সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় অ্যাপের তালিকায় রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। আমাদের নিত্যদিনের যোগাযোগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবেও প্লাটফর্মটি বেশ আলোচিত।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে অ্যাপটি নিয়মিত পলিসি পরিবর্তন করছে। তাই ব্যবহারকারীকেও হতে হবে কৌশলী। না হলে যেকোনো মুহূর্তে হারাতে পারেন প্রিয় অ্যাকাউন্টটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিরাপত্তা নিশ্চিতে হোয়াটসঅ্যাপে কিছু কাজ কর কখনো উচিত নয়। সে সব বিষয়ই দেখে নিন এক নজরে-
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে যদি এমন কোনো ফাইল শেয়ার করেন যে ফাইলের মধ্যে ম্যালওয়্যার রয়েছে তবে আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হবে। এই ধরনের ফাইল পাঠিয়ে অন্যের ক্ষতি করার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন।
সম্মতি ছাড়া কোনো ব্যক্তির ফোন নম্বর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করবেন না। এছাড়াও অবৈধ উৎস থেকে প্রাপ্ত ডাটা ব্যবহারকারীদের মেসেজ করতে বা গ্রুপে যুক্ত করতে ব্যবহার করবেন না। এই কাজ করলেও আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে।
হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে বাল্ক মেসেজ পাঠাবেন না। এছাড়াও অটোমেটেড মেসেজ পাঠানোর জন্য হোয়াটঅ্যাপ ব্যবহার করবেন না। এই দুই কাজ করলেই আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
অবৈধ উপায়ে অ্যাকাউন্ট অথবা গ্রুপ তৈরি করলে হোয়াটসঅ্যাপ আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে। একাধিক গ্রুপ তৈরি করার জন্য যেসব অনলাইন টুল রয়েছে সেগুলো ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্রডকাস্ট লিস্টের মাধ্যমে মেসেজ পাঠালে আপনার মেসেজ রিপোর্ট করা হতে পারে। একাধিকবার আপনার মেসেজে রিপোর্ট জমা পড়লে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে।
কোনো ব্যক্তি আপনাকে মেসেজ না করার অনুরোধ করার পরেও আপনি মেসেজ চালিয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে। এই জন্য অপর ব্যক্তিকে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাপ কোড বদল করার চেষ্টা করলে আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ প্লাস অথবা জিবি হোয়াটসঅ্যাপের মতো থার্ড পার্টি ক্লায়েন্ট ব্যবহার করলে আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপে অন্যের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করলেও আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে। অনেক সময় এই ধরনের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণার কাজ চলতে থাকে।
কেএল/