‘কওমি মাদরাসার ১৪ লাখ শিক্ষার্থীকে ফেলে রেখে সরকার উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাদের জীবন আমরা এমনিতে ভাসিয়ে দিতে পারি না?’
সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটের কোনো মূল্য নেই। তারা কোথাও কাজ পায় না, চাকরি পায় না। না দেশে পায়। কোনো কিছু করে খেতে পারে না। তাদের জীবনটা কি আমরা ভাসিয়ে দেব? তারা কি এ দেশের নাগরিক না? তারা কি এ দেশের মানুষ না? তাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নাই? তাদের কি মূল স্রোতে নিয়ে আসব না?’
বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিকদেবীর ভাস্কর্য নিয়েও কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রিক গডেস অব জাস্টিস, থেমিস। তাঁর স্ট্যাচু। কিন্তু গ্রিক স্ট্যাচুকে যখন শাড়ি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলো, আমি সেটাই চিফ জাস্টিসকে বলেছিলাম যে এ গ্রিক স্ট্যাচুতে আপনি শাড়ি পরাতে গেলেন কিসের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ওটা সরাতে হলো কেন সেটা নিয়ে সবার চিৎকার। সরাতে হবে না কেন? যারা এ কথাটা বলছেন, তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না গ্রিক এখন আর গ্রিক নাই সেটা বঙ্গগ্রিক হয়ে গেছে। এটা কি ওনাদের চোখে পড়েনি?’
বৈষম্য দূর করতে কওমি ও আলীয়াকে একই ছায়াতলে আনতে হবে’
মানুষের চিন্তা পড়তে চায় ফেসবুক!
আরআর