শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

কোরআনের মাধ্যমে যেভাবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেন এক মা ও তার ৪ মেয়ে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকী ছবি

মহান আল্লাহ যুগে যুগে পবিত্র কোরআন হেফাজত করেছেন অসংখ্য হাফেজ ও হাফেজার মাধ্যমে। আর ওইসব নারী-পুরুষ-ই কোরআন হিফজ করতে পারেন, যাদের তিনি বিশেষভাবে ভালোবাসেন। 

আমাদের দেশেও অসংখ্য হাফেজ ও হাফেজা রয়েছেন। যাদের অনেকে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এমন-ই দুই কীর্তিমান নারী হলেন- আয়শা সিদ্দিকা ও খাদিজাতুল কুবরা। তারাও এমন এক হাফেজা মায়ের সন্তান, যিনি একাধিকবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় পুরষ্কৃত হয়েছেন।

আয়শা সিদ্দিকা ও খাদিজাতুল কুবরা মায়ের কাছ থেকেই আলিফ থেকে শুরু করে কোরআনে কারিম হিফজ সম্পন্ন করেছেন এবং পরবর্তীকালে শায়খ হাফেজ নেছার আহমাদ আন-নাসেরী প্রতিষ্ঠিত মারকাযুত তাহফীজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসাতে তাজবীদ এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

নারী বলে ঘরেই বসে থাকেননি দুই বোন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা মঞ্চে অংশ নিয়েছেন এবং মায়ের মতো তারাও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন একাধিকবার। এখনো তারা সুনামের সাথে পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। 

এই দুই বোনের বয়স যখন খুবই কম, তখনই তারা পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু ছোট হওয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতার বিশ্ব মঞ্চে তখন উপস্থিত হতে পারেননি তারা। 

তবে কোভিড এবং অন্যান্য জটিলতা যখন শেষ, তখন খাদিজাতুল কুবরা একাধারে রাশিয়ার কাজানে এবং ইরানে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের সাথে বিজয়ী হন এবং সেখানকার মালয়েশিয়ান একটি সংগঠন ৬৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন (মালায়শিয়া) মেমোরাইজেশন সেক্টরের জন্য তাকে নির্বাচিত করে এবং বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানায়। এই প্রতিযোগিতায়ও খাদিজাতুল কুবরা ৫২টি দেশের ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিজয় অর্জন করে দেশের সুখ্যাতি বৃদ্ধি করেন।

আর তার বোন আয়েশা সিদ্দিকা দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা এবং ইরানে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে এক উচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

শুধু তারা দুই বোনই নন; বরং তাদের বড় ও ছোট বোনও হিফজুল কোরআনে যথেষ্ট সুখ্যাতি লাভ করেছেন। তাদের এই চার বোনকে এভাবে গড়ে তুলেছেন তাদের-ই মমতাময়ী মা, যিনি একাধিকবার কোরআনের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিজয়ী হয়েছেন। 

নারী হওয়ায় তাদের এই বিজয়যাত্রা বেশ কষ্টকর ছিল কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে লক্ষ্যপানে এগিয়ে গেছেন এই চার বোন। তাদের ভাষ্যমতে- ‘এই পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। ত্যাগ আর পরিশ্রমে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করতে সক্ষম হয়েছি।’

পবিত্র কোরআন এখন এই চার বোন ও তাদের পরিবারের একমাত্র সম্বল এবং কোরআন নিয়েই তাদের সকল চিন্তাভাবনা। তাদের ইচ্ছা- বিশ্ব দরবারে কোরআনের খেদমতেই যেন তাদের জীবন অতিবাহিত হয়।

তাদের বাবা আমিরুল ইসলাম একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মা ক্বারীয়া সামসুন্নাহার সিদ্দিকা। বুঝ হওয়ার পর থেকেই তারা তাদের সন্তানদের হাতে পবিত্র কোরআন তুলে দিয়েছেন। তাদের দীক্ষিত করেছেন কোরআনের আলোয়, যা আজও প্রজ্জ্বলিত, আলো ছড়াচ্ছে বহু মানব-হৃদয়ে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ