সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব। বিনোদন ও আয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে এই প্লাটফর্মে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। ওই সকল ভিডিওর দর্শকের ওপর নির্ভর করে আয় বাড়ে ওই ক্রিয়েটরের। এভাবে ভিডিও তৈরি করে বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে অনেক।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা যাতে আরও সহজে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে নতুন ফিচার যুক্ত করতে যাচ্ছে এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি। এই ফিচারের সাহায্যে পডকাস্টার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আগের চেয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া এক্সামিনার নামের একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে ইউটিউবের নতুন এসব ফিচার তুলে ধরেছে।
নতুন ফিচারে ইউটিউবে কন্টেন্ট পাবলিশের সময় কমিয়ে আনা হবে। ফলে এখন থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সহজেই এই কাজ করতে পারবেন।
নতুন ফিচারের মধ্যে রয়েছে ইউটিউব স্টুডিও। যার মাধ্যমে পডকাস্ট এবং নির্মাতাদের জন্য তাদের ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করা অনেক সহজ হবে। এছাড়াও ব্যবহারকারীরা ইউটিউব স্টুডিওতে পডকাস্টের আলাদা করে একটি বিভাগ পাবেন।
সে বিভাগ থেকেই পছন্দের পডকাস্ট বেছে নিতে পারবেন দর্শকরা। একজন দর্শক শুধু যে পডকাস্ট শুনতে চান, সে বিভাগে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিডিও। ফলে সময় বাঁচবে ক্রিয়েটর দর্শক উভয়ের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবহারকারীরা ইউটিউব স্টুডিওতে অন-ডিমান্ড, অফলাইন এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে পডকাস্ট শুনতে পারবেন। যার ফলে পডকাস্টাররা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন এবং মেম্বারশিপ থেকে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ইউটিউব -এ ফ্যান ফান্ডিং, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন এবং সুপার চ্যাট সহ আরও অনেক মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
তাছাড়াও পডকাস্টাররা তাদের পডকাস্টের সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারণা করতে পারে। এর জন্য পডকাস্টারদের ব্র্যান্ড এবং এজেন্সিগুলোর সাথে মিলে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও নিজেদের ভিডিওর মালিকানা আরও পাকাপোক্ত করতে কপিরাইট আইনেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ নতুন আরও কিছু ফিচার নতুন করে যুক্ত করছে ইউটিউব।
এনএ/