আওয়ার ইসলাম : কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া মতামতরে জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পরই নানা প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে আলেমদের কাছে। খসড়ার শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ দেখে অনেকেই মনে করছেন-খসড়াটি সংসদ সচিবালয় বা শিক্ষা থেকে প্রকাশিত হয়েছে, বিষয়টি মোটেও এমন নয় বলে নিশ্চিত করেছেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্য সচিব মাওলানা রুহুল আমিন।
তিনি জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল । পনের দিন মেয়াদি এই কমিটি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৩ যাচাই বাছাই করছে। সব সদস্যের অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের প্রস্তাবটি মতামতের জন্য উন্মোক্ত করা হয়েছে। এখানে ভুল বুঝার কী আছে? কমিটির পক্ষ থেকেই মতামত নেওয়া হচ্ছে।
যা আছে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আইনে
তবে বিষয়টি ভুল বা গুজব বলে মনে করছেন, মুহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শিরোনামে কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া নামে যে বক্তব্যটি নেট ও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এটাকে অনেকে সংসদ বা সরকারের পক্ষ থেকে প্রণীত খসড়া মনে করছে ৷ অথচ প্রকৃতপক্ষে তা নয়, বরং এটি সদ্য স্থগিতকৃত উপকমিটির তৈরিকৃত প্রস্তাব মাত্র৷
তিনি টেলিফোনে আওয়ার ইসলামকে আরও জানিয়েছেন, খসড়ার শুরুতেই জাতীয় সংসদ দেখে সাধারণ পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন, খসড়া প্রস্তাব মতামতের জন্য দেওয়া হলে অফিসিয়াল এই ফরমেট দেওয়া উচিত হয়নি মনে মনে করেন এই চিন্তক আলেম। আওয়ার ইসলামের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এখনও ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৯ সদস্যের উপকমিটি স্থগিত হওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
এইচএ