বাইরে চলছে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ। তাই ঘরে এলেই এসি ছাড়তে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, কোন সময় কেমন তাপমাত্রায় এসি চালাতে হবে। অনেক গরম হরে ১৮ ডিগ্রিতে এসি দিয়ে রাখছে, আবার ঘর ঠান্ডা হয়ে এলে ২২-এ। তবে ঠিক কত তাপমাত্রায় এসি চলালে শরীর ও স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে তা জানেন না বেশিরভাগই। তাই সুস্থ্য থাকতে জেনে নিন কত তাপমাত্রায় এসি চালাবেন।
এই গরমে ঠিক কত টেম্পারেচারে এসি চালালে শরীর থাকবে সুস্থ? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসি চালানোর নির্দিষ্ট তাপমাত্রার কথা বলা যাবে না। তবে চেষ্টা করতে হবে বাইরের তাপমাত্রা যত, তার থেকে এসির টেম্পারেচারের ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রির বেশি তফাত না থাকে। অর্থাৎ দুপুরে যদি বাইরের তাপমাত্রা ৪০ থাকে, তবে আপনার বাসার এসি চালাতে হবে ২৭-২৮ ডিগ্রিতে। এই নিয়মটা মেনে চললে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ঘরের একটা সামঞ্জস্য থাকবে। ফলে হুট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না।
চারপাশের গরমে রাতে আমার অনেক ঠান্ডা ঘুমাতে যাই। কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। রাতে এসে ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে রাখা উচিৎ। তারপর স্লিপ মোড অন করে দিন। তাহলে এসি ধীরে ধীরে বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী টেম্পারেচার ঠিক করে নেবে। ফলে ঘুমের মধ্য়ে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকবে না। যাঁদের রিমোটে স্লিপ মোড নেই, তাঁরা ভোরে উঠেই এসি বন্ধ করে ফ্যান চালিয়ে দিবেন। তাহলে ঠান্ডা লাগা বা অসুস্থ্য হওয়ার ভয় থাকবে না।
গরম থেকে হুট করে এসিতে নয়
প্রচন্ড রোদের মধ্যে দিয়ে অফিসে গিয়েই হিম ঠান্ডা এসিতে ঢুকলে ঠান্ডা লেগে যেতেই পারে। তাই সতর্ক থাকুন। তবে অনেকের সমস্যা নাও হতে পারে। যদি অফিসের পরিবেশ খুব ঠান্ডা না হয়ে থাকে, তবে সমস্যা হবে না। তবে এমন বিপদ এড়াতে গরম থেকে এসিতে ঢোকার আগে ৫ মিনিট একটু অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে রোদে বের হবার আগেও একটু ছায়ায় অপেক্ষা করে বাইরে পা দিন।
এসির সার্ভিসিং জরুরি
অনেক দিন এসি বন্ধ থাকলে, সেটি গরমে চালু করার আগে সার্ভিসিং করা জরুরি। আবার নিয়মিত এসি চললেও তাতে জীবাণু এবং ধুলো-ময়লা বাসা বাধতে পারে। এইসব জীবাণু এবং ধুলাতে ফুসফুসে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিজেকে সুস্থ্য রাখতে চাইলে বছরে অন্তত দুইবার এসি সার্ভিস করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।
এনএ/