শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আমার পিতা ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার অন্যতম পুরোধা: মাওলানা মাহমুদ মাদানী  খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন: গাড়ি পার্কিং ও জরুরি দিকনির্দেশনা বিদেশিদের দালাল আর পাশের দেশের প্রেসক্রিপশনে আর নয়: চরমোনাই পীর গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে জাতির সাথে তামাশার শামিল: অধ্যাপক মাওঃ ইমরান আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জমিয়তের পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস গণভোটে আমরা রাজি, অপশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহ্ইয়ার ঢাকা-১৬ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থীর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

টিভি টকশো আলোচনা, সমালোচনা ও একটি পর্যালোচনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাবিবুর রহমান মিছবাহ
প্রিন্সিপাল, মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা।

টেলিভিশনে বর্তমানে টকশো বেশ জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান। এতে সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে প্রান্তিক মানুষের বিভিন্ন দাবি, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা । দর্শকরাও সরাসরি অংশ নিতে পারেন টকশো অনুষ্ঠানে। আলোচকদের নানান প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন তারা। রাজনৈতিক বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচিত অনুষ্ঠানগুলোই বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকে।

সম্প্রতি বিভিন্ন টেলিভিশনে আলেমরাও আমন্ত্রিত হচ্ছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছেন । অনুষ্ঠান শেষে সোস্যাল মিডিয়াসহ চায়ের দোকানে, আড্ডার টেবিলে দর্শকদের মাঝে আবার বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দর্শকদের আলোচ্য বিষয় থাকে টকশোতে কে কতটুকু যোগ্যতার প্রদর্শন করতে পেরেছেন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কে বেশি সিদ্ধহস্ত । এক কথায় বলা যায় টেলিভিশন টকশো বিশ্লেষণের দর্শক টকশো।

টকশোতে আলেমদের বক্তব্যের যোগ্যতা নিয়েও বিভিন্ন জন ঘরে বাইরে নানানরকম মন্তব্য করছেন। এতে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করছি না। তবে মন্তব্য করতে গিয়ে সরাসরি কোনো আলেমের নাম উল্লেখ করে হেয় করা আমাদের ঠিক হচ্ছে কি না সেটা ভেবে দেখা উচিত। সার্বিকভাবে টকশোতে কথা বলা, বিপক্ষয়ীদের কথার জবাবের কৌশল, বাচন ভঙ্গি কিংবা স্টাইল কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয় আলোচনা করা যেতে পারে। একজন আলেমের নাম নিয়ে যদি আমরাই বিষোদগার করি, তাহলে বিপক্ষের আলোচকের আর কী দরকার? তার চেয়ে যাকে অপমান করার ইচ্ছা, সবাই মিলে তাকে ফেসবুকেই আচ্ছাতরে সাইজ করি! আর এটিই হচ্ছে এখন ফেসবুকে।

একবার একজন শুরু করলো, তো শুরু হলো। তাহকীক থাকে না। হয়ে পড়ি বিবেচনাহীন। প্রতিযোগিতা শুরু হয় কে কতো নগ্ন ভাষা প্রদর্শন করতে পারি। এটা আমাদের কাজ হতে পারে? যতোজনকে নাম নিয়ে তীর্যক ভাষায় মন্তব্য করতে দেখলাম, জানি না তারা টকশোতে গেলে কোন আসমানী বাক্যে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করতো। লেখতে না পারলেও মোছার জম। আমারাও এর ব্যতিক্রম বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের এতোটুকু অন্তত অনুভব করা উচিত যে, টকশো অঙ্গনটা আমাদের দখলে নয়। এর সাথে আমাদের ওলামায়ে কেরামও ততোটা পরিচিত নন। বিপক্ষয়ীরা জোটবদ্ধভাবেই আমাদের একজনে পরাভূত করার নীলনকশা নিয়েই হাজির হয়। আর চ্যানেলগুলোর উদ্দেশ্যও অভিন্ন। সেখানে আমাদের কেউ গেলে কিছুটা নার্ভাস হবেন এটাই স্বাভাবিক।

যেহেতু নতুন। শুরুতেই আকাশ ছোঁয়া যায় না। হ্যাঁ, তবুও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আমাদের মধ্য হতে যাকে ডাকবে, তার কিছুটা অনুশীলন ও তথ্যাদি সংগ্রহ করে তবেই টকশোতে যাওয়া উচিত। সঞ্চালক ও বিপক্ষীয় অতিথিদের সম্ভাব্য প্রশ্নগুলোর উত্তর তৈরী করা বাঞ্ছনীয়। প্রয়োজনে ইউটিউব হতে একাধিক টকশোর ক্লিপ দেখে কিছুটা ধারণাও নেয়া যেতে পারে। আমাদের কোনো আলোচক যদি টকশোতে দৃশ্যত হেরে যান বা বোকা বনে যান, তাহলে ভুলগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে অভিজ্ঞতা হাসিল করতে পারেন পরবর্তী আলোচকগণ। কিন্তু কোনো আলেমের নাম মেনশন করে তাকে অপমান করা নিশ্চয়ই অনধিকার চর্চা। কৌশলগত অযোগ্যতার কারণে কাউকে অপমান করার অধিকার কারো নেই। আপনি চাইলে পরামর্শ দিতে পারেন। আর এটাই আপনার কর্তব্য। লিখতে পারেন সার্বজনীনভাবে। সরাসরি কাউকে আঘাত করে নয়। তাতে ক্ষতিটা কিন্তু আমাদেরই।

[বহুল প্রত্যাশিত একটি বাহাস]

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ