আওয়ার ইসলাম: সারাদেশে মসজিদ বা বাসা বাড়ির বিল্ডিং ঘেমে যাচ্ছে। এতে অনেকেই আতঙ্কিত বোধ করছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বিজ্ঞানীদের মতে, বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাবার কারণেই মূলত মেঝে ঘেমে যায়। বৃষ্টি ঝরে বাতাসের আদ্রতা কমে গেলে এটি কমতে থাকে। আবার কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলে এমন হয়। বর্ষার দিনে এমন হয়। লবন গলে যায়। গ্রিল, ফ্লোর ভেজা থাকে।
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি হলে সে আর্দ্রতা দেয়ালে মেঝেতে বস্তুতে লেগে ঘামের মতো হয়। পানির গ্লাসে বরফ লাগলে যা হয়। এছাড়া অন্য কারণ নেই। একেক বস্তুতে একেকগতিতে আর্দ্রতা থেকে বাষ্প জমে।
কারণ বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক সময় স্নান করার পর দেখবেন বাথরুমের আয়না ঘোলাটে হয়ে যায়। এটাও জলীয়বাষ্পের জন্যই। পৃথিবী উত্তপ্ত থাকে, আর বৃষ্টি হলে সেই জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। বাষ্পটাই মেঘ হয়। কিন্তু যখন বেশি বৃষ্টি হয় তখন বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকে। যা ঠাণ্ডা কিছুর সংস্পর্শে আসলে পানি হয়ে যায়।
ছোটবেলায় একটা পরীক্ষা ছিলো, একগ্লাস ঠান্ডা পানি টেবিলে রাখো, কিছুক্ষণ পর দেখবা গ্লাসের গায়ে বিন্দু বিন্দু পানি জমছে। এটাই জলীয়বাষ্প। যা বাতাসে থাকে এবং ঠাণ্ডা কিছুর সংস্পর্শে আসলে পানির রূপ ধারণ করে।
এটা ভয়ের কোন কারণ নয়। অনেকেই বলে এধরনের সমস্যা দেখা দেওয়া ভূমিকম্প বা অন্যান্য দুর্যোগের লক্ষণ। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই।
-ইন্টারনেট
আল-কারউইন: পৃথিবীর প্রাচীনতম মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়