গাজী তারেক রহমান: জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, লেখক ও চিন্তাবিদ জাগ্রত কবি মুহিব খান রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছেন। গত ০৮ সেপ্টেম্বর মুহিব খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে রোহিঙ্গাদের পাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি এগিয়ে আসার এক আহ্বান জানিয়ে চিঠি পোস্ট করেন।
চিঠিতে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
শ্রদ্ধাভাজন প্রধানমন্ত্রী, আসসালামু আলাইকুম।
নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভুতিশীল হওয়ায় আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ন রেখে তাদের সার্বিক সেবা ও সুরক্ষাও এখন আপনারই মানবিক কর্তব্য। কঠিন কাজ, তবু আপনাকেই করতে হবে, আপনিই পারবেন।
শুধু তাই নয়, জরুরি অবস্থায় সাময়িক আতিথেয়তার পর তাদের নিজভূমিতে পূণর্বাসিত ও পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করতে মগের মুল্লুক মিয়ানমারের অত্যাচারী শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের মুক্তিসংগ্রামেও আপনাকে পাশে দাঁড়াতে হবে। মুসলিম বিশ্বের সাথে হাত মিলিয়ে হতে হবে তাদের স্বাধীনতার সঙ্গী।
আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। আপনার কিংবদন্তী পিতার মতো সাহসী হয়ে উঠুন। নিষ্পেষিত মানবতার পক্ষে রোহিঙ্গাদের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতায় অবদান রাখুন। সুচি'র শান্তি (!) নোবেল ছিনিয়ে আপনার হাতে তুলে দেবে সভ্য পৃথিবী। তাই যেন হয়।
অযাচিত যুদ্ধে জড়িয়ে শক্তি ও সৈন্যক্ষয়ের ভয়! ঠিক, আমাদের জানবাজ সামরিক সন্তানদের ব্যাক আপে রিজার্ভ রাখুন।
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ। একজন কবি মাত্র। তবে শব্দ-বারুদ আগুন জ্বালাতে পারি বরফখণ্ডেও। সুর-ঝংকারে চেতনা জাগাতে পারি লাশের মিছিলেও।
‘আপনি শুধু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিন, আমি সারাদেশ থেকে একলক্ষ দেশপ্রেমিক বেসামরিক জানবাজ তরুণ যোদ্ধা আপনাকে উপহার দেবো।’
আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
দেশের তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ লেখক ও শিল্পী প্রতিনিয়তই রোহিঙ্গা মুসলমানদের খোঁজ-খবরসহ রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকেই ছড়া, কবিতা ও গানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের পাশে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে বেশ উৎসাহ জোগাচ্ছেন।
মিশরের কারাগারে বন্দীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন