ্ছে৷
অনুষ্ঠান সূচি সম্পর্কে মাওলানা ইয়াহইয়া জানান, আল্লামা পালনপুরী ২৬ অক্টোবর দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বিকেল সাড়ে চারাটায় ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন৷ রাত ও পর দিন পুরো সময়টাতে মাসনা মাদরাসা ঢাকা’তেই অবস্থান করবেন৷
তিনি জানান, অন্য কোনো মাদরাসায় তার কোনো প্রোগ্রাম রাখা হয়নি৷ তবে জোহরের আগে মাদরাসার দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় সভা হবে৷ আর বাদ জোহর উলামায়ে কেরামের সাথে বিশেষ কোনো মতবিনিময় সভা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নই৷
তিনি আরো জানান, বাদ আসর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখবেন মারকাযুদ্ দাওয়াহ’র পরিচালক মাওলানা আবদুল মালেক৷ বাদ মাগরিব আলোচনা পেশ করবেন ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা জিকরুল্লাহ খান৷
এরপর শায়খ পালনপুরী নসীহত পেশ করবেন ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করবেন৷ পরদিন (২৮ অক্টোবর) সকাল দশটার ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন৷
উল্লেখ্য ২০১১ সালের পর এটিই পালনপুরীর প্রথম সফর৷ ফলে বাংলাদেশে তার ভক্ত অনুরাগী ও শাগরেদদের মাঝে উক্ত অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে৷ অনুষ্ঠানে উলামা-তলাবার পাশাপাশি সাধারণ মুসল্লীগণও ব্যাপকভাবে অংশ নিবেন বলে আয়োজক কমিটি আশা প্রকাশ করছে৷
প্রয়োজনে আবার মুক্তাঙ্গণে অবস্থান করবো!