আওয়ার ইসলাম : ইউটিউব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বিতর্কিত গান 'আল্লাহ মেহেরবান'।
মঙ্গলবার থেকে গানটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। তবে অন্যান্য চ্যানেলে গানটি এখনো রয়ে গেছে।
আল্লাহর পবিত্র নামকে জঘন্যভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে উল্লেখ করে জাজ মাল্টি মিডিয়াকে 'আল্লাহ মেহেরবান' শীর্ষক গানটি আগামী তিনদিনের মধ্যে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
নোটিশ উল্লেখ করা হয় যে, আগামী তিন দিনের মধ্যে ‘আল্লাহ মেহেরবান’ গানটি ইউটিউব থেকে মুছে ফেলতে হবে এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে, না হলে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইজিপি ও সেন্সরবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
বিতর্কিত গান ‘আল্লাহ মেহেরবানে’র বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান জানান, আল্লাহর নামে মদ ও স্বল্প পোশাকে নারীদেহ প্রদর্শনীতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে। এ গানের চিত্রায়ন ও দৃশ্যায়নের মাধ্যমে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানো হয়েছে। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। তাই অতিদ্রুত ইউটিউব থেকে এই ভিডিও সম্বলিত গানটি রিমুভ করতে বলা হয়েছে।
গত ২৫ মে ফেসবুকে গানটি মুক্তির আগাম খবর জানিয়ে দিয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। যেখানে গানের শিরোনামের সঙ্গে নুসরাত ফারিয়ার বেশ খোলামেলা ছবি পোস্ট করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরপর থেকে নানা প্রশ্ন আর সমালোচনা শুরু হয়।
‘আল্লাহ মেহেরবান, মওলা মেহেরবান’র মতো গানের কথা অথবা ভাবধারার সঙ্গে ফারিয়ার খোলামেলা উপস্থিতি দারুণ সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন অনেক সিনেমাপ্রেমী ও সমালোচকরা। এমনকি গানের কিছু অংশে পাঞ্জাবী, পাগড়ি ও টুপি-পরিয়ে ফারিয়ার নাচের সঙ্গে দর্শক হিসেবে উপস্থিত করা হয়েছে।
-এআরকে