সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিল এনসিপি নোয়াখালীতে দায়িত্বে অবহেলা করায় ১২শিক্ষককে অব্যাহতি   নারী কমিশনের প্রস্তাবনা, অসভ্যতা প্রসারের নীল নকশা: নেজামে ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর

নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের জঞ্জাল দূর করতে জাতি একটি সামগ্রিক সংস্কারের প্রত্যাশা করছে। সেই সংস্কার হবে দেশের মানুষের বিশ্বাস, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে সরকারের বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে অনেকটাই সাযুজ্যপূর্ণ হলেও নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এ ধরনের প্রস্তাব জনরোষ উসকে দেবে এবং তা পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দেবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, সরকারকে অবিলম্বে নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং কমিশনটি বাতিল করতে হবে।

বিবৃতিতে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন গণ আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে সেক্যুলারিজমকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। অথচ নারী বিষয়ক কমিশন "ইহজাগতিক" রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রস্তাব করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিপরীত অবস্থান নিয়েছে। এতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,বাংলাদেশে বহুবছর ধরে পারিবারিক আইন ধর্মভিত্তিক। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং ভারতসহ অধিকাংশ দেশেই পারিবারিক আইনের ভিত্তি ধর্ম। কারণ, সকল দেশ ও সভ্যতায় ধর্ম মেনেই পরিবার গঠন হয়। এর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগও নাই। কিন্তু এই কমিশন পারিবারিক আইনের ভিত্তি বদলে দেয়ার প্রস্তাব করে জনরোষ উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। এই ধরণের অপচেষ্টা আমরা সাম্প্রতিক বিজেপির ভারতে দেখতে পাই। আমরা আশংকা করছি নারী কমিশনের সদস্যগণ ভারত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপ্লবোত্তর সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং তাদের সাথে থাকা গণসমর্থনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ ধরণের প্রস্তাব দিয়ে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত, কিন্তু পারিবারিক আইন থেকে ইসলামি ব্যবস্থাকে বাদ দেয়া বরদাশত করবে না। সরকার যদি নারী কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করে, তবে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন হ্রাস পেতে পারে এবং বিক্ষোভ শুরু হতে পারে। তাই সরকারকে অবিলম্বে কমিশন বাতিল করে দেশের নারীদের যথার্থ প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ