হামিম আরিফ: হেফাজতে ইসলামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন, ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এক রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এতে উপস্থিতি স্বল্পতায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আশরাফুল আলম বলেন, ‘হেফাজতের কথা বলছেন? তারা তো দৃশ্যমান। তাদের কর্ম সবই পত্রিকায় আসে। এরা ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এ চিন্তা ধারণ করে। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে কারা এসব প্রতিবাদে আসছে না, তাদের বিষয়েও নজর রাখুন।
তিনি বলেন, এই ধরনের সমাবেশে এই পরিমাণ জনসমাগমে সবাই সন্তুষ্ট হতে পারেন, আমি না।
শনিবার (৩ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাবেশ। এতে দেশের শীর্ষ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার বলেন, আজকাল তো কিছু বলা যায় না। জুজু হয়ে গেছে, কেউ কিছু বললে তা ধর্মের বিরুদ্ধে বলা হয়। এদের প্রতিহত করা না গেলে নিজেদের কবর আমরা নিজেরাই খুঁড়ব।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের আলেম ওলামা ও সুশীল শ্রেণির মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যদিও আলেমরা তাদের বিরোধিতা করে কিছু বলেননি বা করেননি। নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে কিছু বিষয়ে সরকারে কাছে দাবি জানানোর পাশাপাশি আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তারা এসব বিষয়ে সরকারকে কিছু না বলে আলেম ওলামাকে গালাগাল দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে নাট্যকার মামুনুর রশীদ আলেমদের তেতুল হুজুর বলেও গালি দেন। বক্তাগণ হেফাজত বা ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আন্দোলন বিষয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, এরা সব সময় জনবিচ্ছিন্ন ছিল। এদের সমাবেশে মানুষের সাপোর্ট নেই বললেই চলে। সুতরাং এদের কথা শোনাটাও বাতুলতা।
হেফাজতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট