মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের ওয়াকফ বিল: অভিযান শুরু, বন্ধ করে দেওয়া হলো ১৭০ মাদরাসা ‘জাতি এবার হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাংলা নববর্ষ উদযাপন করল’ বানিয়াচংয়ে ৫০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ এবারও ঢাকা-চট্টগ্রামে হজ প্রশিক্ষণ দেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ইরানের প্রতিরক্ষা নীতি ও পশ্চিমা হুমকি: যুদ্ধ কি অনিবার্য? মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মানেই অনিশ্চিত গন্তব্যের যাত্রী নয়, চাই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ওয়াকফ বিল বাতিলে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে খেলাফতের গণমিছিল আরজাবাদ মাদরাসারও শায়খুল হাদিস হলেন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সারা দেশে জুমার জামাতের সময় নির্ধারণ, সুবিধা-অসুবিধা ময়নাতদন্ত শেষে মাদরাসা ছাত্র জুলাই-শহীদ রাব্বির পুনঃদাফন

‘মাদরাসায় বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিপালনের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাদরাসায় বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিপালনের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

আজ (১২ এপ্রিল)  এক বিবৃতিতে দলের আমীর মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, সম্প্রতি জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ও সাড়ম্বরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

তারাঁ বলেন, মাদরাসা একটি ইসলামী ধর্মভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীদের কুরআন-সুন্নাহ,  ঈমান-আকীদা, ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করা হয়। বাংলা নববর্ষ ও পার্বত্য নৃ-গোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের প্রচলিত পদ্ধতি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ কিংবা ভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ, যা মাদরাসার শিক্ষার উদ্দেশ্য ও ধর্মীয় চেতনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা মনে করি এই ধরনের নির্দেশনা মাদরাসার স্বকীয়তা ও ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার হীন উদ্দ্যেশে জারী করা হয়েছে । সংশ্লিষ্টদের একথা ভুললে চলবে না যে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ধর্মীয় নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত অধিকার। ফলে, এ ধরনের আদেশ জারি করা মাদরাসার ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস ও চেতনাকে আঘাত করার শামিল।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি—এই আদেশটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে এর সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে শাস্তির আওতায় আনুন। মাদরাসাগুলোর ধর্মীয় ও আদর্শিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন এবং এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ