সারা দেশে শহরাঞ্চল থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত গ্রাহকদের উন্নত সেবা সরবরাহ করতে ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ গঠন করেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এর আওতায় গ্রাহকরা ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিষয়ে সার্বক্ষণিক সেবা নিতে পারবেন। এই টিমের সদস্যরা সপ্তাহে ৭ দিন এবং ২৪ ঘণ্টা যেকোন প্রয়োজনে সাড়া দেবে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিটিসিএলের ওয়েব সাইটে এলাকাভিত্তিক র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিটিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রাহকদের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য বিটিসিএল এই র্যাপিড রেসপন্স টিম ও ২৪/৭ সেবা চালু করা করেছে। এছাড়া সংস্থাটির উন্নততর নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টারের (এনওসি) মাধ্যমে গ্রাহকসেবা কার্যক্রমকে আরও দ্রুততর করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ কে সাজানো হয়েছে সারা দেশকে সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত করে। যেখানে ২১ জন কর্মকর্তাকে এই টিমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক র্যাপিড রেসপন্স টিমের ১ নম্বরে রয়েছে- ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তর অংশ। এতে বনানী, গুলশান, উত্তরাসহ সংলগ্ন এলাকা- গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোণা এলাকা রয়েছে।
২ নম্বরে আছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের দক্ষিণ অংশ। এর আওতায় নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সচিবালয়, রমনা, পুরান ঢাকাসহ সংলগ্ন এলাকা- জিঞ্জিরা, কেরাণীগঞ্জ, কলাতিয়া, দোহার, নবাবগঞ্জ, কামরাঙ্গীর চর এলাকা রয়েছে।
৩ নম্বরে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের পূর্ব অংশ। এর আওতায় মগবাজার, খিলগাঁও, বনশ্রী, রামপুরা, গেন্ডারিয়াসহ সংলগ্ন এলাকা- নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভিবাজার, হবিগঞ্জ এলাকা রয়েছে।
৪ নম্বরে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের পশ্চিম অংশ। এর আওতায় শেরে বাংলা নগর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ সংলগ্ন এলাকা, সাভার, মানিকগঞ্জ এলাকা রয়েছে।
৫ নম্বরে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাসমূহ, ৬ নম্বরে রয়েছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহ এবং ৭ নম্বরে রয়েছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাসমূহ।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিটিসিএল ডাটা ও ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে লিজড লাইন ইন্টারনেট, পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস, এনআইএক্স এবং ক্যাশ সেবা দিচ্ছে। এসব প্যাকেজের আওতায় গ্রাহকরা ডেডিকেটেড রিয়েল আইপি অ্যাড্রেস, ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ, ক্যাশ সার্ভারসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা পাচ্ছেন।
এনএ/