‘পর্ন’ শিরোনামে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের এটি প্রবন্ধ প্রকাশ করায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবদুল জলিল।
বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীকে আবদুল জলিলের পক্ষে নোটিসটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম।
নোটিসে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিসের উপযুক্ত জবাব না দিলে প্রচলিত আইনে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, ‘গত ২০ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার চতুর্থ পৃষ্ঠায় খোলা কলামে নির্বাসিত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এর ‘পর্ন’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয় যাতে সমাজে অশ্লীলতা বিস্তারে উৎসাহিত করা হয়েছে। এর আইনগত ও নৈতিক অধিকার আপনার নাই।’
এতে আরো বলা হয়, ‘শরীর নিয়ে লজ্জা দূর করতে হবে… নারীর আর সব স্বাধীনতার মতো যৌন স্বাধীনতাও নারীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন- ইত্যাদি বক্তব্যসমূহ চরম আপত্তিকর, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারী, সমাজে ফেতনা সৃষ্টিকারী এবং বিশেষভাবে মেয়েদের অশ্লীল কাজে প্ররোচণ প্রদানকারী বটে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও প্রকাশককে নোটিসে বলা হয়, ‘যেহেতু তসলিমা নাসরিন একজন বিতর্কিত লেখিকা এবং ইতিমধ্যে লেখিকার অশ্লীল-অশালীন বক্তব্য, প্রবন্ধ প্রচার ও প্রকাশ করে আপনিও অশ্লীলতা প্রচার-প্রসারের জন্য সমভাবে দায়ী যা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।’
এতে বলা হয়, যেহেতু সংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। সেই হিসেবে উক্ত বিতর্কিত লেখিকার লেখনি ও চিত্রাঙ্কন প্রকাশ ও প্রচার করে আপনার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করেছেন। এটাও প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
তসলিমার নাস্তিকতা ও শাবানার ডিগবাজি
আরআর