বাজারে অনেক দামের অনেক ফিচারের স্মার্টফোন রয়েছে। তবে কেমন দামে কোন ফোনটি আপনার কেনা উচিত, তা আগেই ঠিক করা ভালো। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড নাকি আইওএস, কোন অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইস কিনবেন তা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ফিচার নিয়ে নতুন সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বাজারে আসছে প্রতিনিয়ত। অধিকাংশ ফিচার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন কেনার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জানা প্রয়োজন।
প্রসেসর ও র্যাম
স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স প্রসেসর ও র্যাম, এই দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সেরা পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য আপনার কমপক্ষে ৪জিবি র্যামের সঙ্গে একটি নতুন প্রসেসরের প্রয়োজন হবে। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে সেরা প্রসেসর হলো, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ প্লাস।
মেমোরির ক্ষেত্রে আধুনিক স্মার্টফোনগুলো এখন বিল্ট-ইন স্টোরেজসহ পাওয়া যায়। ১৬জিবি থেকে শুরু করে তা ৫১২ জিবি পর্যন্ত হতে পারে। ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে ৬৪জিবি মেমোরি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত মেমোরি ডিভাইসের কার্যকারিতাকে দ্রুত করে তোলে। এ ছাড়া আপনি একটি এসডি কার্ড ব্যবহার করেও আপনার স্মার্টফোনের মেমরি বাড়াতে পারেন।
ইন্টারনাল স্টোরেজ
শুধু প্রসেসর শক্তিশালী হলেই যে স্মার্টফোন ভালোভাবে চলবে তা নয়। এক্ষেত্রে ৮ জিবি এলপিডিডিআরফাইভ বা ফাইভএক্স র্যামের সঙ্গে ইউএফএস ৩ বা ৪ ভার্সনের ১২৮ জিবি স্টোরেজ থাকলে স্মার্টফোন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। বেশি স্টোরেজ থাকলেই যে ডিভাইস ভালো কাজ করবে বিষয়টি তা নয়।
ডিসপ্লের সুরক্ষা
অ্যামোলেড, ফুল এইচডিপ্লাস রেজল্যুশন ও বেশি রিফ্রেশ রেট ভালো ডিসপ্লের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে স্ক্র্যাচ বা দাগ থেকে সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা রয়েছে সেটি অনেকে দেখেন না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ভিকটাস দেওয়া হয়। এটি যেকোনো ধরনের দাগ থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে ও টেকসই করে।
ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি
মিড রেঞ্জ বা কম দামের স্মার্টফোনে এই ফিচার দেওয়া সম্ভব না হলেও ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসে এটি আছে কিনা দেখতে হবে। ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো পরিস্থিতিতে ডিভাইস চার্জ দেওয়া সুবিধাজনক। এর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ১৫ ওয়াট, যা ব্যাটারির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
ক্যামেরা
মেগাপিক্সেলের পাশাপাশি স্মার্টফোনের ক্যামেরার ফোকাস সিস্টেম কেমন সেটিও দেখা প্রয়োজন। একাধিক ক্যামেরার মধ্যে টেলিফটো লেন্স সিস্টেম থাকা গুরত্বপূর্ণ। ভালো অ্যাপারচারযুক্ত টেলিফটো লেন্স পাঁচ গুণ পর্যন্ত জুম করার সক্ষমতা স্মার্টফোন ক্যামেরাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা
আপনার ডিভাইসের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ডিজাইন এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার ছাড়াও নির্মাণ সামগ্রীর কথা বিবেচনায় আনুন। এ ক্ষেত্রে আপনার স্মার্টফোন কেনার আগে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেইনটেনেন্স পলিসিগুলো লক্ষ্য করুন। গ্যারান্টিযুক্ত কোনো পলিসি আছে কিনা যাচাই করে নিন।
এ ছাড়া স্মার্টফোনটি আসল কিনা সে সম্পর্কে আগে সচেতন হতে হবে। বিশ্বস্ত দোকান থেকে আপনার ফোন কিনুন। ফোনটি কেনার আগে সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে স্পেসিফিকেশন এবং দামের রেঞ্জ তুলনা করতে পারবেন। এসব বিষয় ছাড়াও ডিসপ্লের সঠিক উজ্জ্বলতা, ডিসপ্লের আকার, এসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা, হেডফোন জ্যাকের মতো বিষয় যাচাই গুরুত্বপূর্ণ।
এনএ/