শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫


বহুল প্রত্যাশিত একটি বাহাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাবিবুর রহমান মিছবাহ
প্রিন্সিপাল মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা।

২৫ মে মিলাদ-কিয়ামিদের সাথে বাইতুল মুকাররমে বাহাস। ফেসবুকে ব্যাপক প্রচার দেখে বন্ধুবর মুহতারাম Lutfor Faraji ভাইর সাথে ইনবক্সে নিশ্চিত হলাম।

যাক, এবার আশা করি বিদআতীদের সাথে ফয়সালাটা হয়েই যাবে ইনশাআল্লাহ। কেননা, তাদের পক্ষ থেকেও চলছে জোড়ালো প্রচারণা। তবে মুহতারাম এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর সাথে ফরাজী ভাই, আশরাফী ভাই এবং আমরাই যথেষ্ঠ ছিলাম। সেখানে মুহতারাম আব্বাসী হুজুরের সাথে আমাদের বড়দের প্রয়োজনবোধ করি না। তবুও পীরে আজম আল্লামা ডক্টর সাইয়্যেদ মুফতী এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী কু.ছে.আ. এর একটু খাহেশ বড়দের সাথে বসে ফেমাস হবে, আর সে নিজেকেও যেহেতু অনেক বড় হুজুর দাবী করে (ওলীপুরী হুজুর নাকি তার ছাত্রের ছাত্র হওয়ারও যোগ্য না!), সেহেতু আমাদের বড়দের উদারতায় তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।

বাহাসের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আমার চেয়ে আর বেশী খুশি কে হতে পারে! ছাত্র জীবন থেকেই এদের সাথে যুদ্ধ করে আসছি। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে বাহাসের চুক্তি হলো। কিন্তু বাহাসের নির্ধারিত তারিখের আগেই তারা আমার নামে মামলা করলো। আমার ছবি দিয়ে চার রংয়ের পোস্টার করে সারা নারায়ণগঞ্জে সেঁটে দিলো। শিরোনাম দিলো 'মিলাদ-কিয়াম বিরোধী দাজ্জাল'! তখন কাশীপুর কাসেমুল উলূম মাদানিয়ায় পড়াতাম। সাথে সাথে হাটখোলা বাজার মসজিদে খতীবের দায়িত্বও পালন করতাম। জুমআ শেষে হঠাৎ মিলাদ কিয়ামপন্থীদের স্বশস্ত্র হামলা! পিস্তল চাপাতি নিয়ে জুতা পায়ে মসজিদে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসীরা। এভাবেই চলতে থাকে বিদআতীদের তান্ডব।

শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ডিআটিতে সাংসদ নাসিম ওসমান, তোফাজ্জল ভৈরবী ও আবু সুফিয়ান আল কাদেরীকে নিয়ে সুন্নী মহাসমাবেশ করে বিদআতীরা। যার আলোচ্য বিষয় ছিলো আমাকে গালি দেয়া। নাসিম ওসমান সাহেব আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন, এক সপ্তাহ'র মধ্যে কুয়াকাটার মিছবাহ আর ডিআইটি মসজিদের খতীব আব্দুল আউয়াল সাহেবকে নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে হবে। ফলাফল, ঘোষণার পর এক বছর ছিলাম নারায়ণগঞ্জে। মামলাও খারিজ হলো। আর আব্দুল আউয়াল সাহেব তো এখনো আছেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! তিনি আজ দুনিয়াতেই নেই। তাই কাউকে হুমকি দেয়ার আগে কোটিবার ভাবা উচিত, হুমকির সাথে সাথে আজরাঈলের হুমকিও আসতে পারে আমার উপর।

চলে আসলাম ঢাকায়। নতুন করে শুরু হলো লা-মাযহাবীদের সাথে। ওদের সাথেও পাক্কা দুই বছর যুদ্ধ করলাম। তখন হুজুররা প্রযুক্তির ব্যবহারে ততোটা এগিয়ে ছিলেন না, যতোটুকু এখন। শেষটা ছিলো টকশো দিয়ে। একজন ব্যক্তির সব ময়দানে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই যখন দেখলাম লা-মাযহাবীদের বিরুদ্ধে ফরাজী ভাই ও শামসুদ্দোহা আশরাফী ভাইদের মতো তরুণ আলেমগণ ওদের সাক্ষাত আতংক হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন, তখন বয়ান, মাদরাসা ও লেখালেখির দিকে মনোনিবেশ করি। তার মানে এখনো যে মাঝে মধ্যে ওদের ভ্রান্ত আকিদার বিরুদ্ধে বলি না এমন নয়। বাতিল ফিরকা বিরোধী বিভিন্ন মাহফিলে এখনো যেতে হয় নিয়মিত। কিন্তু মিলাদ কিয়ামিরা একচেটিয়া উলামায়ে দেওবন্দের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছিলো। বিশেষ করে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। গত ক'দিন আগে শামসুদ্দোহা ভাই মারকাযে এসে মিলাদ কিয়ামিদের আকিদার পোস্টমর্টেমের পরিকল্পনা শুনালে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও প্রসংশা করি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই। পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন Ask Sumon ভাইও। বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে। আর সেই পোস্টমর্টেমটা তারা শুরু করলেন জঘন্যভাষা ব্যবহারকারী আব্বাসীকে দিয়েই। এর চেয়ে বড় সুখবর আর কী হতে পারে? ধন্যবাদ তোমাদের হে জাতির কান্ডারী তরুণ ওলামায়ে কেরাম। মোবারকবাদ তোমাদের মেহনতী জেন্দেগীকে। তোমাদের এ প্রচেষ্টা ও কোরবানী বিফলে যাবে না। সফলতা একদিন তোমাদের পদচুম্বন করবেই ইনশাআল্লাহ। শুভ কামনা রইলো তোমাদের প্রতি।

লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে

[ভোটের রাজনীতিতে কওমি স্বীকৃতির ধাক্কা!]

[কাল ইসলামী আন্দোলনের জাতীয় মহাসমাবেশ]

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ